HomeE365WB Education Loan: পড়াশুনোর জন্য শিক্ষা ঋণ কীভাবে পাবেন? জানুন বিশদে।

WB Education Loan: পড়াশুনোর জন্য শিক্ষা ঋণ কীভাবে পাবেন? জানুন বিশদে।

আমাদের দেশে এবং রাজ্যে অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা অর্থের অভাবে বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেন না। মধ্যবিত্ত সংসার এবং দুচোখে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন – খুবই করুন একটি কম্বিনেশন। অনেক ছাত্রছাত্রীদের অনেক দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করার স্বপ্ন থাকলেও, পারিবারিক আর্থিক অবস্থার কারণে বেশি দূর পড়া সম্ভব হয় না। বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা খুব অল্প পড়াশোনা করেই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ফেলে, অনেকে স্কুলের গণ্ডি পার করার আগেই নানান কাজে ঢুকে যান। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করলেও চোখে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে শেষ পর্যন্ত যেতে পারে না সকলে। তবে এসব ব্যাপারে ঢের ব্যতিক্রমও রয়েছে অনেক।

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে বেশিরভাগ সময়ই এডুকেশন লোন (Education Loan) নেওয়া ছাড়া অন্য কোন রাস্তা পাওয়া যায় না। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যাংক থেকেই শিক্ষা লোন পাওয়া যায়। অনেক ছাত্রছাত্রীরা তাদের অসাধারণ ফলাফলের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারের কাছ থেকে স্কলারশিপ(Scholarship) পান, তাদেরও এডুকেশন লোনের দরকার পড়ে।

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যদি সরকার বা নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপ পায়, তবে তাদের আলাদা করে এডুকেশন লোন এর প্রয়োজন পড়ে কেন?

ছাত্র-ছাত্রীরা যে স্কলারশিপ পান সেগুলি মূলত তাদের পড়াশোনার জন্য খরচ হয়। প্রধানত টিউশন ফি দিতেই এই সমস্ত টাকা খরচ হয়ে যায়। তাও অনেক সময় এই টাকা কম পড়ে যায় টিউশন ফি দিতে। এছাড়া বইপত্র কেনার খরচ, হোস্টেলে থাকার এবং খাওয়ার খরচ, পরীক্ষার আগে সময় মত ফি দেওয়ার খরচ – এগুলি স্কলারশিপ এর টাকায় মেটেনা। এই খরচ গুলো সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদেরকেই মেটাতে হয়, এবং পরিবারের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সেই খরচও সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন দরকার পড়ে এডুকেশন লোন বা শিক্ষা লোনের।

উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে 15 বছরের মেয়াদে ছাত্রছাত্রীদের ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এডুকেশন লোন দেওয়া হয়। বিদেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে একই মেয়াদে লোন পাওয়া যায় এক কোটি টাকা পর্যন্ত। ভারতের বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ আলাদা। তবে সমস্ত ব্যাংক চায় লোন দিতে। ছাত্র-ছাত্রীরা যদি বিদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা IIT, আইএমের মতো কোনো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পান, তাহলে অনেক সময় ব্যাংক থেকেও লোন দেবার প্রস্তাব দেওয়া হয়। মোট কথা ব্যাংক সব সময় লোন দেবার জন্য মুখিয়ে থাকে। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ পাওয়াটা আজকের দিনে খুবই সহজ।

এডুকেশন লোন পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?

যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের এডুকেশন লোনের দরকার ,তারা বিভিন্নভাবে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইন, অফলাইন বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকরা এডুকেশন লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

অনলাইনে কিভাবে শিক্ষা লোনের জন্য আবেদন করবেন?

(How To Apply For Education Loan Online?)

এডুকেশন লোনের আবেদনের ক্ষেত্রে সবথেকে সহজ পদ্ধতি হলো অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করো। প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন ব্যাংকের সম্পর্কে বিশদ ধারনা নিতে হবে। তারা কত টাকা লোন দেবে, সুদের হার কত হবে, মেয়াদ কত হবে, ইত্যাদি ব্যাপার গুলো সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে।

তারপর নির্দিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট জমা করে, ফর্ম পূরণ করে জমা করতে হবে। এরপরে ব্যংক কর্তৃপক্ষ নিজেরাই গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে এবং লোনের বিভিন্ন পলিসি এবং শর্তাবলী নিয়ে বিশদে আলোচনা করবে।

অফলাইনে কিভাবে শিক্ষা লোনের জন্য আবেদন করবেন?

(How To Apply For Education Loan Offline?)

গ্রাহক হিসাবে আপনি যদি প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে ব্যাংকের শাখায় হাজির হন এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সাথে লোনের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করে নথিপত্র সহ ফর্ম পূরণ করে জমা করেন, তবে সরাসরি ব্যাংক থেকে আপনি লোন পেতে পারেন।

এছাড়াও আপনি লোন নিতে চান জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলে বিশদে আলোচনা করতে পারেন। সব কিছু বিশদে জেনে নেওয়ার পর আপনি ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে কিভাবে শিক্ষা লোনের জন্য আবেদন করবেন?

(How To Apply For Education Loan from Virtual Assistant?)

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি গ্রাহকদের ভালো সার্ভিস দেবার জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছেন। মূলত ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের সহায়তা করা চালু করেছে। এই ডিজিটাল পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। বিভিন্ন ব্যাংকের আলাদা আলাদা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছে। অনলাইনে আবেদন করার সময় এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়া লোন সম্পর্কিত আপনার যাবতীয় কৌতূহল মিটিয়ে আবেদন পদ্ধতিতেও আপনাকে সাহায্য করবে ভার্চুস্ট্যান্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।

কোন ব্যাংক থেকে যখন কোন আবেদনকারীকে লোন দেওয়া হয়, তখন সেই আবেদনকারীর পারিবারিক আয় এবং সেই আবেদনকারী কোন কোর্সের জন্য পড়াশোনা করছে – সেই বিষয়গুলি ভালোভাবে খতিয়ে থেকে তারপর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এজন্য ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে ভালো কোন কোর্স নিয়ে পড়াই ভালো।

পাঠক্রম শেষের পর চাকরি পেয়ে গেলে ধার শোধ করার কিস্তি শুরু হয়। চাকরি পেয়ে গেলে ধার শোধ এর কিস্তি শুরু হয় ছয় মাস পর থেকে। চাকরি না পেলে ধার শোধ করতে হয় এক বছর পর থেকে। এই ধার শোধ করার টাকা গুনতে হয় গ্রাহককেই।

মহিলা আবেদনকারীদের জন্য ব্যাংক অনেক সময় কম সুদে লোন দেয়।মোরেটোরিয়াম চলাকালীন কোনো গ্রাহক সুদ মেটালে ওই সময়ে সুদে এক শতাংশ ছাড় মেলে। অর্থাৎ সুদ ১০ শতাংশ হলে, তখন দিতে হবে ৯ শতাংশ।

কোন আবেদনকারী যদি চার লক্ষের কম টাকা লোন নেন , সে ক্ষেত্রে কোন আলাদা সিকিউরিটি বা গ্যারান্টার এর প্রয়োজন হয় না। পারিবারিক উপার্জন যদি বছরে ৪ লক্ষ টাকার কম হয় তাহলে ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার। কোর্স চলাকালীন যে পরিমাণ টাকা সুদ হয়, সেটি সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি হিসেবে পেতে পারেন গ্রাহক। তবে এই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য জেলা শাসক বা এসডিও এর কাছ থেকে পারিবারিক আয় সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জোগাড় করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular