HomeStudent Hacksহোস্টেলে থাকা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৫টি টিপস, যেগুলি জানলে হোস্টেলজীবন অনেকটা সহজ হবে।

হোস্টেলে থাকা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৫টি টিপস, যেগুলি জানলে হোস্টেলজীবন অনেকটা সহজ হবে।

অনেক ছাত্রছাত্রীরা দূরশিক্ষার জন্য বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে হোস্টেল(Hostel) বা মেসে থেকে পঠন পঠন করেন। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করার সময় জীবনে নতুন অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। হোস্টেল জীবন(Hostel Life) আমাদের নতুন অনেক কিছুর পাঠ দেয়। প্রথমবার হোস্টেলে থাকার সময় অনেক রকম দিক থেকে মানিয়ে নিতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। মূলত প্রথমবার যারা হোস্টেল জীবন বেছে নেন, তাদের জন্য হোস্টেল জীবন বেশ কঠিন মনে হয়। হোস্টেল জীবন এর লাইফ স্টাইল(Lifestyle in Hostel) রপ্ত করতে এবং মানিয়ে নিতে বেশ অনেকটাই সময় লেগে যায়।

আজকে এইর প্রতিবেদনে রইল এই এমন পাঁচটি টিপস, যেগুলি হোস্টেলে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি হোস্টেল জীবন বেছে নিতে চলেছেন বা হোস্টেলে থাকেন, তাহলে এই পাঁচটি টিপস মেনে চললে আপনাদের হোস্টেল জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

১) খাবার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে:

হোস্টেলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার দেওয়া হয়। অনেক সময় এমন হয় যে ছাত্রছাত্রীরা যদি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার মিস করেন তাহলে পরবর্তী সময় তাদের আর সেই বেলার খাবার দেওয়া হয় না। এজন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

পাশাপাশি হোস্টেলে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা যখনই নিজের বাড়ি বা কোন আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন তখন অবশ্যই বাড়ি তৈরি খাবার খাবেন। হোস্টেলের খাবারের গুণগত মান সবসময় ভালো হয় না। দীর্ঘদিন হোস্টেলের একই রকম খাবার খেতে খেতে বিভিন্ন রকম শারীরিক ইস্যু হতে পারে। এজন্য নিজের বাড়ি, বা কোন আত্মীয়ের বাড়ি গেলে অবশ্যই বাড়িতে তৈরি পুষ্টিকর খাবার খাবেন।

২) এভয়েড করার টেকনিক শিখতে হবে:

হোস্টেলে সাধারণত একসাথে অনেকে মিলে থাকতে হয়। সারাদিনের ক্লান্তির পর বা কোন বিশেষ সময়ে যদি অন্য কেউ আপনার সাথে কথা বলতে আসে বা কোনভাবে বিরক্ত করতে আসে তাহলে তা আপনার জন্য নিশ্চই ভালো নয়! তবে সব সময় মুখের “না” এবং না বোধক এক্সপ্রেশন দিয়ে আপনার বিরক্ত ভাব বুঝতে দেওয়া ঠিক নয়। যাদের সাথে আপনি থাকছেন তাদের সাথে কোনোভাবেই মনোমালিন্য বাড়ানো ঠিক না।

এজন্য আপনি বেশ কিছু পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। যেমন ঘরে কাউকে আসতে দেখলে আপনি ঘুমানোর ভান করতে পারেন বা কানে ইয়ারফোন গুজে গান শোনার ভান করতে পারেন। এতে করে সামনের মানুষটি আপনার ব্যস্ততা বা আপনার অবস্থাটি সম্পর্কে আঁচ করতে পারবে এবং তখন আপনাকে আর সে বিরক্ত করতে আসবে না বা কথা বলতে আসবে না।

৩) রুমমেটের সাথে সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘুরতে যান:

রুমমেট এর সাথে একটা ভালো বন্ডিং থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। পরবর্তী বেশ কিছু মাস বা বছর আপনাদেরকে একসাথে থাকতে হতে পারে। এমন অবস্থায় আপনাদের মধ্যে একটা ভালো বন্ডিং(Bonding With Roommate) অবশ্যই দরকার।

এজন্য আপনার রুমমেট এর সাথে সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘুরতে বেরোন। দুজনের ফাঁকা টাইম মিলিয়ে নির্দিষ্ট একটি টাইম বের করুন এবং সেই টাইমে কাছে পিঠে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসুন। ছোটখাটো একটি ট্রিটও দিতে পারেন একে অপরকে। এতে করে আপনাদের মধ্যে বন্ডিং মজবুত হবে এবং পরবর্তীকালে একসাথে থাকতে কোনো রকম সমস্যা হবার কথা নয়।

৪) আওয়াজের মধ্যে ঘুমানো অভ্যেস করুন:

হোস্টেলে একসাথে অনেকে থাকেন। সেখানে নির্দিষ্ট কোন একজনের সমস্যার জন্য বাকিরা অ্যাডজাস্ট(Adjust) করে না। তাছাড়া হোস্টেলে সর্বদাই আওয়াজ হয়। গানের আওয়াজ, চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ, টিভির আওয়াজ একপ্রকার লেগেই থাকে।

তবে এ সমস্ত শব্দের মধ্যেও আপনার ঘুমের সাইকেল যাতে নষ্ট না হয় ), সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সবথেকে ভালো উপায় হল আওয়াজের মধ্যে ঘুমানো অভ্যাস করা। আপনি যদি হোস্টেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এভাবে ঘুমানোর অভ্যাস করাটা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

বাড়িতে গান চালিয়ে ঘুমানো অভ্যাস করতে পারেন বা টিভি চালিয়ে ঘুমানো অভ্যাস করতে পারেন। এতে করে পরবর্তী জীবনে হোস্টেলে আপনি ঘুমের সমস্যার মধ্যে অন্তত পড়বেন না এবং আপনার স্লিপ সাইকেল ঠিক থাকবে।

৫) টাকা পয়সা নিয়ে সতর্ক হন:

হোস্টেলে থাকার সময় কখন যে আমাদের টাকা খরচ হয়ে যায়, অনেক সময় বোঝাই যায় না। এজন্য হোস্টেলে থাকার সময় অবশ্যই বেশ কিছু টাকা আলাদা করে রেখে দেবেন। যেটা পরবর্তীকালে আপনার এমার্জেন্সির(Emergency) সময় কাজে লাগতে পারে।

পাশাপাশি হোস্টেলে একসাথে অনেকে থাকার জন্য টাকা পয়সা চুরি হয়ে যাবার একটা ভয় থেকেই যায়। এজন্য টাকা-পয়সা অবশ্যই সুরক্ষিত কোন জায়গায় রাখুন। বাড়িতে টাকা-পয়সা এখানে ওখানে রাখলেও সমস্যা হয় না। তবে হোস্টেলে এই অভ্যাসটি একদম ত্যাগ করতে হবে।

হোস্টেলে থাকাকালীন আশেপাশে কোন উপায় মারফত উপার্জন করার চেষ্টা করুন। এই অতিরিক্ত টাকা হোস্টেলে পড়াকালীন আপনার কাজে লেগে যাবে। আশেপাশে কোন বাড়িতে ছোটখাটো বাচ্চাদের পড়িয়ে আপনি উপার্জন করতে পারেন। এতে করে আপনার হোস্টেল খরচ উঠে আসবে এবং অন্যান্য কাজের খরচও সামলে নিতে পারবেন খুব সহজে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular