HomeStudent Hacksপরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১১টি গুরুত্বপুর্ণ টিপস, যেগুলি আপনার কাজে আসবে অবশ্যই।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১১টি গুরুত্বপুর্ণ টিপস, যেগুলি আপনার কাজে আসবে অবশ্যই।

মানুষের জীবনে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে পরীক্ষা নেওয়া বিভিন্ন সময়ে। একদম শিশু বয়স থেকেই শুরু হয়ে যায় এই পরীক্ষার বিষয়। পরীক্ষা শেষের পরে তার ফলাফল নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত থাকে শিক্ষার্থীসহ সকল অভিভাবকেরাই। সকলের মধ্যেই ভালো ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হবার একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ছোট্ট কিছু ভুলের কারণে ভালোভাবে পড়াশোনা করে ভালো পরীক্ষা দেবার পরেও ভালো ফলাফল পান না বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী।

বাড়ির লোকের সাথে সাথেই শিক্ষার্থীর নিজেরও এতে মনোবল হ্রাস পায়। আজ এই প্রতিবেদনে তাই আমরা জানাতে চলেছি এমন কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস যেগুলি মেনে চললে অবশ্যই ভালো ফলাফল করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক।

নিচে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

i) প্রশ্নপত্রে মনোযোগ জ্ঞাপন:

প্রশ্ন দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আগে প্রশ্নপত্রটি পড়ে নেবেন পরীক্ষার্থী। এর ফলে কোন প্রশ্নগুলি সহজ এবং কোনগুলি কঠিন সেসব বুঝে উত্তর দিলে উত্তর সুন্দর হবে এবং বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।

ii) প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু না লেখা:

অনেক পরীক্ষার্থীই মনে করে যে বেশি লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ধারণা ঠিক নয় বরং ‘to the point’ উত্তর লিখলে তবেই নম্বর বেশি দেন শিক্ষকেরা। অহেতুক বেশি লম্বা লেখা পড়তে অনেক শিক্ষকেরই ধৈর্য্যও থাকে না।

iii) সহজ প্রশ্ন নির্বাচন করা:

প্রথমেই দেখে নিন যে কোন প্রশ্নগুলি আপনার কাছে সহজ এবং কোনগুলি কঠিন। আপনার কাছে যেগুলি সহজ সেগুলির উত্তর আগে করুন। প্রথম থেকে ঠিকমতো আপনি উত্তর দিলে নম্বরও বেশি পাবেন। উত্তর ভুলভ্রান্তি পূর্ণ হলে অবশ্যই বেশি নম্বর আপনি পাবেন না।

iv) উত্তরপত্র সাজিয়ে নেওয়া:

উত্তর লেখার মধ্যে আমাদের সকলেরই এক্সট্রা পেপার লাগে। এই আলাদা পেইজের ওপরে নম্বর দিলে পরে উত্তরপত্র গোছানোর সময় ভুলভ্রান্তি হবেনা। পেজের ওপরে ‘page no:1’ এইভাবে লিখে দিতে পারেন। পরে আপনারই সুবিধা হবে।

v) একটি প্রশ্নের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করা:

প্রতিটি প্রশ্নের জন্য আলাদা আলাদা সময় রাখুন যেমন এক নম্বরের প্রশ্নের জন্য এক মিনিট, দুই নম্বরের প্রশ্নের জন্য পাঁচ মিনিট -এইভাবে সব প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য আলাদা আলাদা সময় রাখলে হাতে অনেকটাই সময় পাবেন সব প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লেখার জন্য।

vi) উত্তরপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা:

উত্তরপত্রে বেশি কাটাকুটি বা বেশি বাজে ভাবে লিখবেন না। উত্তরপত্র যেনো দেখতে সুন্দর হয়। সকলের হাতের লেখা সুন্দর হয় না কিন্তু হাতের লেখা অবশ্যই পরিষ্কার করা যায়। সুস্পষ্ট হাতের লেখা হলে এমনিতেই উত্তরপত্র দেখতে সুন্দর হয় আর তাতে নম্বর বেশি পাওয়া যেতে পারে।

vii) পয়েন্ট-এর ব্যবহার:

প্রতিটি বড়ো প্রশ্নের জন্য বা অপেক্ষাকৃত সামান্য বড়ো প্রশ্নের জন্য পয়েন্টের ব্যবহার করুন। Point ব্যবহার করে উত্তর লিখলে তা দেখতেও সুন্দর লাগে আর বোঝানো সহজ হয় নিজের লেখার ভাষাকে।

viii) দুই রকম কালির পেনের ব্যবহার:

উত্তর লেখার সময় নীল এবং কালো, এই দুই রকমের কালির পেন ব্যবহার করুন। কালো কালিতে পয়েন্ট এবং নীল কালিতে পয়েন্টের বিষয়ে লিখুন। এতে করে আপনার দেওয়া উত্তর বোধগম্য হবে। শিক্ষক নিজেও পছন্দ করবেন আপনার উত্তর।

ix) গণিত ও ভূগোলের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ছবি অঙ্কন:

গণিত এবং ভূগোল, এই দুটি বিষয়েই একমাত্র ছবি অঙ্কন অথবা ম্যাপ পয়েন্টের ব্যাপার থাকে। তাই যতটা সম্ভব এই ছবি স্পষ্ট করুন। ছবি অস্পষ্ট হলে অর্থাৎ শিক্ষক যদি আপনার ছবি বুঝতে না পারে তাহলে কিন্তু নম্বর দেবেন না।

x) উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা:

সব প্রশ্নের উত্তর লেখার পরে অবশ্যই বারংবার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করুন। কোনো প্রশ্ন বাদ গেলো কিনা, কোথাও ভুল হয়ে গেলো কিনা এগুলো দেখে নিন। এসব ভুলের জন্য কিন্তু প্রচুর নম্বর কাটা যায়।

xi) খুব বেশি তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে উত্তর দেওয়া:

সময় তিনঘন্টা। এর মধ্যে যদি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা যায়? এই ভয়ে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে উত্তর দেবার চেষ্টা করেন যার ফলে প্রচুর ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়। সুতরাং তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে আসতে আসতে উত্তর দিন।

উপরোক্ত কথাগুলো মেনে চললে আশা রাখি সকল পরীক্ষার্থী তাঁদের মনমতো ফলাফল করতে পারবেন। চেষ্টা করেই দেখুন।

-Written by Riya Ghosh

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular