HomeStudent Hacksচটজলদি পড়া মনে রাখার ২১টি উপায়। জেনে নিন।

চটজলদি পড়া মনে রাখার ২১টি উপায়। জেনে নিন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সারাদিন রাত প্রচুর পড়াশোনা করলেও কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারে না। আবার অনেকেই আছেন যারা অল্প পড়েই, অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো সাফল্য অর্জন করেন ফেলে। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এক একজন এক এক দিকে ভালো হয়। কেউ বা পড়াশোনাতে ভালো হয়, কেউ বা কোনো রকম আলাদা স্কিলের দিক থেকে ভালো হয়। আবার এমনও দেখা গিয়েছে যারা পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং সমস্ত রকম দিক থেকেই তাদের বেস্ট পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে।

অনেক সময় দেখা যায় মন দিয়ে পড়াশোনা করা সত্ত্বেও আমরা সফলতা থেকে মাত্র কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়ে থাকি। আর কিছুটা এফোর্ট দিলেই সফলতার শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব হয়। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হলো তাদের পড়া আয়ত্ত হয় না বা হলেও পড়া মনে থাকে না বেশিক্ষণ।

আজকের এই প্রতিবেদনটি বিশেষ করে সাধারণ মানের শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা পড়া মনে রাখতে সমস্যার মধ্যে পড়েন এবং পরবর্তীকালে তাদের ফলাফল খারাপ হয়। এই প্রতিবেদনটি বিশেষ করে তাদের জন্যই যারা অল্প সময় পড়াশোনা করে সাফল্য লাভ করতে চান। তবে মনে রাখতে হবে যে শর্টকাট সিস্টেম কখনোই ভালো নয়, পড়াশোনা করতে হবে একটি সিস্টেমেটিক উপায়ে যেখান থেকে খুব সহজেই পড়া মনে রাখা সম্ভব। এই প্রতিবেদনে রইলো ২১ টি চটজলদি পড়া মনে রাখার টিপস।

১. সময়ের তালিকা তৈরি করা।

পড়াশোনা নিয়ে একটা জট আমাদের মাথায় চলে, সেটা হল কোন বিষয় কখন পড়বো, কতক্ষণ পড়বো, কোন বিষয়টি আগে পড়বে, কোনটি পরে পড়বো ইত্যাদি। এই জট খুলতে খুলতে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায় এবং ঠিকমতো খুলতে না পারলে অনেক সময় বেশ কিছু সাবজেক্ট পড়ার বাইরে বেরিয়ে যায়।

সাইকোলজি অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্ক যতক্ষণ না বিভিন্ন কাজের চিন্তাভাবনার সাথে সমঝোতা করতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থির হতে পারে না এবং এমন অবস্থায় পড়াশোনাও ঠিকভাবে মনে রাখা সম্ভব হয় না। 

ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত ঘুম থেকে উঠেই একটি ডাইরিতে বা কাগজে সারাদিনের পড়ার একটি তালিকা তৈরি করে ফেলা এর জন্য মোবাইলের রিমাইন্ডার, বা টু ডু লিস্ট অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এখানে কখন কি পড়বেন, কতক্ষণ পড়বেন তার একটি সুস্পষ্ট তালিকা তৈরি করে সেটি সারাদিন ফলো করলে আর এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। ফলে সমস্ত বিষয়গুলি পড়াশোনার মধ্যে থাকবে এবং পড়া মনে রাখার সম্ভাবনা বাড়বে অনেকটাই বেশি।

২. আলসেমি কমাতে হবে।

অনেক সময় অলসতার কারণে পড়তে বসতে দেরি হয়ে যায় বা সঠিক সময়ে পড়া না করার জন্য সেই পড়াটি আর মুখস্ত হয়ে ওঠেনা। একটু পরে পড়বো বলে অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুকের মধ্যে প্রবেশ করেন এবং সেটি ব্যবহার করতে করতে বেশ বড় একটা সময় অপচয় হয়। সময় একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না, তাই আলসেমি কমাতে হবে। আলসেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে একবার জিতে যেতে পারলেই আলসেমি আর আপনাকে পেয়ে বসবে না। ফলে সঠিক সময়ের কাজ সঠিক সময়ে করার অভ্যাস তৈরি হবে এবং পরবর্তীকালে এর সুফল পাবেন সারাজীবন ধরে।

৩. পড়াশোনা করার সঠিক সময় বেছে নিন।

কখন পড়তে বসবেন? এর উত্তর হতে পারে সকালবেলা। যদিও পড়াশোনা করার নির্দিষ্ট কোন সময় হয় না। দিনের যে কোন সময়ই আপনারা বই খুলে পড়তে বসে যেতে পারেন।। তবে, রিসার্চে দেখা গিয়েছে সকাল বেলায় আমাদের মস্তিষ্ক সব থেকে বেশি অ্যাক্টিভ থাকে এবং এ সময় যে কোন পড়া দ্রুত বুঝে ফেলা সম্ভব হয়। আরো একটি বিষয় হল সকালের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, instagram, whatsapp এ সাধারণ মানুষের আনাগোনা কম থাকে। ফলে এ সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট করারও সময় থাকে না। খুব সকালে পড়লে সেই পড়া তাড়াতাড়ি মনে থাকবে এবং বুঝতেও পারবেন অত্যন্ত দ্রুত।

৪. পড়ার মাঝে বিরতি নিন।

কখন বই পড়বেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা হয়ে গেল। এবার পরবর্তী প্রশ্ন আসে একটি পড়া কতক্ষণ ধরে পড়বেন? যদিও এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর হয় না। যে বিষয় আয়ত্ত করতে যতটা সময় লাগে ততটা সময় ব্যয় করতেই হবে সেই বিষয়ের উপরে। তবে একটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, আমাদের শরীর রোবট নয়। একটানা অনেকক্ষণ পড়লে হিতে বিপরীত হতে পারে।

সাইকোলজি অনুযায়ী প্রতি এক দেড় ঘন্টা পড়ার পর আমাদের অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া উচিত। এতে করে শরীরেও একটা রিল্যাক্স ভাব আসবে এবং মস্তিষ্কও কিছুটা বিরতি পাবে। এর ফলে পড়া মনে রাখতে আরো সুবিধা হবে।

৫. পড়ার সময় মোবাইল দূরে রাখুন।

পড়ার সময় আমাদের মনোযোগ নষ্ট করার অন্যতম একটি প্রধান জিনিস হল মোবাইল। অনেক সময় দেখা যায় পড়তে পড়তে আমাদের হাত মোবাইলের দিকে চলে যায় এবং একবার সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য যে কোন প্লাটফর্মে ঢুকে গেলে সেখানে আমাদের অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়। এজন্য পড়তে বসার সময় মোবাইল ফোনটিকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে এবং দরকার ছাড়া সেটি যদি ব্যবহার করার দরকার নেই।

পড়ার ফাঁকে বিরতি নেওয়ার সময়টিও বিচক্ষণতার সাথে কাজে লাগাতে হবে। এই সময়ও মোবাইল ব্যবহার করলে অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যাবে যার হুঁশ থাকে না আমাদের। ফলে সমস্যার মধ্যে পড়া স্বাভাবিক। এছাড়া পড়তে পড়তে হঠাৎ মোবাইলের মধ্যে ব্যস্ত হয়ে গেলে এতক্ষণ ধরে পড়ার বেশিরভাগ অংশটাই মাথা থেকে বেরিয়ে যায় এবং মুখস্ত হতে অনেকটাই বেশি সময় লাগে। তাই পড়তে বসার সময় অবশ্যই মোবাইলটি দূরে রাখুন এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন।

৬. শরীরের যত্ন নিন।

জোর করে রাত জেগে পড়তে গিয়ে বা অসময়ে খালি পেটে পড়ার সময় আমাদের অনেকেরই শরীর খারাপ করে। তার ফলে পড়াশোনায় উন্নতি হওয়ার বদলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। ফলে পড়াশোনার ওপর প্রভাব পড়ে এবং ঘাটতি দেখা যায়। এজন্য অবশ্যই শরীরের যত্ন নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। শরীরে না নিতে পারলে রাত জেগে পড়া উচিত নয়। খালি পেটে বা দীর্ঘসময়ের জার্নি করে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত। পড়ার সময় প্রতি ৪০-৪৫ মিনিট পর পর একগ্লাস করে জল খাওয়া উচিত। এছাড়া যে সমস্ত খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে বা অতিরিক্ত তেল, ঝাল, ফ্যাট জাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত।

৭. হিসাব মাফিক পড়াশোনা করুন:

অনেক সময় একটানা বেশি বেশি পড়লেই যে পড়া তাড়াতাড়ি মনে থাকবে, তেমনটা নয়। পড়ার সময় অবশ্যই হিসাব মাফিক পড়াশোনা করতে হবে। কোন বিষয়ে কতটা পড়া হয়েছে, কতটা বাকি রয়েছে এবং এর পিছনে আর কতটা সময় পড়া উচিত সেই বিষয়ে একটা সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি করা উচিত। অনেক সময় আমরা কোন পড়া পরের দিন করবো বলে রাত্রে বন্ধ করে রাখি এবং পরেরদিনও উপযুক্ত সময় বা সুযোগের অভাবে পড়া হয়ে ওঠে না। এমন করে অনেক হিসাবই আমাদের গোলমাল হয়ে যায়। এজন্য হিসেব ঠিক রাখার পাশাপাশি সেটি সঠিক সময়ে পূরণ করতেও হবে।

৮. অতিরিক্ত চাপ সামাল দিন।

অনেক সময় দেখা যায় আমাদের প্রাইভেটের পড়া, স্কুল কলেজের পড়া, কুইজ, প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট সব মিলিয়ে মাথার মধ্যে অতিরিক্ত প্রেসার জমা হয়। যার কারণে আমাদের শরীর খারাপ হবার পাশাপাশি পড়াশোনার ওপারেও খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে।

প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একদিন এই সমস্ত কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। সেদিন সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া বা অদরকারী কাজ ছেড়ে এই সমস্ত অতিরিক্ত কাজগুলি সম্পূর্ণ করতে হবে।

৯. শর্টকাট মনে রাখতে হবে।

অংক এবং বেশ কিছু বিষয়ের এমন কিছু শর্টকাট ফর্মুলা থাকে যেগুলি ব্যবহার করলে পড়া বুঝতে সমস্যা হয় না। গাণিতিক প্রশ্নাবলী তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায় এবং পড়াশোনার দিক থেকে অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়।

ছোটবেলায় আমরা সরল অংক করার সময় শিখেছিলাম BODMAS নিয়ম। এমন আরো নিয়ম আছে যেগুলি ব্যবহার করে পড়ালেখা আরো অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

১০. মার্কার পেন এবং হাইলাইটার ব্যবহার করো।

গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিস চোখে পড়লেই সেটি মার্কার পেন এবং হাইলাইটার দিয়ে হাইলাইট করে ফেলো। পরবর্তীকালে পড়ার সময় সেই লেখাগুলি চোখে ভাসলে জিনিসটি বুঝতে সুবিধা হবে এবং আগের পড়ার কথাটি খুব তাড়াতাড়ি মনে পড়ে যাবে।

এটি মেধাবী ছাত্রদের সফলতার অন্যতম একটি টিপস। তারা কোন জিনিস খুঁটিয়ে পড়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলিতে হাইলাইটার ব্যবহার করে থাকেন। ডিভিশন দেবার আগে ওই জিনিসগুলি সহজে চোখে পড়ে এবং এর ফলাফল সরাসরি পেয়ে যাবেন পরীক্ষার খাতায়।

১১. স্পেসড রিপিটেশন টেকনিক ব্যবহার করো।

একটানা ‘পড়া – পড়া – পড়া’ এর থেকে ‘পড়া – বিরতি/ঘুম – পড়া’ টেকনিক ব্যবহার করে পড়াশোনা করলে পড়া মুখস্ত হয় খুব দ্রুত। সাইকোলজি বলে একটানা পড়ার থেকে যদি আমরা মাঝখানে বিরতি নিয়ে বা ঘুম দিয়ে আবার পড়তে শুরু করি তাহলে সেই পড়া আমাদের বেশি মনে থাকে এবং বুঝতেও সুবিধা হয়।

তাই একটানা দীর্ঘক্ষণ না পরে মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি নিতে পারো বা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে আবার পড়তে পারো এতে করে স্মৃতিশক্তি আরো বেশি সবল হয় এবং পড়া বুঝতে, মুখস্ত করতে এবং মনে রাখতে সুবিধা হয়।

১২. পড়ার জায়গা বেছে নিন।

কোলাহলপূর্ণ বা অপরিচ্ছন্ন জায়গায় পড়লে মনের দিক থেকে একটা অস্থিরতা কাজ করে এবং পড়া বুঝতে এবং মনে রাখতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এজন্য পড়াশোনা করার জন্য সর্বদা এমন কোন জায়গা বেছে নিন যেটি নির্জন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হতে পারে এটি আপনার ব্যক্তিগত টেবিল, পড়ার ডেস্ক বা জানালার পাশের কোন জায়গা। বা ছাদে গিয়েও পড়া যায়, কারণ সেই জায়গাটিও বেশ নির্জন হয়।

১৩. অন্যকে শেখাও।

আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন যদি তুমি কোন জিনিস নিজে ভালোভাবে না বোঝো, তাহলে সেটি অন্যকে বোঝাতে পারবে না। কোন কিছু শেখার পর যদি সেই বিষয়টি আপনি অন্য কাউকে বোঝাতে না পারেন তাহলে আপনার শিক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। যখনই নতুন কিছু শিখবে তখনই সেটা অন্য কাউকে শেখানোর চেষ্টা করবে। তাতে করে শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে এবং সেই শেখা অধিকতর স্থায়ী হবে।

১৪. ব্যবহারিক প্রয়োগ বাড়াও।

কোন কিছু শেখার পর যদি সেই জিনিসটির বাস্তবিক প্রয়োগ থাকে তাহলে সেটি চেষ্টা করো। বিশেষ করে অংক বিষয়ের ক্ষেত্রে যখন আমরা লাভ ক্ষতি, সরল সুদ বা শতকরার অংক শিখতে চাই তখন যদি সেই জিনিসগুলি আমরা বাস্তবে প্রয়োগ করি, তাহলে বিষয়টি বুঝতে এবং মনে রাখতে আমাদের আরও বেশি সুবিধা হবে।

১৫. নিজে থেকে নোট তৈরি করুন।

এই কাজটি বেশ বিরক্তিকর মনে হতে পারে। অনেক সময় আমরা স্কুল বা প্রাইভেটে যা শুনি বা পড়ি সেগুলি খাতায় না বুঝেই লিখতে শুরু করে দিই। এই জিনিসগুলি থেকে আদতে কোন লাভ হয় না। একটি বিষয়ে নোট নেওয়ার পর সেটি বুঝে নিজে একটি নোট তৈরি করতে পারলে আপনার বোঝার এবং শেখার ক্ষমতা আগের থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

১৬. মন সতেজ রাখুন।

পড়তে বসার একটু আগে হালকা শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করে নিলে মনের দিক থেকে বা শরীরের দিক থেকে অনেকটা সতেজ অনুভূত হবে। ব্যায়াম করতে না চাইলে আপনি বাড়ির চারিধারে এক পাক হেঁটেও নিতে পারেন। এতে করে প্রফুল্ল এবং সতেজ মন নিয়ে পড়তে পারবেন এবং পড়াতে মনসংযোগ বাড়বে আগের থেকে অনেকটাই বেশি।

১৭. “Pomodoro Technique” কাজে লাগাও।

বিজ্ঞানীদের মতই আমাদের মস্তিষ্ক একটানা কুড়ি ৩০ মিনিটের বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। এই সময়ের পরেই ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক মনোযোগ হারতে থাকে। আর এই মনোযোগ ফেরানোর পদ্ধতি হল Pomodoro Technique! কোন কাজ করার সবাই অন্তত ২৫-৩০ মিনিট পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নেওয়া উচিত এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ক তার মনোযোগ ধরে রাখবে এবং পুনরায় সেই কাজটি বা পড়া শুরু করলে আমরা আরো মনোযোগ সহকারে বিষয়টির মধ্যে প্রবেশ করতে পারব।

১৮. গল্পে গল্পে শেখার অভ্যেস করো।

অনেক সময় স্যার পড়াতে পড়াতে কি গল্প করেছেন তা আমরা ভুলে যাই, তবে গল্প করতে করতে কোন জিনিস আমাদের বুঝিয়েছিলেন, আমরা সেই বিষয়টি আরো ভালোভাবে মনে রাখতে পারি।

আমাদের ইতিহাস, ভূগোল বইগুলি অনেক তথ্যে ভরপুর থাকে। যেগুলি আমরা নির্বোধের মতো পড়তে থাকি। ফলে মুখস্ত করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আর কিছুটা সময় গেলেই সেই মুখস্ত করা জিনিসও আমরা ভুলতে শুরু করে দিই। তবে এই সমস্ত জিনিসগুলি আমরা যদি গল্পের মত করে পড়তে থাকি তাহলে বিষয়গুলি মনে রাখতে, বুঝতে এবং ব্যবহারিক প্রয়োগে বেশ সুবিধা হয়।

১৯. ঘুমানোর আগে পড়ুন:

আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক তার আগের সমস্ত স্মৃতি সংরক্ষণ করা শুরু করে এই জন্য ঘুমানোর আগে বই পড়া উচিত তাছাড়া ঘুমানোর আগে পরিবেশ থাকে নির্জন এই পরিবেশে পড়লে তাড়াতাড়ি বোঝার এবং মুখস্থ করার সুযোগ পাওয়া যায়। ঘুমানোর আগে কোন কিছু পড়লে সেটি মুখস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্য পড়ার তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

২০. শব্দ করে পড়ুন।

ছোটবেলায় জোরে জোরে বই পড়ার অভ্যাস থাকে আমাদের প্রায় সকলের। বড় হওয়ার সাথে সাথে এই অভ্যেসটি ক্রমশ কমতে থাকে। সাইকোলজি বলে জোরে জোরে আওয়াজ করে পড়লে আমাদের সেই পড়াটি বুঝতে এবং মনে রাখতে সুবিধা হয়।

অপরদিকে মনে মনে পড়লে এবং শব্দ না করে পড়লে সেই পড়াটি মনে রাখার এবং মুখস্ত করার ক্ষমতা কমতে থাকে এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এজন্য অবশ্যই জোরে আওয়াজ করে পড়া উচিত।

২১. গ্রুপ স্টাডি করুন।

পড়া মনে রাখার জন্য অন্যতম একটি ভালো টিপস হল গ্রুপ স্টাডি করা। গ্রুপ স্টাডি করলে একসাথে অনেকজন বন্ধুরা তাদের জ্ঞানের ভান্ডার শেয়ার করতে পারে। পাশাপাশি আগের দিনের পড়া অন্যকে ধরে দেওয়ার মাধ্যমে নিজের পড়া ঝালাই হয়ে যায় এবং তারও মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে গ্রুপ স্টাডি করার সময় মোবাইল বা এমন ডিস্টার্বিং জিনিস পড়ার আশপাশ থেকে দূরে রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular