আপনার সন্তানের কী ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে পড়াশোনার ক্ষেত্রে? ছোট্ট খুদের পড়াশোনা নিয়ে কোন কী আপনি চিন্তিত? স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ব্রেনোলিয়া (Branolia) থেকে শুরু করে ব্রাহ্মী শাক, কিছুই বাদ রাখেন নি তবুও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে চিন্তিত? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের জন্য। আপনার সন্তানের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু উপায় (Tips for Memory Boosting) বলবো আমরা যেগুলি কাজে লাগালে উপকার অবশ্যই পাবেন। জেনে নিন বিস্তারিত।
১) পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার(Sufficient Food):
বাচ্চা কি খেতে চায়না? কিন্তু ঠিকঠাক পুষ্টি না পেলে সে পড়াশোনা মনে রাখবে কী করে? তাই বাচ্চাকে যেভাবেই হোক, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার (Healthy Food) খাওয়ান।
একটি শিশু কেমন খাবার খাচ্ছে, ঠিকঠাক পুষ্টি (Appropriate Nutrition) পাচ্ছে কিনা -তার ওপরেও কিন্তু নির্ভর করছে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ। এর জন্য বাচ্চার খাবারে অবশ্যই প্রচুর সবুজ শাক সবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, বাদাম, ফল ইত্যাদি রাখুন। স্মৃতিশক্তি (Memory Power) বাড়তে বাধ্য।
২) মোবাইল দেখার সময়(Screen Time):
এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে মোবাইল ঘাঁটার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। যা বাচ্চার চোখ, মন এবং মস্তিষ্ক; সবকিছুর জন্যই খুব ক্ষতিকর(Injurious)। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবার বদলে হ্রাস পায় এতে। তাহলে কি করণীয়?
ভীষণ জরুরী হলো মোবাইল দেখার সময় বা স্ক্রিন টাইম কমানো(Reduce Screen Time)। বিজ্ঞানীদের কথায়, অতিরিক্ত ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করলে এতে Cognitive Function এর কার্যক্ষমতা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই মোবাইল ব্যবহারের (Mobile Phone Use) সময় বেঁধে দিতেই হবে।
৩) নিয়মিত ঘুম(Regular Sleep):
একটি শিশুর দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের সময়। এই ব্যাপারটি অবশ্যই মাথায় রাখুন। আপনার সন্তান যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে পারে রোজ সেই ব্যাপারে নজর রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুমের (Appropriate Sleep Time) ফলে আমাদের শরীরে Happy Hormone এর ক্ষরণ হয়। যার ফলে সারাদিন মন ভালো থাকে এবং মন ভালো থাকলে, ফ্রেশ থাকলে স্মৃতিশক্তিও (Memory Power) অনেকটাই ভালো হয়। বয়স অনুযায়ী ঘুমের সময় ভিন্ন তবে একটি গড় অনুপাতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (Adult Human) দিনে ৬ ঘন্টা ঘুম জরুরি। তাই বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় ধরে রোজ ঘুমোনো অভ্যাস করুন তাহলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা (Working Capecity of Brain) অনেকটাই বেড়ে যাবে।
৪) রঙের ব্যবহার বেশি(More Use of Colour):
বাচ্চারা রং ভালোবাসে এবং রঙিন ছবি দেখে পড়াশোনা করলে পড়া মনে থাকে বেশি। তাই পড়া যাতে মনে থাকে, তার জন্য বাচ্চাকে নানারকম রঙিন ছবির (Colouring Picture) সাহায্যে পড়ান।
সরকারি স্কুলে (Govt School) বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য নানারকম নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। আপনিও এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করে একঘেয়েমির বদলে নতুন নতুন পন্থায় বাচ্চাকে পড়ান।
৫) নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলা(Regular Play and Exercise):
আজকাল বাচ্চারা পড়াশোনার চাপে পরে আর খেলার সময় পায়না। কিন্তু এই খেলাধুলা যে কতখানি দরকারি তা সকলেই জানেন। শুধু খেলাধুলা নয়, নিয়মিত ব্যায়ামও দরকার খুব। শুধু যে এতে শরীর সুস্থ থাকে তা কিন্তু নয়, নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধুলা কিন্তু স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ভীষণভাবে।
ডাক্তারদের মতে (According to Doctors) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। এর ফলস্বরূপ এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ক্ষরণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বৃদ্ধি পায় স্মৃতিশক্তি(Memory Power)।
-Written by Riya Ghosh