উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ছাত্রছাত্রীদের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) এবার নিয়ে এল এক অনন্য উদ্যোগ – একটি ৯ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স (Certificate Course), যা ভবিষ্যতে চাকরি বা চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে খুলে দিতে পারে এক নতুন দিগন্ত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই কোর্সটি পরিচালনা করছে একটি খ্যাতনামা বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital)।
কোর্সটির নাম Dialysis Technician Certificate Course।
বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় (Healthcare Sector) ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে, আর এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই কোর্সের সিলেবাস (Dialysis Technician Certificate Course Syllabus)।
Dialysis Technician Certificate Course এ ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন সেই সব ছাত্রছাত্রীরা, যারা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে (Science Stream) উত্তীর্ণ হয়েছেন। মোট আসন সংখ্যা মাত্র ২৫টি (Limited Seats), তাই যত শীঘ্রই সম্ভব আবেদন করুন।
-
ক্লাসের সময়সূচি:
প্রথম তিন মাস, সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হবে।
প্রতি বুধবার বিকেল ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত Theory Class চলবে। পরবর্তী সময় Practical Training শুরু হবে, সপ্তাহে তিন দিন করে।
-
আবেদনের পদ্ধতি:
অনলাইনে আবেদন করতে হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (Official Website) থেকে। নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তিটি ‘Homepage’-এ প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনপত্র (Application Form) জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ আগস্ট। এরপর ২৬ আগস্ট ভর্তি (Admission) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং সম্ভাব্য ক্লাস শুরুর তারিখ ২৮ আগস্ট ধরা হয়েছে।
বিশদ তথ্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন অথবা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রশিক্ষণার্থীরা মূলত বিভিন্ন হাসপাতাল (Hospitals), ডায়ালিসিস সেন্টার (Dialysis Centers), নার্সিং হোম (Nursing Homes) কিংবা ক্লিনিকে (Clinics) ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান (Dialysis Technician) হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তাঁদের কাজের মধ্যে থাকবে রোগীদের ডায়ালিসিস মেশিন পরিচালনা করা, ডায়ালিসিস প্রক্রিয়া শুরুর আগে-পরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া, রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ (Patient Monitoring) করা এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।
Dialysis Technician Certificate কোর্সটি একদিকে যেমন জীবনদায়ী চিকিৎসাক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে, তেমনই ছাত্রছাত্রীদের একটি স্পেশালাইজড স্কিল (Specialized Skill) শেখার সুযোগ করে দেবে, যা চাকরির বাজারে এক্সট্রা অ্যাডভান্টেজ এনে দেবে।