গত শুক্রবার কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই বেশ তাপমাত্রা কমেছে রাজ্যের আবহাওয়ার। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে অনেকটাই স্বস্তি পেলেন শহরবাসী এবং তার সাথে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে আশা করা যাচ্ছে যে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই খুলে যাবে রাজ্যের স্কুল গুলি। সংশ্লিষ্ট মহল গুলিও দাবি করছে যে খুব তাড়াতাড়ি স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। না হলে সিলেবাস হয়তো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না।
রাজ্যে প্রায় দেড় মাস ধরে চলল গরমের ছুটি(Summer Vacation WB)। প্রবল দাবদাহর কারণে গত ২ মে তারিখ থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। সিলেবাস চাপে চিন্তিত বর্তমান পড়ুয়ারা। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৃষ্টির কারণে সাময়িক স্বস্তি মিললেও সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হওয়ার কোন কারণ নেই। আবারো ফিরে আসতে পারে অস্বস্তিকর গরম। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপ প্রবাহ সংক্রান্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বভাস দেওয়া হয়েছিল ঠিকই, তবে দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা আসবে তা নিয়ে এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
এই কারণে আশা করা যাচ্ছে যে আবহাওয়া পরিস্থিতি বদলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বদলাতে পারে রাজ্যের ছুটির তারিখ। তাপ যদি অত্যাধিক না বাড়ে, তাহলে আশা করা যাচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি খুলে যাবে এবং আগের মতই পঠন পঠন শুরু হয়ে যাবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী ১৪ই জুন পর্যন্ত চলবে গরমের ছুটি এবং ১৫ জুন থেকে রাজ্যর সরকারি স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হবে। বেসরকারি স্কুলগুলিও ঠিক করেছে যে আগামী ১৫ জুন থেকে তাদের স্কুলগুলি খুলে যাবে। যদিও দুই একটি স্কুল আর দু একদিন পরে খুলতে পারে। রাজ্য সরকারি স্কুল গুলি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও বেসরকারি স্কুলগুলিতে অনলাইনের মাধ্যমে পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চলছে। যাতে করে তাদের সিলেবাস শেষ হওয়া সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে পরবর্তীকালে পড়তে হবে না।