মহার্ঘ ভাতা(DA) সংক্রান্ত আন্দোলন প্রায় ১০০ দিন পূরণ করতে চলল। এখনো পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার কোন নির্দিষ্ট দফারফা হয়নি, তবে সরকারি কর্মচারীরা যথেষ্ট আশাবাদী যে এই মামলায় তারাই জয়ী হবেন।
কিছুদিন আগে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সাথে একটি বৈঠকে বসে রাজ্য সরকার। বৈঠকে ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচজন কর্মী, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির দুইজন সদস্য এবং তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী ফেডারেশনের দুজন সদস্য। রাজ্য সরকারের তরফে অংশগ্রহণ করেছিলেন মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী , স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা এবং অর্থ সচিব মনোজ পন্থ। এই বৈঠকে আন্দোলনকারীদের একটি বড় আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এই আশ্বাস যদিও মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত না , তবে এটির যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে সরকারি কর্মচারীরা লাভবান হবেন।
মহার্ঘ ভাতা আন্দোলনকারীরা এবং যৌথ মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো সরকারি হেলথ স্কিম (West Bengal Health Scheme) এর সুবিধা দিতে হবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এবং মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের। মহার্ঘ ভাতা ইস্যুতে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে এই দাবিও তোলা হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি যে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত , সরকারি স্কুল এবং মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের আওতায় আনতে হবে। অর্থ সচিব মনোজ পান্থ জানিয়েছিলেন এই সুপারিশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সুপারিশ মেনে নিলেই তা বাস্তবায়িত করা হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ যে, রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের বেতন থেকে প্রত্যেক মাসে কিছু টাকা কাটা হয় স্বাস্থ্য বরাদ্দের নামে। এর বদলে তাদেরকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে বিভিন্ন চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
আন্দোলনকারীদের দাবি যে, বাকি রাজ্যবাসী যদি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদের কাছ থেকে কেন টাকা কেটে নেওয়া হবে? অর্থ সচিবের দেওয়া এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে হাসি ফুটবে সরকারি কর্মচারীদের মুখে। বর্তমানে রাজ্যের কোটি কোটি বাসিন্দারা কোনরকম টাকা না দিয়েই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা পাচ্ছেন। আর রাজ্যের অন্তত ৬০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে টাকা দিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বরাদ্দ বাবদ।