সম্প্রতি ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে হাইকোর্টে বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ গাঙ্গুলীর নির্দেশে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে। তাদেরকে সমস্ত বেতন সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট এবং তা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাও করেছে চাকরি যাওয়া প্রার্থীরা।
তদন্তের সূত্র ধরে OMR Sheet বিকৃত করে ২৮২৩ জনকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে হাইকোর্টে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এর পক্ষ থেকে জানানো যায় যে ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জন প্রার্থী পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলের গ্রুপ ডি পদে চাকরি করছে ইতিমধ্যেই। হাইকোর্ট থেকে অবিলম্বে তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলা হয় এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে।
হাইকোর্টের নির্দেশে যে ১৯১১ জন প্রার্থী চাকরি হারিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন স্কুলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং গ্রুপ ডি পদে যে সমস্ত কাজ করতে হতো সে সমস্ত কাজই তারা করতেন।
আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেশ জোরদার করেছে শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা কেন্দ্রে রিয়াল টাইম আপডেট পেতে নতুন অ্যাপ চালু করার কথাও হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। কিন্তু তারই মধ্যে ১৯১১ জন প্রার্থী চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে পরীক্ষার ক্ষেত্রে।
কয়েকটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, যে সমস্ত প্রার্থীরা বর্তমানে চাকরি হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকেরই আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব নেবার কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ১৯১১ জন প্রার্থী চাকরীচ্যুত হবার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলানোর ক্ষেত্রেও ১৯১১ জন প্রার্থীর খামতি থেকে যাবে।
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রত্যেকটি কেন্দ্রের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে এক, দুই বা তিনজন করে প্রার্থী শর্ট পড়তে পারে এই চাকরি বাতিলের দরুন। যেহেতু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবারের পরীক্ষায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো খামতি রাখতে চাইছে না, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে বা বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা প্রার্থীদের শর্টেজ পূরণ করতে আরো নতুন প্রার্থীদের দায়িত্বে নিয়োগ করতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কে।
তাই আশা করা যাচ্ছে যে আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই চাকরি বাতিলের কোন প্রভাব পড়বে না এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার সাথে এগোবে।