বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness Allowence) এবং মহার্ঘ্য ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়ে আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। একদিন রাজ্য সরকার এর সরকারি কর্মচারীরা কেউ কাজ করবেন না বলে জানানো হয়েছে। (WB DA Protest)
এদিকে এই ধর্মঘট নিয়ে বিরক্ত রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। ধর্মঘট রুখতে একাধিক চিন্তাভাবনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে আসন্ন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে।
বিজ্ঞপ্তি তে জানানো হয়েছে যে আগামী ১০মার্চ, শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মচারীকে প্রথম বা দ্বিতীয় ভাগ বা পূর্ণদিবস ছুটি দেওয়া হবে না। এছাড়া কোনরকম ‘ক্যাজুলয়াল লিভ'(Casual Leave) নিতে পারবেন না কর্মচারীরা। অর্থ দফতর এর বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ওইদিন স্কুল-কলেজ-সহ রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান পূর্ণসময় খোলা থাকবে।সরকারি কর্মচারী নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে ১০ মার্চ কোনরকম ছুটি নিতে পারবেন না।
নবান্নের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে আগামী ১০ মার্চ রাজ্য সরকারের সরকারি কর্মচারীদের(State Government Employees) অবশ্যই কাজে যোগ দিতে হবে। না হলে তাদের কর্মজীবনে ছেদ পড়তে পারে এবং একদিনের বেতন কাটা যাবে।
তবে বেশ কয়েকটি শর্তে ওইদিন ছুটি নেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে সরকার এর পক্ষ থেকে। বিশেষ কয়েকটি শর্তে যদি ওইদিন কোনো কর্মচারী কাজে না আসেন, তবে তাদের বেতন কাটা হবেনা।
জেনে নিন চারটি শর্ত।
- ১. কোনো কর্মচারী যদি ওইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন, তবে তিনি ছুটি নিতে পারবেন।
- ২. কোনো সরকারি কর্মচারীর পরিবারের কারও প্রয়াণ ঘটলে তিনি ছুটি নিতে পারবেন।
- ৩. কোনো সরকারি কর্মচারী যদি ৯ মার্চের আগে থেকেই কোনও অসুখের কারণে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তিনি ছুটি নিতে পারবেন ১০ মার্চ।
- ৪. মাতৃত্বকালীন ছুটি, সন্তান পালনের ছুটি বা ৯ মার্চের পূর্বে মঞ্জুর হওয়া মেডিক্যাল বা আর্নড লিভ নিয়ে রেখেছেন যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা, তারা ওইদিন ছুটি নিতে পারবেন।
আগামী শুক্রবার এর ধর্মঘটের কোনো প্রভাব পড়তে না দিয়ে সমস্ত রাজ্যের কাজকর্মের পক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে চায় রাজ্য। এজন্যই এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে নবান্ন এর পক্ষ থেকে। তবে কর্মীদের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছে নবান্ন।