HomeEducation NewsMadhyamik 2023: অংকে ভয়? মাধ্যমিকে কিভাবে অংকের উত্তর দিলে ভালো নম্বর হবে,...

Madhyamik 2023: অংকে ভয়? মাধ্যমিকে কিভাবে অংকের উত্তর দিলে ভালো নম্বর হবে, পরামর্শ দিচ্ছেন গণিত শিক্ষক

হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক পরীক্ষা (WB Madhyamik exam 2023)। প্রতিবছর কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর কাছেই এটি জীবনের প্রথম কোন বড় বোর্ডের পরীক্ষা। তাই ভালোভাবে প্রিপারেশন না নিলে খুব ভালো সাফল্য লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের মনেই অংকের প্রতি একটা আলাদা ভয় থাকে। তার উপর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার মধ্যে অংক বিষয়টিও রয়েছে। কিভাবে মাধ্যমিকের অংক উত্তর দিলে (Preparation Tips For Mathematics Exam) ভালো নাম্বর পাবেন সেই বিষয়ে জেনে নিন। পরামর্শ দিয়েছেন যোধপুর বয়েস হাই স্কুলের শিক্ষক কল্যান রতন মান্না।

মাধ্যমিক পরীক্ষার অংক প্রশ্ন এক দাগ থেকে শুরু করে ১৫ দাগ পর্যন্ত থাকে। প্রত্যেকটি দাগে অতিরিক্ত প্রশ্ন দেওয়া থাকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক প্রতিটি দাগ নাম্বার কোন কোন উপায়ে উত্তর করলে খুব ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে।

Table of Contents

⚫ ১ দাগের প্রশ্ন:

একদাগে মোট ছটি প্রশ্ন দেওয়া থাকে। এই ছটি প্রশ্নের সবকটির উত্তর দেওয়াই ভালো। উত্তর সঠিক হলে প্রত্যেকটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নাম্বার করে পাওয়া যায়। এই দাগের প্রশ্নগুলির জন্য আলাদা করে কোন রাফ ওয়ার্কের দরকার পড়ে না। শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে উত্তর করে দিলেও অন্তত ২৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া যায়।

⚫ ২ দাগের প্রশ্ন:

দুই দাগের প্রশ্নে ছয়টি শূন্যস্থান পূরণের মধ্যে যেকোনো পাঁচটি করতে হয়। এখানে ছাত্রছাত্রীরা যদি পাঁচটির বদলে ছটি উত্তরই করে দেয় তাহলে সঠিক উত্তর গুলোরই নম্বর দেওয়া হবে। প্রথম দিকে যদি কোন ভুল উত্তর থাকে তবে অতিরিক্ত সঠিক উত্তরটি গ্রহণ করা হয়।

⚫ ৩ দাগের প্রশ্ন:

এখানে সত্য মিথ্যা হিসেবে উত্তর দিতে হয়। প্রত্যেকটি দাগের প্রশ্নে একটি মাত্র উত্তর দিতে হয়। কেউ যদি একই প্রশ্নের দুটো দুই রকম উত্তর দিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রথম উত্তরটিকেই দেখা হয়।

⚫ ৪ দাগের প্রশ্ন:

এখানে মোট বারোটি প্রশ্ন থাকে এবং তার মধ্যে দশটি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান থাকে 2। এখানে রাফ,ছবি প্রয়োজন হয়। সম্ভব হলে দশটি বদলে বারোটি প্রশ্নই করে রাখা ভালো কারণ অতিরিক্ত প্রশ্নর উত্তর ভুল উত্তরের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

⚫ ৫ দাগের প্রশ্ন:

এখানে পাটিগণিত থেকে দুটি প্রশ্ন থাকে এবং যেকোনো একটি উত্তর করতে হয়। সরল সুদ, চক্রবৃদ্ধি সুদ বা সমাহার বৃদ্ধি সুদ নিয়ে এই অঙ্ক দুটি থাকে। অংক সম্পূর্ণ না করতে পারলেও যদি সঠিক সূত্র লেখা থাকে, তাহলেও বিবেচনা সাপেক্ষে এক দুই নাম্বার দেয়া হয়।

See also  উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট কবে প্রকাশিত হবে, জানালো পর্ষদ। দেখুন পরীক্ষার ফাইনাল রুটিন।

⚫ ৬ দাগের প্রশ্ন:

তিন নম্বরের দুটি প্রশ্ন থাকে এবং যেকোনো একটি করতে হয়। দ্বিঘাত সমীকরণ থেকে প্রশ্ন থাকে এখানে। সমীকরণ আকারে প্রকাশ করার জন্য এবং যেকোনো একটি উত্তর বের করার জন্য আংশিক নাম্বার দেয়া হয়। অংক সম্পূর্ন করতে পারলে সম্পূর্ণ নাম্বারই দেওয়া হয়।

⚫ ৭ দাগের প্রশ্ন:

দুটি প্রশ্ন থাকে এবং যে কোন একটি উত্তর করতে হয়। দ্বিঘাত করণী এবং ভেদ থেকে দুটি প্রশ্ন থাকে।

⚫ ৮ দাগের প্রশ্ন:

দুটি প্রশ্ন থাকে এবং যে কোন একটির উত্তর করতে হয়। অনুপাত এবং সমানুপাত থেকে দুটি প্রশ্ন থাকে। অশূণ্য সমানুপাত এর ধ্রুবক না লেখার জন্য এক নাম্বার কাটা হয়।

⚫ ৯ দাগের প্রশ্ন:

৫ নম্বরের দুটি উপপাদ্য থাকে এবং যেকোনো একটির উত্তর করতে হয়। ভুল ছবি বা ছবি ছাড়া উত্তর করলে শূন্য নম্বর দেয়া হয়।

⚫ ১০ দাগের প্রশ্ন:

তিন নম্বরের দুটি উপপাদ্য থাকে এখানে। যেকোনো একটি উত্তর করতে হয়। প্রদত্ত নাম এবং ছবি খাতায় করে তারপরেই উপপাদ্য সম্পূর্ণ করতে হবে।

⚫ ১১ দাগের প্রশ্ন:

পাঁচ নম্বরের দুটি সম্পাদ্য থাকে এবং যেকোনো একটির উত্তর করতে হয়। জ্যামিতিক পদ্ধতিতে বর্গমূল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে “প্রায়” কথাটি না লিখলে ১ নম্বর কাটা হয়। লম্ব ভ্রমের কারনে দৈর্ঘ্য যাতে ছোট বড় না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে.

See also  সিভিক শিক্ষকতায় স্থগিতাদেশ দিলো শিক্ষা দপ্তর, স্কুলে পড়াতে পারবেন না সিভিক ভলেন্টিয়াররা

⚫ ১২ দাগের প্রশ্ন:

ত্রিকোণমিতি নিয়ে তিন নম্বরের তিনটি প্রশ্ন থাকে এবং যেকোনো দুটি উত্তর করতে হয়। আদর্শ কোণের ত্রিকোণমিতিক অনুপাতের সঠিক মান বসাতে পারলেও এক নাম্বার দেয়া হয়।

⚫ ১৩ দাগের প্রশ্ন:

উচ্চতা এবং দূরত্বের পাঁচ নম্বরের দুটি প্রশ্ন থাকে এবং যেকোনো একটির উত্তর করতে হয়। এখানে অবশ্যই ছবি আঁকতে হবে। উন্নতি এবং অবনতি কোণ ঠিকভাবে দেখাতে হবে। বিশেষ অবনতি কোণ ভুল দেখালে বা না দেখালে নম্বর কাটা হয়।

⚫ ১৪ দাগের প্রশ্ন:

এখানে চার নম্বরের তিনটি পরিমিতির অংক থাকে এবং যেকোনো দুটি উত্তর করতে হয়। উত্তরে একক না লিখলে এক নাম্বার কাটা যায়।

⚫ ১৫ দাগের প্রশ্ন:

১৫ নম্বর দাগে গড়, মধ্যমা, ওজাইভ ,সংখ্যাগুরু মান থেকে মোট তিনটি প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের মান 4। যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। পরিসংখ্যান বিভাজন শ্রেণীর যদি একক প্রশ্নে দেওয়া থাকে, তবে উত্তরের একক লিখতে হবে। না হলে নম্বর কাটা যাবে।

আর কিছুদিন পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। অংক নিয়ে ভীতি কাটাতে এই টিপসগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অবশ্যই উপকারী হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular