আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। প্রার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন টেট ইন্টারভিউয়ের (TET Interview) সময় কোনরকম অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট এর নম্বর ছাড়াই অনেক প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। এই অভিযোগ গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Avijit Gangopadhyay) এই মামলায় অযোগ্য ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আবারো পরবর্তীকালে শীর্ষ আদালত থেকে কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে মামলাটি। সম্প্রতি এই মামলায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ বজায় রাখা হলো।
গত সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল জবাব শুরু করেন। সবকিছু শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। এছাড়া নিম্ন আদালতে এই মামলা সংক্রান্ত যে সমস্ত নথি জমা পড়েছে, সেই সমস্ত নথি চেয়ে পাঠান তিনি।
তাই এখনই বাতিল হচ্ছে না ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি। যতদিন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ থাকবে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষকদের আপাতত চিন্তা করার দরকার নেই। পরবর্তী শুনানির দিন মামলাটির অগ্রগতি হবে। আগামী মাসের ৪ অক্টোবর তারিখে মামলাটির শুনানি হবে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এর সিদ্ধান্তে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছেন শিক্ষকরা। তবে এই মামলার মোড় কোন দিকে ঘুরবে, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন তারা। এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগে বহু অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। তবে একই সাথে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকদের বাতিল হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অনেক বড় ঘটনা। তাই যেকোনো রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আদালত সমস্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে চাইছে। আপাতত পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এই মামলা কোন দিকে যায়, তা দেখার জন্য।