প্রচন্ড গরম এবং প্রচন্ড তাপ প্রবাহার কারণে গত ২ই মে থেকে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলিকে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্কুল শিক্ষা দপ্তর। দীর্ঘ সময় ধরে টানা ছুটির পর স্কুলগুলি আবার খুলতে(Reopening) চলেছে ১৫ই জুন তারিখ। স্কুল খোলার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি কড়া নির্দেশ পর্ষদের। পড়ুয়াদের স্বার্থে এই নির্দেশিকা(guidelines) প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার জারি করা হয় এই নির্দেশিকা(guidelines)।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি পর্ষদের নির্দেশিকা(Board guidelines for teachers)
গ্রীষ্মের ছুটি শেষ পড়ুয়াদের স্বার্থে অতিরিক্ত(Extra) ক্লাসের ব্যবস্থা করার নির্দেশ পর্ষদের। কারণ এবছর অনেক আগে গরমের ছুটি পড়েছিল তাই ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়াশোনার দিক থেকে পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য পর্ষদের এই ভাবনা। একই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময়ানুবর্তিতা(Punctuality) মেনে চলার নির্দেশ পর্ষদের, অর্থাৎ শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঠিক সময়ে স্কুলে আসতে হবে এবং সঠিক সময়ে ক্লাসরুমে যেতে হবে। এবং স্কুল প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষক, শিক্ষিকা বা অশিক্ষক কর্মী স্কুলের বাইরে যেতে পারবেনা।
এর আগেও এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেখানে বলাছিল স্কুল ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিফিনের যে সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই সময় কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা স্কুলের বাইরে যেতে পারবেনা, অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুপুর দেড়টা থেকে দুপুর দুটোর মধ্যে স্কুলের মধ্যে থাকতে হবে। যদি কোনো শিক্ষক, শিক্ষিকা বা অশিক্ষক কর্মী এই নির্দেশিকার অমান্য করে তবে ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে ঐদিন অনুপস্থিত(Absent) হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছিল যদি কোনো শিক্ষক, শিক্ষিকা বা অশিক্ষক কর্মী স্কুল চলাকালীন স্কুলের বাইরে যেতে চান তবে সেক্ষেত্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি(Permission) নিয়ে তবেই বাইরে যেতে পারবেন। যদি কোনো শিক্ষক, শিক্ষিকা বা কোনো অশিক্ষক কর্মী এই নির্দেশিকা না মানেন তাহলে তার রিপোর্ট স্কুলকে বা জেলা স্কুল পরিষদকে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে দিতে হবে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশিকার তীব্র সমালোচনা(Strong criticism) করেন বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ(ABTA)। আর এরই মাঝে প্রকাশিত হলো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি পর্ষদের নতুন বিজ্ঞপ্তি।