HomeEducation Newsসরকারি চাকরির প্রস্তুতির সময় নিজেকে মোটিভেট রাখবেন কিভাবে? রইলো 5টি মারাত্মক পদ্ধতি

সরকারি চাকরির প্রস্তুতির সময় নিজেকে মোটিভেট রাখবেন কিভাবে? রইলো 5টি মারাত্মক পদ্ধতি

সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের এবং দেশের বহু ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে সরকারি চাকরি(Government Job Preparation) পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। বিভিন্ন রকম অনলাইন কোচিং, গ্রুপ স্টাডি, মক টেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্রমশ নিজেদের পড়াশোনার মান এবং স্কিল উন্নত করে চলেছে। তার সাথে চলছে কঠিন অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রম।

তবে শুধুমাত্র পড়াশোনা ভালো করেই বা কঠিন অধ্যবসায় করেই চাকরির পরীক্ষার ১০০% প্রস্তুতি নেওয়া যায় – এই ধারণা ভুল। ছাত্র-ছাত্রীরা যখনই কম্পিটিটিভ ফিল্ডে(Competitive Exams) পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন, তখনই প্রথম দিকে ফলাফল খুব একটা ভালো আসে না। একের পর এক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার দরুন মানসিক অবসাদ, ডিপ্রেশন(Depression) ইত্যাদি ঘিরে ধরে ছাত্রছাত্রীদের। মনের মধ্যে চলে আসে অনেক Negativity!

এইজন্য চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অবশ্যই নিজেকে পজিটিভ রাখতে হবে। নিজেকে সবসময় মোটিভেটেড(Self Motivated) থাকতে হবে। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো চাকরির প্রস্তুতির সময় নিজেকে মোটিভেট রাখার 5টি মারাত্মক পদ্ধতি।

১) মোটিভেশনাল ভিডিও:

চাকরির পরীক্ষায় প্রিপারেশন নেওয়ার সময়, অবসর সময়ে আপনারা মোটিভেশনাল ভিডিও(Motivational Videos) দেখতে পারেন। Youtube এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সফল ব্যক্তিরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সফল ব্যক্তিরা কোন বড় ধনী পরিবার থেকে আসেনন না , বরঞ্চ তারা গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পরিশ্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছান। তাই নিয়মিত মোটিভেশনাল ভিডিও দেখলে আপনারাও সর্বদা মোটিভেটেড থাকবেন।

See also  শুরু হবে ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা পর্ষদের! জেনে নিন বিস্তারিত।

 

২) নিজের সাথে ঘটা ভালো মুহুর্তগুলো মনে করুন:

যদি কখনো লো ফিল করেন বা নেগেটিভিটি আপনাকে ঘিরে ধরে , তাহলে সব সময় নিজের সাথে ঘটে যাওয়া পজিটিভ মুহূর্তগুলোর কথা মনে করুন। মনে করুন নিজের সাথে কবে কোন ভালো ঘটনা ঘটেছিল। কোন ভাল মজার ঘটনা মনে পড়লে অজান্তেই আপনার মুখে হালকা হাসি চলে আসবে এবং নেগেটিভিটি আপনার থেকে বহু দূরে চলে যাবে।

এছাড়া মনের মধ্যে স্ট্রেস জমলে বা ডিমোটিভেটেড ফিল করলে, পড়াশোনার ওপরেও সেই প্রভাব পড়ে। এই অবস্থায় কোন ভালো চিন্তা, ভালো মুহূর্তের স্মৃতি আপনার মধ্যে অনেকটা পজিটিভিটি এনে দিতে পারবে। যেটি আপনাকে পুনরায় পড়াশোনার মধ্যে ফিরিয়ে দিতে পারবে।

 

৩) পরিবার/বন্ধুদের সাথে সময় কাটান:

নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকলে মনের মধ্যে অনেকটা নেগেটিভিটি ভরে যায়। তাছাড়া অনেক সময় আমরা একা অনুভব করি নিজেকে। একটানা পড়াশোনা করতে করতেও অস্বস্তি ঘিরে ধরে আমাদের। পড়াশোনার মধ্যে এই ধরনের অনুভূতিগুলো আসা কখনোই ভালো না।

এজন্য সর্বদা আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটান। তাদের সাথে কথা বলুন, মনের কথা শেয়ার করুন। প্রয়োজনে বন্ধুবান্ধবদের সাথে বা পরিবারের সাথে কোথাও ঘুরে আসুন। এতে করে আপনাদের মাইন্ড ফ্রেশ হবে এবং নতুন উদ্যমে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে পারবেন।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

৪) নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন:

ব্যর্থতা আসলেও সাফল্য একদিন নিশ্চয়ই আসবে। কখনো নিজে থেকে হার মানবেন না। অন্যের কথায় কান দিয়ে নিজের ওপর অবিশ্বাস আনবেন না। পরিবারের কথা মাথায় রেখে এবং ভবিষ্যতের চিন্তা নিয়ে নিজেকে মোটিভেটেড করতে থাকুন।

আপনার পরিশ্রম আপনার একান্তই নিজের এবং সাফল্যের আসলে সেটিও আপনার একান্ত নিজস্ব সাফল্যই হবে। এজন্য আপনাকে সর্বদা নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং মনে মনে সংকল্প করতেই হবে যে আপনি অবশ্যই পারবেন।

৫) অন্যের সাথে তুলনা বন্ধ করুন:

অনেক সময় আমাদের ব্যর্থতার পেছনে দায়ী অন্যতম একটি কারণ হলো অন্যের সাথে তুলনা করা। ছোট থেকেই আমরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুদের সাথে তুলনা করে থাকি। কে বেশি নম্বর পেল, কার বেশি টিউটর আছে – এমন তুলনা করতে গিয়ে আমরা নম্বরের পেছনে ছুটতে থাকি এবং প্রকৃত শিক্ষার ঘাটতি থেকে যায়।

বড় হবার সাথে সাথে যখন আমরা চিরাচরিত পড়ালেখার গণ্ডি পার করে কম্পিটিটিভ এক্সাম এর পথে পা দিই, তখন অন্য কারো সাথে এমন তুলনা একেবারেই করা উচিত নয়

See also  শুরু হবে ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা পর্ষদের! জেনে নিন বিস্তারিত।

বরঞ্চ আপনাকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী 100 শতাংশ দিয়ে খাটতে হবে। যতটা পরিশ্রম করা যায় যতটা পড়াশোনা করা যায় পুরোটাই আপনাকে নিজেকেই করতে হবে। তার সাথে নিয়মিত মক টেস্ট দেওয়া, নিয়মিত অনুশীলন করা ইত্যাদি বিষয় গুলো আপনাকে নিজেকেই বজায় রাখতে হবে।

অন্যের সাথে তুলনা বা লড়াই না করে নিজের সাথে লড়াই করুন। গত পরীক্ষায় আপনি যে কারণে কম নম্বর পেয়েছেন, সেই ঘাটতি মেটান এবং পুরনো আপনার সাথে নতুনভাবে লড়াই করে নিজের কাছে নিজের একটি রেকর্ড গড়ে তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular