HomeEducation Newsস্নাতকে পড়ুয়া ভর্তি কম, প্রভাব পড়বে কি NAAC-এ?

স্নাতকে পড়ুয়া ভর্তি কম, প্রভাব পড়বে কি NAAC-এ?

পশ্চিমবঙ্গের কলেজের স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া(WB College Admission 2023) শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। আগামী সপ্তাহের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা স্নাতক স্তরের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস। তবে এখনো পর্যন্ত বহু আসন ফাঁকা রয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ আসন সংখ্যা ভর্তি না হওয়ার জন্য পুনরায় এডমিশন পোর্টাল(College Admission Portal 2023) চালু করা হয়েছে অনেক কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) অন্তর্গত একাধিক কলেজে পুনরায় এডমিশন পোর্টাল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি কলেজে(WB College) বরাদ্দ আসন সংখ্যার অর্ধেকও ভর্তি হয়নি এখনো পর্যন্ত। আবার কিছু কিছু কলেজে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে ভর্তি হয়েছেন মাত্র হাতে গোনা দুজন বা তিনজন। এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজে পড়ুয়াদের আকাল নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষরা। আগামী মঙ্গলবার থেকেই স্নাতক স্তরের প্রথম সেমিস্টারের(Semester) ক্লাস শুরু হওয়ার কথা তবে তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত সমস্ত আসন সম্পূর্ণ ভর্তি হয়নি। জানা গিয়েছে যে চলতি বছরে বিজ্ঞান শাখার অংক, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং সংস্কৃত বিষয়ে খুব কম আবেদন জমা পড়েছে। রাজ্যে লাগামছাড়া দুর্নীতির কারণে কি ছাত্রছাত্রীদের এই শাখা গুলিতে পড়ার প্রতি অনীহা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

See also  শুরু হবে ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা পর্ষদের! জেনে নিন বিস্তারিত।

অন্তত ২০০-২৫০ পড়ুয়া ভর্তি হলেও কলেজের মান বাঁচবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা। তারই মধ্যে ন্যাকের(NAAC) পরিদর্শন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষরা।

ন্যাক পরিদর্শনে কলেজের সেল্ফ স্টাডি রিপোর্টে (এসএসআর) আসন অনুপাতে পড়ুয়া-ভর্তিতে যথেষ্ট নম্বর বরাদ্দ আছে। বর্তমানে রাজ্যের অর্ধেকের বেশি কলেজে ন্যাকের অনুমোদন নেই। এমন অবস্থায় অল্প সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হলে কলেজের যে নম্বর কাটা যাবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন অনেকেরই।

বিকাশ ভবনের কর্তারা এদিকে আলাদা চিন্তা করছেন। তারা চিন্তা করছেন যে শহর ও শহরতলীতেই যদি কলেজে ভর্তি নিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়, তাহলে গ্রাম এবং মফস্বলের কলেজ গুলিতে পরিস্থিতি কেমন হবে তা ধারণার বাইরে। আবার ন্যাক মূল্যায়ন না-হলে অনেক প্রতিষ্ঠানেই কেন্দ্রীয় অনুদান আটকে যেতে পারে।

বর্তমানে রাজ্যে সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের সংখ্যা ৫২২। তার মধ্যে ২০০টি কলেজে কোন রকম সরকারি অনুদান আসে না। 149 টি কলেজ এখনো পর্যন্ত মূল্যায়নের জন্য কোনরকম আবেদনই জানায়নি। বাকি কিছু কলেজের মূল্যায়নের মেয়াদ ফুরিয়েছে।

ন্যাকের অনুমোদন থাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। তা শেষ হয়ে গেলে ফের আবেদন করতে হয়। কেউ নতুন ভাবে আবেদন করেছে বর্তমানে। কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক কলেজে বর্তমানে ন্যাকের অনুমোদন নেই।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

বর্তমানে কলেজে চার বছরের অনার্স কোর্সে(4 Year Graduation Course) যে পরিমাণ কম ছাত্রছাত্রী ভর্তি হচ্ছেন, তা ভয় পাইয়ে দেওয়ার মত। তিন বছরের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কোর্সে অপেক্ষাকৃত বেশি পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা মনে করছেন যে, এ বছর বিভিন্ন কলেজে এত কম সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে যার দরুন ন্যাক পরিদর্শন ও মূল্যায়নে প্রভাব পড়বেই।

আবার অনেক অধ্যক্ষরা মনে করছেন যে মোট আসনের তুলনায় কম আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলে যেমন নম্বর কাটার আশঙ্কা থাকে তেমনি পড়ুয়াদের অনুপাতে যদি শিক্ষক শিক্ষিকাদের হার পর্যাপ্ত থাকে তাহলে বেশি নম্বরও পাওয়া যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular