বর্তমানে সারা বিশ্ব পরিচিত হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাথে। মূলত ChatGpt লঞ্চ হবার পর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী অদূর ভবিষ্যতেই শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে চাকরি ক্ষেত্রেও থাবা বসাতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এইজন্য বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কোর্স(Artificial Intelligence Course) করানো হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসেও যুক্ত হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
বর্তমানে যারা চাকরি করছেন বা চাকরি খুঁজছেন, তাদের সবার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খুঁটিনাটি জেনে রাখা বিশেষ প্রয়োজন। সেই কারণেই আগামী এক বছরে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে প্রশিক্ষণ দেবার টার্গেট নিয়েছে Kharagpur IIT। আর তারি সাথে যুক্ত হয়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস(Tata Consultancy Services)। যৌথভাবে খড়গপুর আইআইটি এবং টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস যুবক-যুবতীদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কোর্স করাবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা-
দেশের যে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে থাকলেই এই কোর্সের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। পাশাপাশি কম্পিউটারে বেসিক দক্ষতা থাকতে হবে।
কোর্সের মাধ্যম-
সম্পূর্ণ কোর্সটি করানো হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
কোর্স মূল্য-
৫০০০ টাকা।
কোর্সের সময়-
তিন মাস ধরে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করানো হবে। কোর্স শেষ হবার পর একমাস হাতে কলমে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপকরা এই কোর্সের পঠন-পাঠনের দায়িত্বে থাকবেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে কোর্স শুরু করানো হবে।
বর্তমানে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয় শিখে রাখার পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়েও জ্ঞান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই কোর্সের মাধ্যমে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা খড়গপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি করছেন, তাদেরও উপকার হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস এই উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার কারণে একই সাথে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অনলাইনের আওতায় এই কোর্সটি শেখানো হবে। কোর্সের পর একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে যা পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাকরি ক্ষেত্রে সুবিধা এনে দিতে পারে।