বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষক এবং পড়ুয়া সংখ্যার অনুপাতে বিস্তর তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। এমনই একটি ঘটনার কথা প্রকাশে এসেছে। বাঁকুড়ার একটি স্কুলে ক্লাস করাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। রাজ্যের নুন্যতম অষ্টম শ্রেণি পাস করলে গ্রুপ-ডি কর্মী হওয়া যায়। তবে শিক্ষকের অভাবে তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে পড়াশোনার ভার। এমনই একটি চিত্র ধরা পরল বাঁকুড়ার একটি স্কুলে।
বাঁকুড়ার ইন্দাসের স্কুলে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দুজন। এদিকে পড়ুয়া সংখ্যা ৩০০র বেশি। অভিভাবকদের দাবি, বেশিরভাগ দিন স্কুলে ক্লাস হয় না। শিক্ষকের অভাবে ধুকছে বাঁকুড়ার এই স্কুলটি। অগত্যা বাধ্য হয়ে ক্লাস করাচ্ছেন স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মী। তবে সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক এই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে বাঁকুড়া প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের(Civic Volunteer) দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। তাই নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছিল সরকারকে। চাপের মুখে ওই প্রস্তাব তড়িঘড়ি নাকচ করা হয়েছিল। এবার সেই বাঁকুড়ার স্কুলেই গ্রুপ ডি কর্মীকে শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গেল।
ইন্দাসের শান্তাশ্রম গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল। এখানে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে ৩২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এখানে। স্থায়ী শিক্ষক আছেন একজন এবং অতিথি শিক্ষক একজন। দুজন শিক্ষকের পক্ষে চারটি ক্লাসের এত সংখ্যক স্টুডেন্টকে পড়ানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। অভিভাবকরা জানিয়েছেন দিনে দুই থেকে তিনটি ক্লাস হয়। কখনো কখনো পরীক্ষার আগে সিলেবাস ও সম্পূর্ণ শেষ হয় না। বাধ্য হয়ে স্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মীকে দিয়ে ক্লাস করাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, তিনি সব ক্লাস নিতে পারেন না। গার্জিয়ানরা টিসি নিয়ে চলে যাবার চাপ দেয়। তবে তিনি চান স্কুলটা চলুক। তবে একজন গ্রুপ ডি কর্মী কিভাবে ক্লাস নিতে পারে, তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সহকারী বিদ্যালয়ের পরিদর্শক জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়, এই বিষয়টা দেখা হবে পরবর্তীতে। তাছাড়া এই স্কুলের নোটিফিকেশন দেওয়া আছে, রিক্রুটমেন্ট হলেই নতুন শিক্ষক পাবে এই স্কুল।