এবার থেকে রাজ্যের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি আর নিজেদের ইচ্ছামতো পড়ুয়াদের কাছ থেকে ফি নিতে পারবে না। কারণ যথেচ্ছভাবে ফি নেওয়া এবার বন্ধ করলো রাজ্য। এবার থেকে ফি বেঁধে দিল রাজ্য। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবার নির্ধারণ করে দিলো যে পড়ুয়াদের কাছ থেকে কতটা ফি নিতে পারবে সেল্ফ ফাইন্যান্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি।
সম্প্রতি এই বিষয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। শুধু ফি না, কোন কোন ক্ষেত্রে কত টাকা ফি নেওয়া হবে তাও নির্ধারণ করলো উচ্চশিক্ষা দপ্তর। নয়া শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নিয়ম চালু হতে চলেছে। এই কাঠামো স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি, ফার্মাসি, আর্কিটেকচার কোর্সগুলির ক্ষেত্রে চালু করা হবে ।
ঠিক কি বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে? বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি পড়ুয়া পিছু বার্ষিক ১ লক্ষ ১০ হাজার বার্ষিক টিউশন ফি নিতে পারবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের খাতের জন্য ফি নিতে পারবে কলেজ। সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দপ্তর বলেছে যে টিউশন ফি যা নেওয়া হবে, পরিকাঠামো খাতের জন্য তার ১৫ শতাংশের বেশি ফি নেওয়া যাবে না। এছাড়াও ভর্তি ফি বিষয়ে বলা হয়েছে যে সম্পূর্ণ কোর্সের জন্য একবার ১০ হাজার টাকা ভর্তি ফি নেওয়া যাবে।
এছাড়াও উচ্চশিক্ষা দপ্তর লাইব্রেরি, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার, স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস ফি কত নেওয়া হবে সেটিও স্পষ্টভাবে বলেছেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গেছে যে, লাইব্রেরির জন্য ছয় হাজারের বেশি ফি নেওয়া যাবে না। এছাড়া স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এবং স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস ফি বাবদ বার্ষিক ১ হাজার টাকার বেশি টাকা নেওয়া যাবে না।
তবে এর ব্যক্তিক্রম কিছু কলেজে দেখা গেছে অর্থাৎ এর অতিরিক্ত অর্থ তারা নিতে পারবে। তবে সেই অতিরিক্ত অর্থ ১০ শতাংশের বেশি হবেনা কোনোভাবেই তাও কোর্স চলাকালীন। কোন কলেজগুলোতে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে? জানা গেছে যে মূলত যে সমস্ত কলেজ জাতীয় স্তরের কর্তৃপক্ষের কাছে স্বয়ংক্রিয় স্বীকৃতি পেয়েছে এবং যে সমস্ত কলেজগুলি এনবিএ’র স্বীকৃতি আছে, ন্যাকের স্বীকৃতি বা এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং রয়েছে সেই সমস্ত কলেজগুলি এই সুবিধা পাবে।
কোর্স চলাকালীন কিন্তু একবারই এই ফি নিতে পারবে কলেজগুলো। অর্থাৎ নিজেদের ইচ্ছে মত এবার থেকে আর ফি নিতে পারবেনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি। দপ্তর আশাবাদী যে এরফলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবেন।
-Written by Riya Ghosh