রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে। একলাফে 16 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (DA) বাড়ানো হচ্ছে তাদের। এর ফলে অতিরিক্ত অনেক টাকা ঢুকবে তাদের ব্যাংক একাউন্টে। তবে সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য বর্ধিত হারে এই মহার্ঘ্য ভাতা লাগু হয়নি, বিশেষ কিছু সরকারি কর্মচারীদের জন্যই এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, কয়েকজন কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ১৬শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, পঞ্চম পে কমিশনের আওতায় রাজ্যের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুল, ডিএ গেটিং স্কুল এবং বেসরকারি সংস্কৃতর শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা ১৪১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা(DA) পাবেন। এতদিন পর্যন্ত এই সব স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা ১২৫% হারে DA পেতেন।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২০২৩ সালের ১ মার্চ তারিখ থেকে এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা বর্ধিত হারে তাদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা পাবেন। তবে তারা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাবেন কিনা সেই বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে।
এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক সংগঠনগুলি সরকারের নতুন এই নিয়মে অবশ্য খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। সেই সমস্ত স্কুলের সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে, ২০২১ সাল থেকে তাদের মহার্ঘ ভাতা বকেয়া আছে। সেই বকেয়া নিয়ে রাজ্য সরকার কোন রকম পদক্ষেপ নেয়নি। পাশাপাশি গত দু বছরের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা তাদের মেটানো হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি মহল দাবী করেছে যে এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে খুব শীঘ্রই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের গত দু’বছরের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে।
১৬ শতাংশ বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত এই সুবিধাটি কেবলমাত্র রাজ্যের এই সমস্ত স্কুল গুলির শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের জন্য। আপাতত অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা, যারা এই রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের চাকরি করছেন, তাদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ছে না। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা 6% হারে মহার্ঘ ভাতা পান। তাদের মহার্ঘ ভাতা পুনরায় কবে বাড়ানো হবে, তা নিয়ে কোনরকম পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।