HomeEducation Newsইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী থাকলে কোন কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে পারবেন? রইল সম্পূর্ণ তালিকা।

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী থাকলে কোন কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে পারবেন? রইল সম্পূর্ণ তালিকা।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অনেকেই চিরাচরিত স্নাতক স্তরে না গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স বেছে নেন। ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্নাতক স্তর শেষ করার পরেই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকার সুবাদে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়(Competive Exams For Engineers) বসার সুযোগ পাওয়া। যায় এবং সে সমস্ত পরীক্ষাগুলিতে উত্তীর্ণ হলে চাকরি জগতে প্রবেশ করা যায়।

বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন। চলতি বছরের রাজ্যের 97 হাজার এরও বেশি পড়ুয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা একদম কম নয়। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি করার পর বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার সুযোগ রয়েছে তাদের। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমনই কয়েকটি পরীক্ষার ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

এয়ার ফোর্স কমন অ্যাডমিশন টেস্ট(AFCTC)

ভারতের বায়ু সেনাতে যোগদান করানোর জন্য এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণীতে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অংক থাকার পাশাপাশি টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে কাজ করতে চাইলে স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রি থাকতে হবে। এই বিভাগের শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়াদের টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড ডিউটি এবং ফ্লায়িং ব্রাঞ্চ ডিউটিতে কাজ করার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

See also  শুরু হবে ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা পর্ষদের! জেনে নিন বিস্তারিত।

ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস এক্সাম

স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করার পর যারা কেন্দ্রীয় সরকারি ক্ষেত্রে কাজের খোঁজ করছেন, তাদের জন্যই পরীক্ষাটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস এক্সাম নামে পরিচিত। ইউ পিএসসি বা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করে থাকে। সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে যে সমস্ত পড়ুয়ারা স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা এই পরীক্ষাটিতে বসতে পারেন।

গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিউট টেস্ট (GATE)

স্নাতক ডিগ্রী পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের এবং বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের মাস্টার্স ডিগ্রি এবং পিএইচডি পাওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা হল গেট পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে দেশের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ মিলবে। স্নাতকোত্তর স্তরে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে চান, তাদের জন্য এই পরীক্ষাটি অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

কম্বমাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস এক্সাম (CDS)

স্নাতকোত্তর ইঞ্জিনিয়ারদের বসার মত অন্যতম একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হল কম্বমাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস এক্সাম। ভারতীয় নৌসেনা এবং বায়ু সেনায় যোগদান করার জন্য এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়। ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষাটিতে বসার সুযোগ পান। তাছাড়া দ্বাদশ শ্রেণীতে অংক এবং পদার্থবিদ্যা থাকতে হবে।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

ইন্ডিয়ান নেভি এন্ট্রান্স টেস্ট (INET)

স্নাতক স্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়তি সুযোগ রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে। এই পরীক্ষাটি প্রত্যেক বছর দুবার নেওয়া হয়ে থাকে। গ্রাউন্ড এবং ফ্লাইং বিভাগের জন্য এই পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং এর নূন্যতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হলে এই পরীক্ষাটিতে বসার সুযোগ মিলবে। পাশাপাশি দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ও অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক।

যে সমস্ত পড়ুয়ারা বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন, তাদের উচিত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও প্রিপারেশন নেওয়া। তাতে করে আগামী দিনে তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে সুবিধা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular