HomeBusiness ideasBusiness Idea: কোচিং সেন্টারের ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে ইনকাম করুন লক্ষাধিক...

Business Idea: কোচিং সেন্টারের ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে ইনকাম করুন লক্ষাধিক টাকা।

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। প্রতিটি মানুষের মধ্যে শিক্ষা থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। আমাদের আগের প্রজন্মের বাবা-মায়েরা অনেকেই প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি, তবে তারা ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোন রকম কার্পণ্য করেননি অধিকাংশই। বর্তমানে বাবা-মায়েরা শিক্ষিত হোক বা পড়াশোনা না জানুক, সন্তানের পড়াশোনার ক্ষেত্রে তারা সবসময় সচেতন থাকেন

সন্তানকে স্কুলের পাশাপাশি আরো ভালোভাবে শেখানোর জন্য প্রত্যেক বাবা-মা চান তার সন্তান যেন ভালো কোথাও টিউশন পড়ে। এই জন্য বেশিরভাগ অভিভাবকেরাই সন্তানের পড়াশোনার জন্য কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভর করে থাকেন। অনেকের বাড়িতে আলাদাভাবে প্রাইভেট টিউটর দেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। তাদের ক্ষেত্রেও ভরসা সেই কোচিং সেন্টার। এই জন্য কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে যদি আপনারা ভালোভাবে পড়ানো শুরু করতে পারেন,তাহলে প্রত্যেক মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে

বর্তমানে চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে।এই অবস্থায় আপনি যদি একটি কোচিং সেন্টার খুলে পড়ানো শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনি মন মত ইনকাম করতে পারবেন তার সাথে আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোভাবে একটি বিষয় পড়াতেও পারবেন, পাশাপাশি উপার্জনও হবে, সম্মানও মিলবে

কোচিং সেন্টার খুলতে গেলে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আপনি ছাড়া আরও অনেকে কোচিং করছে,সে ক্ষেত্রে আপনার ছাত্র সংখ্যা কিভাবে বাড়াতে হবে এবং কিভাবে আপনার উপার্জনের পরিমাণ বাড়বে সেই দিকেও আপনাদের নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি পড়াশোনার মান যাতে উন্নত হয়, সেই বিষয়েও নজর রাখতে হবে।

কোচিং সেন্টারের ব্যবসায় যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি পয়েন্ট আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।

কোচিং এর জায়গা নির্বাচন করুন:

বর্তমানে দেখা যায় অনেক ভালো শিক্ষক টিউশন পড়ান, কিন্তু এমন এমন জায়গায় তারা টিউশন পড়ান যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের যাওয়া এবং আসা বেশ কষ্টসাধ্য। এজন্য আপনাকে এমন একটি জায়গা বাছতে হবে, যে জায়গাটি ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি এবং স্কুলের কাছাকাছি । তাহলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা তাদের যাতায়াতের পথে কোচিং কমপ্লিট করে বাড়ি ফিরতে পারবে বা স্কুলে যেতে পারবে।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

বড়ো ঘর এর ব্যবস্থা করতে হবে:

কোচিং করতে গেলে একটু বড় ঘরের প্রয়োজন পড়ে। কারণ, ছোট ঘরে ছাত্রছাত্রীরা একসাথে অনেকে মিলে থাকলে একটা দম বন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হবে। তার থেকে যদি বড় ঘরে আপনি পড়াতে পারেন সে ক্ষেত্রে ঘরের পরিবেশে ভালো থাকবে এবং ছাত্রছাত্রীরা অনেকটা রিলাক্স ভাবে বসতে পারবে এবং তারা পড়া ভালো বুঝতে পারবে

অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষকরা ছোট ঘরে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পড়ান। ছাত্র-ছাত্রীদের বসতে তো অসুবিধা হয়ই, তাছাড়া একটা গ্যাঞ্জাম পরিবেশ তৈরি হয় পড়াশোনার মধ্যে। আপনি বড় ঘরে যদি অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়েও পড়ানো শুরু করেন, তারপর ভবিষ্যতে যদি কখনো ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে আপনার কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।

শিক্ষাব্যবস্থাকে ভালো করে বুঝুন:

কোন জায়গায় শিক্ষকতা করার আগে প্রথমে সেই জায়গার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভালো করে বুঝে নেওয়া উচিত। আপনার ছাত্র-ছাত্রীরা যে স্কুলে পড়ে, সেখানে কি ধরনের পড়াশোনা হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কেমন ধরনের কোচিং লাগবে সেই বিষয়ে আপনাকে জ্ঞান রাখতে হবে। এছাড়া গার্জিয়ান বা অভিভাবকেরা কেমন ভাবে তাদের সন্তানকে পড়াতে চাইছেন সেই দিকেও আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে এবং এই ভাবেই আপনারা কোচিং এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

বিষয় নির্বাচন করুন:

কোথাও পড়ানোর পাশাপাশি সেখানে কোন বিষয়ে শিক্ষক এর অভাব রয়েছে সেই বিষয়টি সম্পর্কে একটু ধারণা নিন। আপনি যদি সেই বিষয়টি পড়াতে পারেন তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি আকৃষ্ট হবে। এছাড়া অবশ্যই আপনি যে বিষয়টি পড়াচ্ছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার কনফিডেন্সও বেশি হওয়া উচিত , না হলে কোচিং সেন্টারে পড়াতে আপনার অসুবিধা হতে পারে।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

ফি নির্বাচন করুন:

অনেক সময় দেখা যায় মধ্যবিত্ত ঘরের অভিভাবকেরা সন্তানের পড়ালেখার জন্য বেশি টাকা খরচ করতে পারেন না এবং তাই জন্য অনেক সময় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আপনি কোচিংয়ের মাধ্যমে যদি ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সহায়ক বেতনে পড়াতে পারেন, তাহলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের অবস্থা বুঝে বেতন নির্বাচন করা উচিত। অনেক শিক্ষকেরা আছেন যারা অনেক টাকা বেতন নিয়ে থাকেন এবং যে কারণে হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী তাদের কাছে পড়তে যান এবং অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বিকল্প পথ খোঁজেন।

কোচিং এর সময় নির্বাচন করুন:

এমন সময়ে কোচিং এর সময় নির্বাচন করুন যে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের আসতে কোন সমস্যা হবে না। অনেক শিক্ষক শিক্ষিকারা দুপুরে বা রাতের দিকে পড়ানোর সময় নির্বাচন করে থাকেন। এর ফলে অনেক ছাত্রছাত্রীরা যারা নিয়মিত স্কুলে যান, তাদের সমস্যা হয়। এছাড়া দূরে বাড়ি, এমন ছাত্র ছাত্রীদের রাতে পড়তে যেতে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এজন্য স্কুল শুরুর আগে বা স্কুল ছুটির পরের সময় নির্বাচন করতে পারেন

আশেপাশে কোচিং এর সম্পর্কে খোঁজখবর নিন:

আপনি যে জায়গায় কোচিং সেন্টার খুলেছেন তার আশেপাশে কোচিং সেন্টারগুলিতে কিভাবে পড়ানো হচ্ছে এবং তারা কত টাকা বেতন দিচ্ছে সেই ব্যাপারে যদি আপনি সামান্য জ্ঞান রাখতে পারেন তাহলে আপনি সেই অনুযায়ী বেতন রাখতে পারবেন। এতে করে আশেপাশের কোচিং সেন্টারগুলির সাথে আপনার বেতনের সামঞ্জস্য থাকবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মনে বেতন সংক্রান্ত কোনো রকম প্রশ্নচিহ্ন আসবে না।

কোচিং সেন্টারের প্রমোশন করবেন কিভাবে?

অনেক সময় দেখা যায় ভালো কোচিং সেন্টার খুললেও প্রমোশনের অভাবে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা এবং অভিভাবকেরা সেই কোচিং সেন্টারটির ব্যাপারে জানতে পারেন না এবং হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ছাড়া নতুন ছাত্র ছাত্রী আর পাওয়া যায় না। এজন্য কোন কোচিং সেন্টার খুললে সেই সেন্টারটির প্রমোশন করা জরুরী।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

১. আপনি আপনার কোচিং সেন্টারের ব্যাপারে লিফলেট(leaflet) তৈরি করে সেটি স্কুল, কলেজের সামনে বিতরণ করতে পারেন। এতে করে বহু সংখ্যক লোক আপনার কোচিং সেন্টারটির ব্যাপারে জানতে পারবে।

২. কোচিং এর রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন থাকা কোচিং সেন্টারগুলি অন্যান্য কোচিং গুলির তুলনায় মানুষের কাছে একটু বেশি বিশ্বাসযোগ্য কোচিং সেন্টার হিসেবে প্রতিপন্ন হয়।

৩. স্থায়ীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো শুরু করার আগে আপনি তাদের একটি বিনামূল্যে ডেমো ক্লাস নিতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা বা অভিভাবকেরা সংশয়ে থাকেন যে কোচিং সেন্টার-এ কেমন পড়ানো হবে! আপনি যদি একদিন বিনামূল্যে ডেমো (Free DEMO Class) ক্লাসে পড়াতে পারেন এবং সেখানে ছাত্রছাত্রী ,অভিভাবক সবাই আসে তাহলে তারা সরাসরি আপনার পড়ানো দেখতে পারবেন এবং ভালো লাগলে বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ভবিষ্যতে আপনার কাছে পড়তে আসবে।

৪. কোচিং এর পাশাপাশি আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন এবং সেখানে আপনার পড়ানোর ধরন বা লাইভ ক্লাস দেখানোর ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে অনলাইনের মাধ্যমেও আপনাদের অতিরিক্ত ইনকাম হবে। পাশাপাশি আপনার কোচিংয়ের অনলাইন প্রমোশনও হয়ে যাবে।

৫. ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক উন্নতি হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার কাছে যদি মধ্য মেধার কোন ছাত্র-ছাত্রী এসে খুব ভালো ফলাফল করতে পারে , তাহলে তার দেখাদেখি ভবিষ্যতে আরো বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আপনার কাছে পড়তে আসবে।

কোচিং সেন্টারের ব্যবসায় আপনাদের প্রাথমিক একটি ইনভেসমেন্টের দরকার হবে। আপনি যেখানে পড়াচ্ছেন সেখানকার ঘরভাড়া ,ইলেকট্রিক বিল ,বোর্ড ইত্যাদির জন্য আপনাকে প্রথম থেকে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হতে পারে। তবে যত দিন যাবে, আপনার পড়ানোর মান ভালো হলে তত বেশি ছাত্রছাত্রীরা আপনার কাছে পড়তে আসবে এবং প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।

এছাড়াও বর্তমানে প্রাইভেট টিউটর হিসাবে স্কুল শিক্ষকরা আর পড়াতে পারেন না। সরকারের পক্ষ থেকে এটি আইনত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই কারণে আরো বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের আপনি কোচিংয় সেন্টারে পেতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular