HomeNews'ভালো' সিভিক ভলেন্টিয়ার হলে কনস্টবলের চাকরি পাকা, পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।

‘ভালো’ সিভিক ভলেন্টিয়ার হলে কনস্টবলের চাকরি পাকা, পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।

সিভিক ভলেন্টিয়াররা প্রমোশন পেয়ে সরাসরি হতে পারবেন পার্মানেন্ট কনস্টেবল, তিনটি শর্ত দিল নবান্ন। (Civic volunteers can be directly promoted to Constable)

বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় কনস্টেবেলের পদ ফাঁকা রয়েছে। প্রায় কয়েক হাজারের উপরে কনস্টেবল পদ ফাঁকা আছে বর্তমানে। আগামী দিনে আরও ভ্যাকেন্সি আসতে চলেছে। তবে তারই মধ্যে নতুন ঘোষণা করল নবান্ন। নতুন এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে দক্ষ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্থায়ীভাবে কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে রাজ্যের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়াররা সরাসরি প্রমোশন পেয়ে কনস্টেবল হতে পারবেন। তবে নবান্নর তরফ থেকে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।

সোমবার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সব সিভিক ভলেন্টিয়াররা যে কনস্টেবল পদে পদোন্নতি পাবেন তেমনটা নয়। কোথায় কোথায় এবং কারা কারা এই সুযোগ পাবেন সেই সংক্রান্ত তিনটি শর্তও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সিদ্ধান্ত আদৌ সফলভাবে কার্যকর হবে কিনা সেই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্তাদের এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্তমানে যেহেতু অনেক কনস্টেবল পদ ফাঁকা রয়েছে এবং অনেক কনস্টেবলরা পদোন্নতি পেয়ে গিয়েছেন, সেই জন্য শূন্য পদ গুলিতে নিয়োগ করতে চায় রাজ্য।

প্রথম শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে যে, যে সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়াররা এই সুযোগ পাবেন, তাদেরকে প্রথমে কাজের ক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। প্রতিটি কাজ সেই সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়াররা দায়িত্ব সহকারে পালন করছেন কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে। এবং তার ভিত্তিতেই হবে মূল্যায়ন।

দ্বিতীয় শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে যে রাজ্যের যে সমস্ত থানায় কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে, শুধুমাত্র সেই সমস্ত এলাকাতেই এই প্রস্তাব কার্যকর হতে পারে।

তৃতীয় শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ পেলে তবেই সেই প্রার্থীদেরকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। এই দায়িত্ব মূলত থাকবে জেলার পুলিশ সুপারের উপর। এছাড়া ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার যে থানায় কাজ করছেন, সেখানকার ওসি এবং এসডি ওর রিপোর্ট এর উপরে সুপারিশ নির্ভর করবে।

বর্তমানে রাজ্যে বহু সিভিক ভলেন্টিয়াররা কাজ করছেন। মূলত রাস্তার যানজট সামলানো এবং প্রান্তিক এলাকার আইন রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা যায়। ধারণা করা যাচ্ছে যে, এই ঘোষণার পর যে সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়াররা বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছেন, তারা আরও দায়িত্ব সহকারে কাজ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular