ইতিমধ্যে রাজ্যে একাধিকবার মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়ম কানুন, প্রশ্নপত্র, প্রশ্নপত্রের ধরন এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল এসেছে। কখনো সিলেবাস বদল হয়েছে, আবার কখনো নতুন ধরনের প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছে। এসবের মধ্যেও অনেকবার প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেমন চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় আজাদ কাশ্মীর শব্দটি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। আবার দেখা যায় অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে সংশয়ের মধ্যে পড়ে যান ছাত্র-ছাত্রীরা। অনেক সময় সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন চলে আসে। এইসব নিয়ে একাধিকবার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এ কারণেই নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মূলত বিতর্কিত প্রশ্ন এবং সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন আটকানোর জন্য নতুন করে তৈরি করা হবে নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ্য বই।
সূত্রের খবর, নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ্যবই নতুন করে তৈরি করা হলেও সিলেবাসে কোনরকম বদল আনা হবে না। বিতর্কিত প্রশ্নগুলি আটকানোর জন্য পাঁচটি বিষয়ের বেসরকারি প্রকাশনার বইতে রিভিউ বসানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। এর মধ্যে সিলেবাস প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখে বাদ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নবম ও দশম শ্রেণীর ভূগোল, ইতিহাস, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান এবং বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের রিভিউ শুরু হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ৫০ টি প্রকাশনা সংস্থা তাদের বই পাঠিয়েছে। রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা মোট ২৪০ টি বইয়ের রিভিউ করছেন।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রিভিউ করার পর এই বইগুলি থেকে বিতর্কিত প্রশ্নগুলি বাদ দেওয়া হবে এবং যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এই বইগুলোতে না থেকে থাকে তাহলে সেগুলি সংযোজন করা হবে। রাজ্যের নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইগুলি গত ২০১৭ সালের পর থেকে আর রিভিউ করা হয়নি, তাই বইগুলি রিভিউ করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নতুন করে যে বইগুলি তৈরি হবে অর্থাৎ পরিমার্জিত বইগুলি পড়ে প্রথমবার ২০২৫ সালের মাধ্যমিক-এ বসতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।