HomeEducation Newsসোমবার থেকে কি স্কুল-কলেজ খুলছে? ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি! কি বললেন পর্ষদ সভাপতি?

সোমবার থেকে কি স্কুল-কলেজ খুলছে? ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি! কি বললেন পর্ষদ সভাপতি?

তাপ প্রবাহের ছেড়ে গত সপ্তাহে ছুটি ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর। পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার পর্যন্ত ছিল এই ছুটির মেয়াদ। তবে বর্তমানে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো খুলবে কিনা!(Are schools and colleges opening from Monday?)

ইতিমধ্যে রাজ্যের গরম পরিস্থিতি কিছুটা কম। বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে বেশ অনেকটাই। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বেশ কিছু জেলায় মেঘলা আকাশ ছিল। এমন অবস্থায় স্কুল খুললে ছাত্রছাত্রীদের খুব একটা অসুবিধা হবার কথা নয়। তবে স্কুল খোলা সংক্রান্ত কোনো নোটিশ প্রকাশিত না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিরা রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এইদিন জানান যে, স্কুল খুলছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে কোন বিভ্রান্তি থাকারই কথা নয়। কারণ বিজ্ঞপ্তিতে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল গত রবিবারেই।

গত সপ্তাহের পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব কটি জেলা জুড়েই তাপ প্রবাহ চলেছিল। কোথাও কোথাও তাপমাত্রায় 40° পার করে ফেলেছিল। তার জেনেই গত রবিবার থেকে এই রবিবার পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে ‘‘রাজ্যে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির জেরে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের স্কুলগুলি ছাড়া বাকি সমস্ত স্কুল এক সপ্তাহের জন্য অথবা পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’’

এছাড়াও জানানো হয়েছিল যে এক সপ্তাহের ছুটি বা পরবর্তী নোটিসের মধ্যে যেটি আগে আসবে সেই বিষয়টি কার্যকর করা হবে।।

সেইমত রবিবার দুপুর পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে ছুটি সংক্রান্ত কোনো রকম নোটিশ প্রকাশিত হয়নি। নোটিশে বলা ছিল পরবর্তী কোন নোটিশ না এলে ছুটি এক সপ্তাহেরই হবে। সেই মতো রবিবারই গরমের ছুটির শেষ দিন। যেহেতু শিক্ষা পর্ষদ এর পক্ষ থেকে নতুন কোন নোটিশ প্রকাশিত হয়নি, সেই মতো আগামী সোমবার থেকেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে যাচ্ছে।

রাজ্যে কিছুটা কমেছে তাপমাত্রা। আগামী দিনের স্কুল খুললে ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ অসুবিধা হবে না। এই এক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা সিলেবাস অনুযায়ী যতটা পিছিয়ে পড়েছে, সেই ঘাটতি মেটাতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার স্কুলের শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস বা অন্য কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular