HomeBusiness ideasAfter HS Income Ideas: উচ্চমাধ্যমিকের পর ৬টি উপায়ে হাজার হাজার ইনকাম করা...

After HS Income Ideas: উচ্চমাধ্যমিকের পর ৬টি উপায়ে হাজার হাজার ইনকাম করা সম্ভব, বিস্তারিত জানুন।

কদিন আগেই শেষ হলো পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (High Secondary Exam West Bengal)। উচ্চ মাধ্যমিক(HS) পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে দ্বিতীয় বড়ো একটি পরীক্ষা। প্রথমে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উচ্চতর শিক্ষা জগতে প্রবেশ করতে হয়।

তবে উচ্চতর শিক্ষার জন্য খরচ ও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। অনেক ছাত্র ছাত্রীরা চায় তারা পড়তে পড়তে নিজেরাও কিছু টাকা রোজগার করবে, যাতে তাদের পড়াশোনার খরচ এবং অন্যান্য হাত খরচের টাকা নিজেরাই যোগাড় করতে পারে। অনেকেই চায়না টাকার জন্য পরিবারের উপর নির্ভরশীল হতে। এই জন্য তারা বিকল্প কোনো ইনকামের উপায় খুঁজতে থাকে। (After HS Income Ideas)

আজকের এই প্রতিবেদনটি বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ওঠা ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এখনো ফলাফল প্রকাশ হতে বেশ কিছুদিন দেরি আছে, তারপরেই কলেজে ভর্তি শুরু হবে। কলেজে উঠলেই প্রত্যেক বছর মোটা অংকের টাকা বেতন দিতে হয় কলেজে, তাছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাত খরচের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানানো হবে এমন কিছু ইনকামের উপায় যেগুলি আপনারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই শুরু করতে পারবেন।

১) অফলাইন টিউশনি:

যারা বর্তমানে সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন তারা উপার্জন(Earning for Students)ের জন্য টিউশন (Tution Business Idea)পড়ানো শুরু করতে পারেন। হাত খরচ, কোন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরির আবেদন করার খরচ, নোটস এবং বই কেনার খরচ এগুলো আপনারা এই টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

আপনাদের যে বিষয়টিতে ভালো জ্ঞান রয়েছে সেই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়িয়ে উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন বা অফলাইন যেকোনো মাধ্যমে আপনারা পড়ানো শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে অল্প কয়েকজন ছাত্রছাত্রী(Students)নিয়ে পড়ানো শুরু করলেও সময় যত এগোবে তত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

টিউশন (Tution Business Idea)করতে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়া পড়ানোর দক্ষতা ও থাকতে হবে আপনার। বর্তমানে টিউশন পড়িয়ে ছাত্র পিছু ৫০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে মফস্বল এলাকায়। একটু শহর এলাকায় এই টাকার পরিমান ছাত্র পিছু ১ হাজার থেকে ২০০০ টাকা হয়। ছোটখাটো একটি ব্যাচ শুরু করতে পারলে আপনার প্রত্যেক মাসে ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন(Earning for Students) হয়ে যাবে।

২) খাবার ডেলিভারি:

বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা উপার্জন করার জন্য অনলাইন খাবারের ডেলিভারি করে থাকেন। অনেকেই পার্ট টাইম হিসেবে এই কাজ করেন, অনেকে আবার ফুল টাইম হিসেবেও এই কাজ করেন। মাস গেলে বেশ ভালো স্যালারি পাওয়া যায় যে টাকা দিয়ে গোটা সংসার চালিয়ে দেওয়া যায়।

বর্তমানে অনলাইনে খাবারের ডেলিভারি করার মূল দুটি সংস্থা হল জমাটো এবং সুইগি। আপনারা এখানে ডেলিভারি বয় পোস্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। সাইকেল নিয়েও আপনারা ডেলিভারি করতে পারেন তবে বাইক থাকলে সুবিধা হয়। প্রত্যেক মাসে বেশ মোটা অংকের স্যালারি পাবেন আপনারা। কলেজে উঠে যদি পড়াশোনার চাপ বেশি থাকে, তাহলে রাতের দিকে অনলাইন ডেলিভারির কাজ করেও বেশ ভালো উপার্জন করা যায়।

৩) ব্লগিং:

অবসর সময়ে বা ফুল টাইমার হিসেবে ব্লগিং করেও অনেক টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। অনেকেই ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলে নিজেদের মতো লেখালেখি করেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

এই লেখাগুলি কতজন পড়ছেন আর লেখাগুলিতে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী টাকা পাওয়া যায়। আপনার দর্শক সংখ্যা যত বেশি হবে উপার্জনের পরিমাণ ও তত বাড়তে থাকবে। এছাড়া ব্লগিং এর লেখাগুলি আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে এমন অনেক বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট আছে, যেগুলি লেখার জন্য টাকা পেমেন্ট করে। সেখানে আপনারা লিখে বা পুরনো লেখা বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।

৪) ইউটিউব:

পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার অন্যতম একটি উপায় হল ইউটিউব (YouTube Business)করা। বর্তমানে অনেক ছাত্রছাত্রীরা youtube কে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নিয়মিত ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে, আর যদি দর্শক সংখ্যা বাড়াতে পারেন, তাহলে ইউটিউব থেকেই আপনারা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

আপনারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ভিডিওগুলি যেন দর্শকদের ভালো লাগে।দর্শকদের যদি ভিডিও ভালো লাগে, তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনারা অনেক সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে পারবেন। এর সাথে সাথে উপার্জনের পরিমাণ ও বাড়তে থাকবে। বর্তমানে অনেকে ইউটিউব থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন প্রত্যেক মাসে। আপনারা যদি মন দিয়ে ইউটিউব করা শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনাদের টাকার অভাব হবে না।

৫) কন্টেন্ট রাইটিং:

কন্টেন্ট রাইটিং অনেকটা ব্লগিংয়ের মতোই। আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লেখার কাজ করতে পারেন। এছাড়া ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনারা অনেক ফ্রিল্যান্সিং কনটেন্ট রাইটিং (Content Writing) ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন,যেখানে আপনারা লেখালেখির মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইটগুলিতে প্রত্যেক লেখা পিছু পেমেন্ট করা হয়। আপনারা প্রত্যেক লেখা পিছু তিন থেকে চার ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া লেখালেখি বিক্রি করার মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনারা এমন অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন, যেখানে লেখা বিক্রি করে উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।আপনারা সেখানে রিলেটেবল কনটেন্ট বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন।

৬) বাচ্চাদের স্কিল শেখানো:

আপনার যদি অতিরিক্ত কোন স্কিল শেখা থাকে তাহলে সেই স্কিলটি কাজে লাগিয়েও আপনারা উপার্জন করতে পারবেন।

অনেকেই নিজেরা পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চাদের নাচ, গান, কবিতা, আবৃত্তি, ক্যারাটে, তবলা, হারমোনিয়াম ইত্যাদি শিখিয়ে থাকেন। অনেকে বাড়িতে ছোট করে গানের স্কুল বা আকার স্কুল বানিয়ে ফেলেন। সেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের এগুলি শিখিয়ে প্রত্যেক মাসে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। যে টাকা দিয়ে আপনারা পড়াশোনা করতে পারবেন, হাত খরচ চালাতে পারবেন,এবং পরিবারের খরচও চালাতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular