HomeBusiness ideasস্কুল শিক্ষকদের জন্য শিক্ষকতার পাশাপাশি ৭টি দূর্দান্ত সাইড বিজনেস আইডিয়া।

স্কুল শিক্ষকদের জন্য শিক্ষকতার পাশাপাশি ৭টি দূর্দান্ত সাইড বিজনেস আইডিয়া।

সমাজে শিক্ষকদের আলাদাই সম্মান করা হয়। শিক্ষকতা বরাবরই একটি সম্মানজনক পেশা। তবে অনেকেই চান শিক্ষকতার পাশাপাশি কোন পার্ট টাইম বিজনেস করতে, যাতে করে শিক্ষকতার ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে এবং আর্থিক দিক থেকেও কিছুটা এগিয়ে থাকা যায়।

আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমন সাতটি উপায় বলবো যেগুলির মাধ্যমে আপনারা শিক্ষকতার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সাইড বিজনেস করতে পারবেন এবং আর্থিকভাবে আরও স্বচ্ছল হতে পারবেন। (7 Best Side Business Ideas for School Teachers)

১. অনলাইন শিক্ষকতা:

বাড়িতে অবসর সময় অনলাইনে পড়ানোর মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনি। এছাড়া পড়াশোনার মধ্যে থাকলে মনটাও ভালো থাকবে আপনার। অনেক এডুকেশনাল অ্যাপে পড়ানোর জন্য শিক্ষক খোঁজ করা হয় সেগুলিতে আবেদন করেও আপনি শিক্ষকতা করতে পারবেন। এই অ্যাপগুলি থেকে শিক্ষকতার বদলে অনেক অর্থ দেওয়া হয়। আপনি গৃহ শিক্ষকতাও করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে , এছাড়া বড় কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে পড়ানোর মাধ্যমেও হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পেয়ে যেতে পারেন আপনি। তবে সে ক্ষেত্রে আপনার পেমেন্ট হবে একমাত্র অ্যাপ বা ওয়েবসাইট এর পলিসি অনুযায়ী।

২. ব্লগিং:

আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই বিষয় নিয়ে আপনি যদি ভালো লেখালেখি করতে পারেন এবং ব্লগিং করতে পারেন তবে সেই ব্লগিং থেকেও আপনি মাসের শেষে মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করতে আপনার দরকার একটি ডোমেন এবং Hosting। আমারা এই Hostinger ব্যবহার করে থাকি। এই Hosting কেনার লিঙ্ক থেকে আপনি Hosting কিনলে প্রচুর ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন এবং দাম আরও কমানোর জন্য কুপন কোডঃ “exam365” ব্যবহার করুন।   (আগের লিঙ্ক থেকে  হোস্টিং কিনলে ১ বছরের যেকোনো ডোমেন বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন।)

বর্তমানে অনেকেই পার্টটাইম বিজনেস হিসেবে ব্লগিং করে থাকেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কন্টেন্ট বানিয়ে আপনি পাবলিশ করতে পারবেন এবং মাসের শেষে মোটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

blogging

তবে শুরুর দিকে আপনার রোজগার তেমন হবে না বা নাও হতে পারে। আপনাকে প্রতিনিয়ত ভালো কনটেন্ট লিখে পোস্ট করতে হবে এবং ধৈর্য রাখতে হবে। একবার যখন মানুষ আপনার ব্লগ পছন্দ করতে শুরু করবে, তখন খুব দ্রুততার সাথে আপনার ভিজিটর বাড়তে থাকবে এবং এই পদ্ধতিতে আপনি প্রত্যেক মাসে 10000 টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন।

৩. বই এবং e-Book লেখা:

পড়াশোনার ওপর বা অন্যান্য কোন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে আপনি ই-বুক বা এমনি বই বের করতে পারেন। বিভিন্ন সাইটে ই-বুক বিক্রি করার অপশন পাবেন আপনি, এছাড়া আপনি নিজের উদ্যোগে ওয়েবসাইট খুলেও আপনার লেখা ই-বুক বিক্রি করতে পারবেন।

নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেখা আপনার ই-বুক পিডিএফ বা অন্যান্য কোন ফরমাটে রেখে বিক্রি করতে পারবেন আপনি। যাদের দরকার হবে, তারা ঠিকই এই বইগুলি কিনে অনলাইনের মাধ্যমে পড়বে।

এছাড়া কোন প্রকাশক দেখে আপনার লেখা বই প্রকাশ করতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উপকার হবে এমন কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য সহজ করে সহায়িকা বই লিখতে পারেন বা প্রশ্ন বিচিত্রা ধরনের কোন বইও লিখতে পারেন।

৪. বাড়ি ও গাড়ি ভাড়া দেওয়া:

যারা শিক্ষকতা করছেন অনেকদিন ধরে, তারা ইতিমধ্যে অনেক টাকা উপার্জন করেছেন এবং বেশিরভাগই তাদের বাড়ির ঘর সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে। এ ছাড়া অনেকের বাড়িতে রয়েছে গাড়িও।

বাড়ির অতিরিক্ত ঘরগুলি খালি খালি ফেলে না রেখে তা মেস বা ভাড়া দেবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সারা বছর গাড়ির দরকার পড়ে না, যখন আপনার গাড়ির দরকার হবে না তখন সেই গাড়ি ভাড়া দিয়ে দিতে পারেন আপনি কোন ব্যক্তির কাছে।

এইভাবে মোটামুটি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন আপনি অনায়াসেই।

৫. সফট স্কিল ট্রেনিং দেওয়ার কাজ:

বর্তমানে পড়াশোনায় ভালো হলেই হয় না তার পাশাপাশি কিছু সফট স্কিল থাকা ভালো। সফট স্কিল বলতে কারো ব্যক্তিত্ব, ব্যবহার, সঠিকভাবে কোন প্রশ্ন বুঝতে পারা, উত্তর দেয়ার ক্ষমতা ইত্যাদিকে বোঝায়। অনেক সময় চাকরির ইন্টারভিউ ক্ষেত্রে প্রার্থীর সফট স্কিল এর উপর নজর দেন ইন্টারভিউ বোর্ডের মেম্বাররা। তাই সফট স্কিল ভালো থাকলে জীবনের অনেক কাজ অনেকটা স্মুথ হয়ে যায়।

ছাত্র-ছাত্রীদের সফট স্কিল ট্রেনিং দেবার মাধ্যমে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। ভালো সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পেয়ে গেলে আপনি প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইনের মাধ্যমেও যদি আপনি সফট স্কিল ট্রেনিং দেওয়া শুরু করতে পারেন, সেখানেও আপনার অনেক ছাত্র-ছাত্রী মিলবে।

৬. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:

অনেক ছোট বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের পণ্য এবং সার্ভিসের প্রমোশন করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা তাদের পণ্যের ভিডিও, ছবি এবং অন্যান্য রিভিউ পোস্ট করে থাকেন – যাতে করে আরো বেশি সংখ্যক ক্রেতারা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হন।

এমন কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার মাধ্যমেও আপনি উপার্জন করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে সেই বিজনেস ম্যানেজমেন্টের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল দিয়ে দেওয়া হবে এবং আপনাকে নিয়মিত সেই কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট, প্রোডাক্ট এর ভিডিও, ক্রেতাদের রিভিউ ইত্যাদি পোস্ট করতে পারবেন।

এই কাজে তেমন কোন খাটনি নেই। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে কন্টেন্ট দিয়ে দেওয়া হবে এবং সেগুলি আপনাকে সময়মতো নিয়ম মেনে পোস্ট করতে হবে যাতে করে আরো বেশি সংখ্যক ক্রেতা সেই কোম্পানির প্রোডাক্টগুলি বা পরিষেবার উপরে আকৃষ্ট হয়। আপনি ইন্টারনেট থেকে এমন অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়ে যাবেন যেখান থেকে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ পেতে পারেন। এছাড়া লোকাল কোন বিজনেস গ্রুপ বা দোকান বা কোন বড় ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার মাধ্যমেও আপনি উপার্জন করতে পারবেন।

৭. এক্সট্রা স্কিল শেখানোর কাজ:

এখনকার বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহ দেখায়। নাচ, গান, কবিতা বলা, ছবি আঁকা,সাঁতার কাটা, যোগা করা ইত্যাদি অনেক একটিভিটি বর্তমানে বাচ্চারা শিখে রাখে। অনেক সময় বাচ্চারা শিখতে না চাইলেও বাচ্চার গার্জিয়ানরা চান যেন তাদের সন্তানরা পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়।

আপনি যদি ছোট বাচ্চাদের জন্য এক্সট্রা স্কিল শেখানোর কাজ করতে পারেন তবে এই কাজের মাধ্যমে আপনি মাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা বর্তমানে রিটায়ারমেন্ট নিয়েছেন, তারা এই কাজের জন্য অনেক সময় পাবেন। যারা বর্তমানে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত, তারা শনি ও রবিবার অর্ধ দিবস, ও পূর্ন দিবস সময় পাচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য দিনে সন্ধ্যের দিকেও এই এক্সট্রা স্ক্রিল শেখানোর ক্লাস করাতে পারেন।

নাচ, গান, কোন বাদ্যযন্ত্র বাজানো,কবিতা আবৃত্তি শেখানো ইত্যাদি অনেক স্কিল আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাতে পারবেন।

এই রইল আজকের প্রতিবেদন, যেখানে আপনাদের বলা হলো এমন সাতটি বিজনেস আইডিয়া, যেগুলি আপনারা শিক্ষকতার পাশাপাশি সম্মানের সাথে করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে অতিরিক্ত অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular