আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ছাত্রজীবনের পুরো সময়টা প্রায় দীর্ঘ ২৬-২৭ বছর, পরিবারের উপর অর্থাৎ মা বাবার উপরই নির্ভরশীল হয়েই থাকে। অন্য দিকে উন্নয়শীল দেশের ছেলেমেয়েরা তাদের স্টুডেন্ট লাইফেই নিজের খরচ নিজেই বহন করতে পারে কারন তারা পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য দিক থেকেও একটা অর্থ উপার্জন(Earning) করে। শুধু নিজের খরচ বা প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি নিজের পরিবারকেও তারা সহযােগিতা করে চলেছে, স্টুডেন্ট লাইফে তাদের উর্পাজিত অর্থ দিয়ে। তারা যদি করতে পারে তাহলে আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা তাদের স্টুডেন্ট লাইফের দীর্ঘ সময় শুধু বাবা মায়ের উপরি নির্ভর করেই কাটিয়ে দিবে কেন? আমি আপনাকে স্টুডেন্ট লাইফে কিছু করার কথা মানে এই নয় যে পড়াশোনা বাদ দিয়ে অন্যান্য কাজ করতে বলছি । আমি আপনাকে বলতে চাইছি যে লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্তত মাধ্যমিক এর পর কিছু করার কথা বলছি।যেমন অনলাইনে হোক বা ঘরে বসে হোক অর্থ উপার্জন করার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। এবং আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে স্টুডেন্ট লাইফ এ প্রধান কাজ হবে পড়াশোনা করা, তারপর অবসর সময়ে অর্থাৎ যে সময় পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না সেই সময় কিছু করা। আসলে এই মাধ্যম গুলো অনেকেই জানেননা,তাই সঠিক উপায় তারা অবলম্বন করতেও পারে না। কিন্তু আজ আমি এমন চারটি বিষয় এর কথা বলবো যার মাধ্যমে মাধ্যমিক হোক বা উচ্চ মাধ্যমিক হোক,তার পরেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন আপনিও।রইলো সহজ চারটি উপায়:-
১) কন্টেন্ট রাইটিং (Content writing):
আপনি যদি লিখতে ভালবাসেন এবং আপনার যদি লেখার মধ্য দিয়ে আনন্দে আসে তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন । যখন কেউ কোন বস্তুর বিররণ সম্পর্কে কোন লেখনী, ছবি, অডিও কিংবা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করে মানুষের নিকটে তুলে ধরে তখন সেটাকে কন্টেন্ট বলে। আর এসব কন্টেন্ট তৈরি করাকেই কন্টেন্ট রাইটিং বলে। যিনি এসব তৈরি করে তাকে কন্টেন্ট রাইটার বলে।
কন্টেন্ট রাইটিং করে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় যেমন:-
- ফ্রিল্যান্সিং
- ব্লগিং
- প্রাইভেট চাকরি
ফ্রিল্যান্সিং:
কন্টেন্ট রাইটিং শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কাজ করেও আয় করতে পারেন।যেমন fiverr,upwork এসব মার্কেটপ্লেস এ কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ পাওয়া যায়।
ব্লগিং:
কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনি আপনি একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে লিখে বা নিজের ব্লগ না থাকলে অন্যের ব্লগ লিখেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
প্রাইভেট চাকরি:
কন্টেন্ট রাইটিং শিখে আপনি বিভিন্ন এজেন্সির সাঠে যোগাযোগ করে তাদের সাথে কাজ করতে পারেন।এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় নিজের লেখা প্রকাশ করে আয় করা যায়।
২) গ্রাফিক্স ডিজাইন (graphics design):
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো কোনো একটি মেসেজ বা তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে রং,রেখা ও বিভিন্ন শেপের মাধ্যমে মানুষ এর সামনে তুলে ধরা। আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ বাড়ি বসেও করতে পারেন।শুধুমাত্র ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করেই আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।এর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে আপনি কোনো কোম্পানির কাজ বা কোন ইউটিউবারের video thumbnail বানানোর কাজ পেতে পারেন । গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে আপনার ভবিষ্যতেও কোনো কাজের অভাব হবে না ।
৩) ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (Data Entry Operator):
ডাটা এন্ট্রি শব্দের অর্থ হচ্ছে ডাটা কে কোনো কিছুতে লিপিবদ্ধ করে রাখা।এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ডাটা টাইপ অ্যান্ড ডাটা ফাইন্ডিং শিখতে হবে।এই ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনি ঘরে বসেও করতে পারেন।এর জন্য ইননিড বা মনস্টার এর মত অনলাইন জব বোর্ড গুলোতে অনুসন্ধান করতে পারেন।এছাড়াও আপনার এলাকার পঞ্চায়েত বা BDOঅফিসে চুক্তিভিত্তিক কিছুদিনের জন্য ডাটা এন্ট্রির কাজ পেতে পারেন ।
৪) বাড়িতে বসে টিউশন:
আপনি মাধ্যমিক এর পরে বাড়িতে বসে টিউশন করেও উপার্জন করতে পারেন। আপনি গ্রামে বা শহরে যেখানেই বাস করেন না কেন আশেপাশের ছোট্ট ছেলেমেয়েদের নিয়ে টিউশন শুরু করতে পারেন । আপনি টিউশন ব্যাচ বা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিউশন পড়াতে পারেন । টিউশন পড়ে আপনি প্রতি মাসে ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে সহজেই আপনি বাড়ি বসে উপার্জন করতে পারবেন।