HomeBusiness ideasBusiness Ideas: গ্রামে করার জন্য সেরা ২১টি ব্যবসার আইডিয়া, জেনে নিন।

Business Ideas: গ্রামে করার জন্য সেরা ২১টি ব্যবসার আইডিয়া, জেনে নিন।

ভারত ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে গ্রাম। শহর অঞ্চলের মতো গ্রামেও বাস করেন বহু সংখ্যক মানুষ। শহরাঞ্চলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকলেও গ্রামাঞ্চলে সেইরকম সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না। আবার অনেকে মনে করেন ব্যবসা করার জন্য সেরা জায়গা শহর এবং গ্রামে ব্যবসা করা কোনো মতেই সম্ভব নয়। তবে বাস্তবে এই ধারণাও সত্যি নয়। গ্রামে থেকেও আপনি ব্যবসা করতে পারবেন এবং প্রত্যেক মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ। তবে অনেক মানুষেরই কৃষিকাজে আগ্রহ নেই, অনেকেই একটি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান। তবে উপযুক্ত গাইড, মনের জোর এবং অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে সবার ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয় না। আজকাল গ্রাম থেকে শুরু করে শহর, সকলেই স্বাবলম্বী হতে চান। গ্রামে থেকেও একটা সুপরিকল্পিত ব্যবসার মাধ্যমে আপনার উপার্জনের পরিমাণ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সঠিক উপায় অবলম্বন করলে এবং সঠিক জীবিকা বেছে নিলে সাফল্য ঠিকই আসবে।

আজকে এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে এমন ২১ টি ব্যবসার(Business Ideas) কথা জানানো হবে, যেগুলি আপনি গ্রামে থেকেই করতে পারবেন। পরিশ্রম করলে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে পারলে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন গ্রামে থেকেই। এছাড়া ব্যবসা যখন অনেক বড় হবে, তখন আপনি নিজে স্বাবলম্বী হবার পাশাপাশি গ্রামের অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবেন।

নিচে রইলো গ্রামে ব্যবসা করার মতো ২১ টি আইডিয়া (21 best business ideas to do in the village):

১. ভেষজ চাষের ব্যবসা: 

কম মূলধন নিয়ে শুরু করার মত একটি ব্যবসা হল ভেষজ চাষের ব্যবসা। ভেষজ চাষের মধ্যে মূলত ভেষজ এবং ঔষধি জাতীয় গাছ চাষ করা হয় যেগুলি বিভিন্ন রকম ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।

ভেষজ চাষ করলে আপনার উৎপাদিত গাছগুলি কাছাকাছি কোন পতঞ্জলি স্টোর বা লোকাল দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার ভেষজ উদ্ভিদ গুলি চারা নার্সারীর পদ্ধতিতে বিক্রি করতে পারবেন।

২. মোটরসাইকেল মেরামত এবং সার্ভিসিং:

এখন শহরের মতো গ্রামেও প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে মোটরসাইকেল। প্রত্যেকটি মোটরসাইকেলেই কোন না কোন সমস্যা দেখা যায়। বা ঠিক করলেও দু-এক দিন বাদে কোন একটি নতুন সমস্যা হাজির হয়। তাছাড়া মোটরসাইকেল লিক হওয়া, বেশি ধোয়া, হর্নের বেশি আওয়াজ – ইত্যাদি সমস্যা গুলি তো আছেই।

৩. ফুলের ব্যবসা:

প্রতিটি শুভ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিয়ে, শ্রাদ্ধ সহ একাধিক অনুষ্ঠানে ফুলের দরকার পড়ে। শহরের থেকে গ্রামে ফুলের উৎপাদন বেশি হয়। আপনি যদি ফুলের উৎপাদনেরকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে গ্রামের থেকে ভালো জায়গা আর পাবেন না।

এই ব্যবসা চালু করার জন্য আপনি আপনার গ্রামে ফুলের চাষ করতে পারেন। পাশাপাশি উৎপাদিত ফুল আপনি শহরে গিয়েও বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া ফুল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকম সৌখিন জিনিস আপনি গ্রাম , শহর বা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে পারেন।

৪. সেলাই:

গ্রামের দিকের অন্যতম একটি ব্যবসা হল সেলাইয়ের ব্যবসা। কলকাতার বড় বড় মার্কেট থেকে মাল কিনে আনা হয় এবং গ্রামের মানুষেরা সেগুলি কেটে এবং সেলাই করে সুন্দর পোশাকের রূপ দেন সেগুলি আবার কলকাতার বড় বড় বাজারে বিক্রি করা হয়।

আপনার বাড়িতে যদি একটি সেলাই মেশিন থাকে এবং আপনি যদি সেলাই শিখে থাকেন, তাহলে খুব কম খরচেই আপনি দর্জির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সরাসরি বড় কোন মার্কেট থেকে কাপড় এনে বা এলাকার বড় কোন দর্জির কাছ থেকে কাপড় এনেও আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

৫. দুধের ব্যবসা:

গ্রামে অনেক মানুষ গরু, মহিষ, ছাগল পালন করে থাকেন দুধের জন্য। এবং অবশিষ্ট দূর তারা বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া বহু মানুষ রয়েছেন তারা তাদের দরকারে দুধের যোগান পান না।

আপনি যদি অবশিষ্ট দুধ সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতে পারেন এবং সেগুলি বিক্রি করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে অনেক টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে আপনার।

এর জন্য আপনাকে বড় কয়েকটি পাত্র জোগাড় করতে হবে। তাছাড়া আপনি প্যাকেটের মাধ্যমেও দুধ বিক্রি করতে পারেন।

৬. মৌসুমী ব্যবসা:

মৌসুমী ব্যবসা গুলি সাধারণত এমন ব্যবসা, যেগুলি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়েই করা যায়।

দীপাবলির সময় আতশবাজীর ব্যবসা, গরমে আইসক্রিম এবং অন্যান্য ঠান্ডার ব্যবসা ,হোলীর সময় রঙের ব্যবসা, রাখি বন্ধন এর সময় রাখির ব্যবসা এগুলি আপনি করতেই পারেন।

ভারতে মৌসুমি ব্যবসা খুব ভালো চলে। পাশাপাশি বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে, এজন্য এই ব্যবসা গুলিতে আপনার লোকসান একদমই হবে না।

৭. মিষ্টির দোকান:

গ্রামে করার মত অন্যতম একটি ব্যবসা হল মিষ্টির দোকানের ব্যবসা ।গ্রামে অনেক বাড়িতে গরু ,মহিষ পালন করা হয় ।সেখান থেকে সহজেই দুধ সংগ্রহ করে নেওয়া যায়। এবং খাটি দুধ দিয়ে আপনি খুব ভালো মানের মিষ্টি তৈরি করতে পারবেন।

আপনার মিষ্টির মান ভালো হলে গ্রামেই মিষ্টির দোকান খুব ভালো চলবে তাছাড়া শহরেও আপনি এই মিষ্টি বিক্রি করতে পারেন।

৮. পাটের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা:

বর্তমানে গ্রাম এবং শহরে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আপনি পাটের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

পাটের ব্যাগ তৈরির জন্য আপনাকে একটি মেশিন কিনতে হবে এবং এখানে কাঁচামাল হিসেবে পাট ব্যবহার করলে অটোমেটিক পাটের ব্যাগ তৈরি হতে থাকবে।

৯. মগ প্রিন্টিং:

কোন অনুষ্ঠানে উপহার দেবার মত অন্যতম একটি উপহার হল কাস্টমাইজ ডিজাইন করা মগ। আপনি যদি চিনামাটির মগে বিভিন্ন রকম ডিজাইন করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন।

এই মগগুলি সাধারণত কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। পাশাপাশি নিজের কোন প্রিয় মুহূর্ত বা কারো কোন প্রিয় মুহূর্ত মগে ডিজাইন বন্দি করে রাখা যায়।

১০. ভ্রমণ এজেন্ট:

গ্রামের দিকে অনেকেই আছেন যারা দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া পছন্দ করেন তবে উপযুক্ত প্ল্যানিংয়ের অভাবে এবং যাতায়াত ব্যবস্থার অপ্রতিকূলতার কারণে সব সময় সেটি সম্ভব হয় না।

আপনি যদি একজন ট্রাভেল এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং যারা ঘুরতে যেতে চান, তাদের ঘোরার সমস্ত ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, তাহলে গ্রামে থেকেও আপনারা এই ব্যবসাটি খুব সহজেই করতে পারবেন।

১১. উপহার ব্যবসা:

বিভিন্ন রকম শুভ অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন ইত্যাদিতে বিভিন্ন রকম উপহারের দরকার পড়ে।

আপনি যদি একটি উপহার সেন্টারের দোকান খুলতে পারেন, তাহলে বহু মানুষ আপনার দোকান থেকে উপহার সামগ্রী কিনতে থাকবে এবং আপনার বিক্রি করা জিনিস গুলির কোয়ালিটি যদি ভালো হয় ,তাহলে দিনে দিনে আপনার গ্রাহকের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে।

১২. ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেচাকেনা:

গ্রামে অনেকেই আছেন যারা হাতে তৈরি সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পারেন। তবে উপযুক্ত মার্কেটের অভাবে সেই জিনিসগুলি বিক্রি করার সুযোগ পান না তারা বা অনেক সময় দূরদূরান্তে গিয়েও বিক্রি করতে হয় তাদেরকে।

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে তাদের জিনিসপত্র গুলি বিক্রি করার এবং কাঁচামাল কেনার ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১৩. ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা:

গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চল প্রত্যেকটি বাড়িতেই ঝাড়ু জিনিসটি একটি অপরিহার্য সামগ্রী। তবে প্রকৃত যে ঝাড়ু, সেগুলি তৈরি হয় গাছ থেকে। বর্তমানে যদিও প্লাস্টিকের ঝাড়ু বাজারে এসেছে কিন্তু সেগুলি অরিজিনাল ঝাড়ুর মতো সুন্দর পরিষ্কার করতে পারে না।

ঝাড়ু তৈরির গাছগুলি সাধারণত গ্রামের দিকেই হয়, যেখানে নদী আছে তার পাশে বেশি হয়। এই গাছগুলি সংগ্রহ করে আপনি যদি ঝাড়ু বা বারুন তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটি গ্রামের বাজারে বা শহরের বাজারে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।

১৪. মশলা ব্যবসা

রান্নাতে অপরিহার্য একটি অংশ হলো মসলা। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সব জায়গাতেই রান্নার কাজে মসলা ব্যবহার করা হয়, না হলে রান্নার স্বাদ রয়ে যায় অপরিপূর্ণ।

আপনি যদি শহর থেকে বিভিন্ন রকম মসলা এনে গ্রামের বাজারে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে মসলা বিক্রি করে আপনি প্রত্যেক মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১৫. মাটির পাত্র তৈরির ব্যবসা:

মাটির পাত্রের ব্যবহার দিনে দিনে কমে আসলেও বর্তমানে নস্টালজিয়া দেখানোর জন্য অনেকেই মাটির পাত্রে খেয়ে থাকেন। পাশাপাশি চায়ের দোকানগুলিতে কাগজের কাপের বদলে মাটির ভাঁড় খুব জনপ্রিয়। এছাড়া বড় বড় হোটেল এবং রেস্টুরেন্টেও বর্তমানে মাটির থালায় খেতে দেওয়া হয়।

গ্রামের দিকে করার মত অন্যতম একটি ব্যবসা হল মাটির পাত্র তৈরির ব্যবসা। আপনি মাটির গ্লাস থেকে শুরু করে মাটির ভাড়, মাটির থালা ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলি শহর বা গ্রামের বড় কোন বাজারে বিক্রি করতে পারেন।

১৬. টাকা পয়সা পাঠানোর ব্যবসা:

গ্রামের অনেক মানুষই শহরে বসবাস করেন। আবার অনেক সময় টাকার জন্য অনেককেই শহরে বা গ্রামে ছোটাছুটি করতে হয়। অনেকে প্রিয়জনকে টাকা পাঠানোর জন্য শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে ছুটে যান।

আপনি যদি একজন মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে টাকা পয়সা পাঠানোর ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তাহলে কোন রকম বিনিয়োগ ছাড়াই প্রত্যেক মাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

শহর থেকে কাউকে গ্রামে টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হলে আপনার মাধ্যমে তারা টাকা পাঠাতে পারবে। আবার গ্রাম থেকে যদি কোন কারণে শহরের টাকা পাঠাতে হয়, তাহলেও তারা আপনার মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবে।।

১৭. মোমবাতি তৈরির ব্যবসা:

বর্তমানে গ্রামের দিকে লোডশেডিং একটি নিত্য নৈমিত্তিক সমস্যা। তাছাড়া প্রত্যেকের ইনভার্টার কেনার সামর্থ নেই। গ্রামের দিকে আজও লোডশেডিং হলে প্রদীপ বা মোমবাতির আলোই ভরসা।

এজন্য আপনি যদি মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে লোকসান হবার কোন সম্ভাবনাই নেই আপনার। মোমবাতি তৈরির জন্য আপনাকে শহর থেকে কাঁচামাল হিসেবে মোমবাতি কিনে আনতে হবে এবং তার সাথে আপনার দরকার পড়বে কয়েকটি ছাচের।

১৮. বাড়ি ভাড়া ব্যবসা:

আপনার বাড়িতে যদি অতিরিক্ত ঘর থেকে থাকে তাহলে সেই ঘরটি আপনি ভাড়া দিতে পারেন এবং ভাড়া বাবদ মাসে বেশ মোটা অংকের টাকা হাতে পেতে পারেন।

এছাড়া গ্রামের দিকে প্রায় সকলেরই বাড়িতে অতিরিক্ত জায়গা থাকে। আপনি যদি জায়গাটি খালি খালি ফেলে না রেখে একটি ছোট ঘর তৈরি করতে পারেন, তাহলে সেটি ভাড়া দিয়ে প্রত্যেক মাসে বেশ মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১৯. বৈদ্যুতিক পণ্যের ব্যবসা:

প্রত্যন্ত গ্রামের ঠিক কোন বৈদ্যুতিন সামগ্রী খারাপ হয়ে গেলে তাদেরকে সেটি ঠিক করার জন্য ছুটতে হয় দূরের কোনো গ্রামে বা শহরে। বৈদ্যুতিক পণ্য খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না গ্রামের দিকে, এজন্য গ্রামের মানুষদের শহরের উপর নির্ভর করতে হয়।

আপনি যদি গ্রামে একটি বৈদ্যুতিক পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তাহলে গ্রামের লোকেদের উপকার তো হবেই – পাশাপাশি আপনার উপার্জনও হবে।

এজন্য আপনাকে অবশ্যই বড় কোন হোলসেল মার্কেট থেকে বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানি করতে হবে।

২০. ইট তৈরির ব্যবসা:

গ্রামের দিকে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকায় অনায়াসেই একটি ইটভাটা তৈরি করা যায় এবং সেখানে ইট তৈরি করা যায়।

বাড়ি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রথম কাঁচামালটি হলো ইট। ইট তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারলে গ্রামেই আপনার তৈরি করা সমস্ত ইট বিক্রি হয়েছে যেতে পারে। পাশাপাশি আপনার তৈরি ইটের দাম যদি অন্যান্য জায়গাগুলির তুলনায় কম হয়, তাহলে শহর থেকে অনেক মানুষ গ্রামে আপনার কাছ থেকে ইট কিনতে আসতে পারে।

২১. মুরগি পালন ব্যবসা:

গ্রামে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকায় মুরগির ব্যবসা পালনের মাধ্যমে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আপনি যদি বাড়ির ফাঁকা জায়গাটি খালি খালি ফেলে না রেখে হাঁস এবং মুরগি প্রতিপালন করা শুরু করে দেন, তাহলে এটি আপনার জন্য বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে।

এই ব্যবসাটি বড় ভাবে করতে গেলে আপনি মুরগির খামার হিসেবে ব্যবসাটি করতে পারেন। হাঁস এবং মুরগির ডিম এর বেশ চাহিদা রয়েছে গ্রাম এবং শহরের বাজারে। তাছাড়া মাংসেরও চাহিদা রয়েছে প্রায় সব জায়গাতেই।

তাই বাড়িতে যদি হাঁস এবং মুরগি প্রতিপালন করতে পারেন , তাহলে প্রত্যেক মাসে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনারা।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular