HomeBusiness ideas১১টি পার্টটাইম কাজ যেগুলি কলেজে পড়তে পড়তেও করা যায়, জানুন বিস্তারিত।

১১টি পার্টটাইম কাজ যেগুলি কলেজে পড়তে পড়তেও করা যায়, জানুন বিস্তারিত।

ছাত্রজীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বিষয়টি গড়ে ওঠে। বড়ো হবার সাথে দরকার হয় হাত খরচের। পড়াশোনা, বিনোদন, কলেজ ফি, টিউশন ফি, পরিবারকে সাহায্য করার কারণে দরকার পড়ে অর্থ। অনেকেই আছেন, যারা নিজেদের খরচের অর্থের জন্য পরিবারের ওপর নির্ভরশীল থাকতে পছন্দ করেন না। তারা কোনো একটি কাজে যুক্ত থেকে উপার্জন করতে চান।

অনেক ছেলেমেয়েরা আছেন, যারা কলেজে পড়ার সময় থেকেই অর্থ উপার্জন করার তাগিদ অনুভব করেন। তাদের জন্যই এই প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানানো হবে এমন ১১ টি পার্ট টাইম ব্যবসা সম্পর্কে, যেগুলি আপনারা কলেজে পড়তে পড়তে করতে পারবেন।

ফুড ডেলিভারি:

বর্তমানে মানুষের বাড়িতে খাবার তৈরি করার সময় এর অভাব। তাই অনেকেই অনলাইনে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ এর ওপর নির্ভরশীল। Zomato, Swiggy থেকে শুরু করে বর্তমানে বহু অ্যাপ খাবার ডেলিভার করে। এই সংস্থাগুলির ফুড ডেলিভারি(Delivery) পার্সন হিসাবে কাজ করে আপনারা প্রতিমাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই সংস্থাগুলিতে প্রচুর ডেলিভারি(Delivery) বয় এবং ডেলিভারি গার্ল এর দরকার হয়।

প্রত্যেক মাসে আপনারা ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এখানে আপনি কলেজে পড়তে পড়তেও পার্টটাইম হিসাবে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া সারাদিন পড়াশোনা করার পর রাতে নাইট শিফটেও কাজ করতে পারেন।

ক্যাটারিং সার্ভিস:

বহু ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে পার্টটাইম কাজ হিসেবে ক্যাটারিং এর কাজ করে থাকেন। এলাকার বিভিন্ন ক্যাটারার সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে আপনারা এই কাজে নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

ক্যাটারিং এর কাজ মূলত সন্ধ্যে থেকে রাত অব্দি হয়। এজন্য আপনারা সারাদিন পড়াশোনা (Study)করে, স্কুল-কলেজ করেও সন্ধ্যা থেকে রাত, ফাঁকা টাইমে এই কাজটি করতে পারবেন।

টিউটর:

এলাকার ছোট ছোট বাচ্চাদের বা মাধ্যমিক স্তর অবধি ছাত্রছাত্রীদের টিউশনি(Tution Job) পড়িয়ে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন কলেজ পড়ুরা ছেলেমেয়েরা। আপনার যোগ্যতা যদি আরও বেশি হয়, তাহলে উচ্চ মাধ্যমিক এর ছাত্রীদেরও পড়াতে পারবেন। পড়ানোর কাজটি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন বা ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে বা কোনো কোচিং এর মাধ্যমেও করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার:

পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জনের আরেকটি পথ হলো ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফির জন্য আপনাকে প্রথমে বেশ কিছু মূলধন নিযুক্ত করতে হবে। ভালো মানের ক্যামেরা থাকা জরুরী। ফটোগ্রাফি (Photography Business) করার মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ব্রাইডাল ফটোশুট এ কাজ করে আপনারা উপার্জন(Earning) করতে পারবেন। এছাড়া এলাকার কোন বিয়ের অনুষ্ঠান বা শুভ অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি (Photography Business)র কাজও করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার:

কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাড়িতে বসে উপার্জন করার অন্যতম একটি উপায় হলো কনটেন্ট রাইটিং। বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্ম এ লেখালেখির মাধ্যমে আপনারা অনেক টাকা উপার্জন (Earning) করতে পারবেন।

কনটেন্ট রাইটিং(Content Writing) এ বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখালিখির কাজ করতে হয়। এখানে সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা,চাকরির বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনারা লিখতে পারেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট:

বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি অল্প সময়ের ভিত্তিতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট(Virtual Assistant Job) নিয়োগ করে থাকে। আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসেই যেকোন কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট(Virtual Assistant) এর কাজ সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে এবং দক্ষতা অনুযায়ী আপনার উপার্জনের মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

অনলাইন রিসেল:

কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য ঘরে বসে উপার্জন করার মতো অন্যতম একটি পথ হতে পারে অনলাইনে Resale করা। বর্তমানে আমাজন, Flipkart, mesho সহ একাধিক অনলাইনে ডেলিভারি। সংস্থা রিসেল এর মাধ্যমে উপার্জন করার সুযোগ দিচ্ছে।

আপনার কাস্টম লিঙ্ক(Custom link) এর মাধ্যমে কেউ কেনাকাটি করলে আপনি সেই অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে প্রফিট পাবেন।

বেকারি:

এখন জন্মদিন হোক বা এনিভার্সারি(Aniversary) বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ মুহূর্তের উদযাপন – তার প্রধান একটি অংশ হিসেবে কেক থাকবেই। আপনি যদি কেক এবং বেকারি সামগ্রী তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে খুব শীঘ্রই আপনি অনেক টাকা উপার্জন করার রাস্তা পেয়ে যাবেন।

এইজন্য আপনাকে কেক তৈরির পদ্ধতি ভালোভাবে শিখতে হবে এবং আপনার কেকের স্বাদ যদি ভাল হয়, তবে দিনে দিনে আপনার গ্রাহক সংখ্যাও বাড়তে থাকবে।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট:

পার্ট টাইম জব হিসাবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ আপনার জন্য অন্যতম একটি বিকল্প হতে পারে। আপনারা চাইলেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ এর মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করে নিতে পারবেন পড়াশোনার মধ্যে থেকেও।

মূলত বিয়ে, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন সহ একাধিক অনুষ্ঠানে সাজানো, মঞ্চসজ্জা, খাবার ও অন্যান্য বিষয় আয়োজন করতে হয় এই কাজে। লোকবল থাকলে এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন আপনারা।

অনলাইন কোচিং:

পড়াশোনা সম্পর্কিত বা অন্য কোনো বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান থাকলে সেটি অন্যদের শেখাবার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

See also  উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কোন কোন পেশাকে বেছে নিতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য, জানুন।

বর্তমানে শিক্ষা, ব্যবসা সহ একাধিক বিষয় অনলাইন(Online) নির্ভর হয়ে পড়েছে। অনলাইনেই আপনারা কোচিং করাতে পারবেন। কলেজ থেকে ফিরে বা অবসরে স্বাচ্ছন্দের সাথেই অনলাইনে কোচিং করাতে পারবেন

আপনারা যে যে বিষয়ে দক্ষ, সেই বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে পড়ানো শুরু করতে পারবেন । এই ব্যবসাতে আপনার মূলধন হিসেবে তেমন কিছুই লাগবে না। একটি ভাল এন্ড্রয়েড ডিভাইস বা কম্পিউটার ডিভাইস এবং ইন্টারনেট(Internet) হলেই আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন।

ইউটিউব:

ইউটিউব ভিডিও চালানোর সময় আমরা বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। এই বিজ্ঞাপনগুলি থেকেই মূলত ইউটিউব(YouTube) থেকে উপার্জন করা যায়।

বর্তমান কলেজে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য উপার্জন করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় উপায় হল ইউটিউব থেকে উপার্জন করা। ইউটিউবে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর আপনাকে ভিডিও দিতে হবে। ভিডিওতে ভিউয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, তত আপনার উপার্জনের পরিমাণ বাড়বে। ইউটিউব চ্যানেল(YouTube Channel) থেকে উপার্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার(YouTube Subscribers) থাকতে হবে। ভিডিও যথেষ্ট গুণমান যুক্ত হতে হবে।

বর্তমানে অনেক ছেলেমেয়ে ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর:

Social Media যেমন Youtube, Facebook, Instagram ইত্যাদি জায়গায় ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে যদি পপুলার হতে পারেন, সেখান থেকে উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা Youtube, Instagram সহ একাধিক প্লাটফর্মে নিজেদের ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে, এবং অন্যান্য ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড এর প্রমোশন করে অনেক টাকা উপার্জন করেন। মূলত এই কাজটি যারা করেন, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে দেখা হয়।

বহু ব্র্যান্ডের প্রোমোশন করতে এবং অন্যান্য পণ্যের প্রচার করতে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জাদের সাহায্য নেওয়া হয় এবং তাদেরকে মোটা টাকা বেতন দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular