১৭২৯টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। এতদিন পর্যন্ত বিএড করা ছাত্রছাত্রীদের মাদ্রাসায় নিয়োগের কোনরকম সুযোগ ছিল না। সেই বিষয়টি নিয়েই বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এবার থেকে মাদ্রাসা পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বা টেট পরীক্ষায় বিএড পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত শুক্রবার মাদ্রাসা পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে দুটি নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
একটি মামলায় তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে বি এড সহ শিক্ষণ প্রশিক্ষণের যে কোন পাঠক্রমের পড়ুয়ারা মাদ্রাসা পর্ষদের নিয়োগ পরীক্ষা বা টেট পরীক্ষার অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এই নির্দেশটি শুধুমাত্র মামলাকারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। মাদ্রাসা পর্ষদ চাইলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মামলার আবেদনকারী ছাড়াও সমপর্যায়ে থাকা অন্য প্রার্থীদেরও সমান সুবিধা দিতে পারে।
অন্য একটি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছেন যে বিএড পাস করা প্রার্থীদের বিয়ের ডিগ্রিধারীদের সমতুল্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। মাদ্রাসা পর্ষদের টেট পরীক্ষায় বিএড বা অন্যান্য শিক্ষণ প্রশিক্ষণ পাঠক্রমের পড়ুয়ারাও সুযোগ পাবেন।
মাদ্রাসা পর্ষদের আইনজীবী অন্যান্য শিক্ষণ প্রশিক্ষণ পাঠক্রমের পড়ুয়াদের টেটে বসার কথা মানতে চাননি। পরে সাওয়াল জবাবের পর বিচারপতি মামলাকারীদের টেটে বসার সুযোগ দেন। মামলাকারীদের বিচারপতি জানান যে, আরো অনেক প্রার্থী আছেন যারা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। আদালত যাতে এই বিষয়টি ও বিচার বিবেচনা করেন সেই বিষয়টিও তিনি জানান। তারপরেই পর্ষদ সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাকিদেরও টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে পারে বলে জানান বিচারপতি।
বর্তমানে বি এড পাশকে সাধারণ বি এড ডিগ্রির সমতুল্য হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা পর্ষদ এই বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। এটি নিয়মের পরিপন্থী। কোর্ট জানিয়েছে যে, যে সমস্ত প্রার্থীরা মামলা করেছিলেন তাদের চাকরির ভবিষ্যৎ মামলা রায়ের উপরেই নির্ভর করছে।