পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা(Dearness Allowence) জন্য আন্দোলন করছেন। পাশাপাশি তারা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিও জানিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশে রাজ্যের একটি মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার ফয়সালা হল। বিশেষ জটিলতায় একজন কর্মীর বকেয়া মহার্ঘ ভাতা আটকে ছিল, তবে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট মামলাটির নিষ্পত্তি করা হলো। হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে সেই কর্মীর বকেয়া সমস্ত মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। মুখে হাসি ফুটেছে মামলাকারী প্রার্থীর।
সূত্রের খবর, রেখা আগরওয়াল নামের একজন শিক্ষিকা কলকাতা হাইকোর্টে মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত একটি মামলা করেন। তিনি 2010 সালে শিক্ষিকা হিসেবে বড় বাজারের একটি স্কুলে যোগদান করেছিলেন। সেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মহার্ঘ ভাতা পেতেন। সেইমতো তিনি চাকরিতে যোগদান করার পর ২০১৪ সালে মহার্ঘ ভাতার দাবি জানান। কিন্তু দেখা যায় তার মহার্ঘ ভাতা আটকে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তলিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দপ্তর। তবে শিক্ষা দপ্তর পরবর্তীকালে জানায়, বয়সের সীমা পেরিয়ে যাবার পর তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাই তিনি মহার্ঘ ভাতা পাবেন না। এরপরেই সেই শিক্ষিকা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় হাইকোর্ট জেলা স্কুল পরিদর্শককে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এই বিষয়টিতে জেলা স্কুল পরিদর্শক নজর দেননি। পরিস্থিতি সমাধান না হওয়ার জন্য তিনি তৃতীয়বারের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০২১ সালে মামলা দায়ের করেন তিনি। অবশেষে জয়লাভ করেছেন শিক্ষিকা। হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষিকার DA মিটিয়ে দিতে হবে।