আরও একবার সুপ্রিমকোর্টে পিছিয়ে গেল বকেয়া মহার্ঘ ভাতা(Dearness Allowence) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। পুনরায় এই মামলার শুনানি(DA Case Update) হতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই নিয়ে দশ বারের জন্য শীর্ষ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। হতাশ হয়ে আছেন বহু সরকারি কর্মচারীরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘভাতার জন্য আন্দোলন করে চলেছেন।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলাতে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিলেও সরকার সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court DA Case Update) দ্বারস্থ হয়। ২০২২ সালে ৩ নভেম্বর তারিখে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। গত বছর ২৮শে নভেম্বর তারিখে প্রথমবারের জন্য শুনানি হয় সুপ্রিমকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল পরবর্তী শুনানি হবে ৫ ডিসেম্বর। এরপর সুপ্রিম কোর্টের তরফে একের পর এক তারিখ দিলেও পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। ফলে আশাহত হয়ে আছেন রাজ্যের কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারীরা। গত ১৪ই জুলাই তারিখে নবমবারের জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল শুনানি। সে সময় পরবর্তী শুনানির তারিখ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য না দেওয়া হলেও পরবর্তীকালে শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ৩ নভেম্বর তারিখে মামলাটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২০২২ সালের ২০ মে তারিখে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। তবে রাজ্য এই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। রাজ্যের দাবী ছিল এই সিদ্ধান্ত মেনে মহার্ঘ ভাতা দিতে হলে রাজ্যের খরচ হবে ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা, যা রাজ্যের পক্ষে বহন করা এই মুহূর্তে কঠিন। তাছাড়া কোর্টের রায় না মানার জন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। এ সমস্ত একাধিক মামলা একসাথে ওঠে সুপ্রিম কোর্টে, যারা নিস্পত্তি এখনো পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।
আপাতত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সে পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যের কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন অবশ্য এখনো আশাবাদী যে সুপ্রিম কোর্টের রায় তাদের পক্ষে যাবে এবং তারা তাদের উপযুক্ত প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাবেন।