রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে এখনো উত্তেজনার পারদে হাইকোর্ট, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে। বেতন ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে সেই প্রার্থীরা আবার মামলা করেছেন হাইকোর্টে সেই মামলার এখনো পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। তারই মধ্যে টেট পরীক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে খতিয়ে দেখার পরামর্শও দিলেন যে, ওই ব্যক্তি আদৌ চাকরি পাওয়ার যোগ্য কিনা!
৪২ হাজার ৫০০ জন চাকরি প্রার্থীর চাকরি কি পুরোটাই ভুয়ো ? তাই নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু খবর দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, ঐ সমস্ত প্রার্থীদের কোন রকম অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। প্রার্থীদের কি আদৌ কোন রকম অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি নাকি পুরো খবরটাই ভুয়ো, এই সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টে হাজিরা দেবার কথা ছিল টেট পরীক্ষকদের।
এই দিন সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে ৩০ জন টেট পরীক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
৩০ জন পরীক্ষক এর মধ্যে ২০ জন টেট পরীক্ষক জানিয়েছেন যে, চাকরিপ্রার্থীদের কোন রকম আপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। এই ৩০ জন টেট পরীক্ষকের মধ্যে একজন বলেন যে, ‘বাংলায় বলুন, ইংরেজি বুঝতে পারব না’।
ওই টেট পরীক্ষকের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে ব্যক্তি ভালোভাবে ইংরেজি কথা বুঝতেই পারেন না, সেই ব্যক্তি কিভাবে টেট পরীক্ষকের দায়িত্ব পেলেন সেকথাও সকলের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। ওই ব্যক্তি আদৌ চাকরি পাবার যোগ্য কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে।