পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (WB Teacher Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় বিরাট নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একসাথে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারই সাথে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, চাকরি হারানো শিক্ষকরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাদের দেওয়া হবে পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরো বলেন যে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক চাকরিচ্যুত হওয়ার ফলে যে শূন্যপদ তৈরি হবে, সেখানেও দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
তবে এই দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে যে সমস্ত প্রার্থীরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে বা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যদি তারা ইন্টারভিউতে পাশ করেন তাহলে তারা তাদের চাকরি ফেরত পাবেন।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পর চাকরি হারাদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) দ্বারস্থ হন। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে, শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলুক। তবে চাকরীচ্যুত শিক্ষকদের পার্শ্বশিক্ষক(Para Teacher) হিসেবে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি চাকরিচ্যুত ৩২ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য বলা হয়। তবে তারা যদি ইন্টারভিউতে(Teacher Interview) ব্যর্থ হন, তবে তারা চাকরি হারাবেন বলে জানানো হয় ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে।
এরপর এই চাকরিহারা প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টে মামলা ওঠে বিচারপতির জেকে মহেশ্বরী এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Justice Avijit Gangopadhyay) নির্দেশকে খারিজ করে দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয় যে নতুন করে ৩২ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে না। হাইকোর্টের নতুন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি পাঠানো হবে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। বিচারপতি সৌমেন দাস ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের বেঞ্চে হবে মামলাটি। সেখানেই মামলাটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।