নজিরবিহীন নিয়ম চালু হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার থেকে ঋতুস্রাবের সময় ছুটি পেতে পারেন ছাত্রীরা। উপকৃত হবেন বহু ছাত্রীরা।
পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েদেরকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মাসের ৪-৫ দিন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের। এছাড়াও রয়েছে পোস্ট মেন্সট্রুয়াল পর্যায় (Post menstrual Stage)। অনেক মেয়েদের এই সময় পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়, এমনকি রক্তক্ষরণও মারাত্মক রকম হতে পারে। এই সময় অধিকাংশ মেয়েদেরই শারীরিক এবং মানসিক দুই অবস্থাতেই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পার করতে হয়।
ছাত্রীদের শারীরিক সুস্থতার কথা মাথায় রেখে ঋতুস্রাব চলাকালীন ছাত্রীদের ছুটি দেবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেরালা সরকার। কেরালা শিক্ষামন্ত্রী Vasudevan Sivankutty জানিয়েছেন যে, উচ্চশিক্ষা বিভাগে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঋতুস্রাব চলাকালীন মেয়েদের মাসিক ছুটি দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে সরকার।
কেরালার কোচি বিশ্ববিদ্যালয়ের Kochi University science and technology বিভাগের পক্ষ থেকে কেরালার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ম চালু করার কথা জানিয়ে শিক্ষা দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
SFI এবং CUST ইউনিয়ন প্রথমে ছাত্রীদের আবেদনের ভিত্তিতে ছুটি দেওয়ার আবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এরপরেই গোটা কেরালা রাজ্যজুড়ে ঋতুস্রাব চলাকালীন মেয়েদের ছুটি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের বহু কর্পোরেট সংস্থা মেয়েদেরকে পিরিয়ড লিভ দেয়, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেরকম নজির দেখা যায়নি।
পিরিয়ড চলাকালীন ছুটি নিলে ছাত্রীদের উপস্থিতির হার কমে যাবে। বর্তমান নিয়মে পরীক্ষায় বসার জন্য ছাত্রছাত্রীদেরকে অন্তত ৭৫% উপস্থিতি রাখতে হয় স্কুলে। তবে মেয়েদেরকে পিরিয়ড চলাকালীন ছুটি দেওয়া হলে পরীক্ষার নিয়মে ও বদল আসবে। সে ক্ষেত্রে মেয়েদেরকে ৭৫% দিনের পরিবর্তে নূন্যতম হাজিরা দিতে হবে ৭৩% দিন।
CUSAT-এর এই পরিকল্পনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজ্যের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলিও ঋতুকালীন সময়ে ছাত্রীদের ছুটি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারে এবং হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সারা ভারতে এই নিয়ম চালু হতে পারে।