২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল যে, সরকারি স্কুলের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন( Private Tutor Welfare Association West Bengal) সরকারি শিক্ষকদের(Government Teachers) প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে(Kolkata High Court) একটি মামলা দায়ের করেছিল। অবশ্য তার আগেই বিভিন্ন প্রাইভেট টিউশন অ্যাসোসিয়েশন(Private Tutor Association) গুলির দাবি মেনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে যে নিয়ম ভঙ্গ করে একাধিক সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা রমরমিয়ে প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে চলেছেন। সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট অনেক আগেই। তা সত্ত্বেও দেখা গিয়েছে যে অনেক শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রাইভেট টিউশন ইনস্টিটিউশনে পড়াচ্ছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আবারও একবার সেই নির্দেশ জানিয়ে দিল।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোন সরকারি স্কুলের শিক্ষক যদি এমন প্রাইভেট টিউশন পড়ান, তাহলে তার বিরুদ্ধে ৩ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকেও পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে। যদি তা না হয়, তাহলে কলকাতা হাইকোর্ট নিজেই এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাইভেট টিউটরর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী এক্রামূল জানিয়েছেন যে ২০১৮ সালের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের প্রাইভেট টিউশন এর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে অনেক স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রদের কম নম্বর দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের টিউশন পড়তে বাধ্য করেছেন। এটিকে একটি গুরুতর অপরাধ বলে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবার জন্য আবেদন জানানো হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। এছাড়া প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন যে এবার থেকে কোথাও কোন এলাকায় সরকারি শিক্ষকরা যদি প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে থাকেন, তবে তাদের তালিকা জোগাড় করবেন তারা।