বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার মন্দা হলেও একটি স্থায়ী চাকরির খোঁজ অনেকেই করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে চাকরি দুর্লভ তাই জন্য অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যবসার (Business) দিকে।তাই সেদিকে নজর রেখে চলতি বছর থেকেই National Education Policy আওতায় কলেজের স্নাতক স্তরে University Grants Commission অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বাধ্যতামূলক করলো পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ করা। সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রকাশিত হয়েছে গাইডলাইনও। কি বলা হয়েছে গাইডলাইনে(Guidelines)? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
গাইডলাইন অনুযায়ী, ইন্টার্নশিপের (Internship) মাধ্যমে পড়ুয়ারা পাবেন এক্সট্রা ক্রেডিট পয়েন্ট। এই ক্রেডিট পয়েন্টের (Credit Point) সঙ্গে থাকা নম্বর যোগ হবে পড়ুয়াদের স্নাতকের মোট নম্বরের (Total Marks of Graduation) সঙ্গে। এক কথায় বলতে গেলে এই ইন্টার্নশিপের সঙ্গে তাঁদের স্নাতকের পাওয়া মোট নম্বর ভীষণভাবে সম্পর্কিত। প্রথম থেকেই জাতীয় শিক্ষা নীতিতে গবেষণা ও ইন্টার্নশিপের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
UGC প্রকাশিত এই গাইডলাইনে (Guidelines) আরো বলা হয়েছে যে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু করা হবে এই নিয়ম। এই বছর থেকেই স্নাতক স্তরে থাকা প্রতিটি পড়ুয়াকে সম্পন্ন করতে হবে নূন্যতম 60 থেকে 120 ঘণ্টার ইন্টার্নশিপ। এই ইন্টার্নশিপের জন্য পড়ুয়াদের মোট ক্রেডিটের 2 থেকে 4 টি ক্রেডিট থাকতে পারে।
গাইডলাইনে আরো বলা হয়েছে যে, এই ইন্টার্নশিপ সেরে ফেলতে হবে জেনারেল স্নাতক কোর্সের চতুর্থ সেমেস্টার শেষ করার পরেই। আবার, যেসব পড়ুয়াদের স্নাতক ডিগ্রি মোট 4 বছরের তাঁদের ক্ষেত্রে এই ইন্টার্নশীপ অষ্টম সেমেস্টারে সেরে ফেলতে হবে।
এই ইন্টার্নশিপের জন্য প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণামূলক মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এই কারণে পড়ুয়াদের সুবিধার্থে ‘গবেষণা ক্ষমতা বৃদ্ধির’ (Research Capacity Building) কোর্সে যোগদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও পড়ুয়ার যদি কলেজ চলাকালীন অন্য কোনো গবেষণামূলক ইন্টার্নশিপে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাও তিনি পারবেন। পড়ুয়ারা নিজের ইচ্ছা মতো যে কোনো সরকারি সংস্থা, প্রাইভেট সংস্থা, এনজিও, ব্যবসায়িক সংস্থা, স্থানীয় কোনও সংস্থা, শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত যেকোনো সংস্থার সঙ্গে ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এইসব গবেষণামূলক ইন্টার্নশিপ অবশ্যই UGC অথবা National বা International স্তরের কোনো সংস্থা হতে হবে।
-Written by Riya Ghosh