২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেট পরীক্ষা। পরীক্ষা হবার প্রায় ৬০ দিনের মাথায় ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর।গতবছর রাজ্যে ৬১৯১০২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বসেছিলেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৫০৪৯১ জন।সফলতার হার ২৪.৩১ শতাংশ।
প্রায় পাঁচ বছর পর ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। প্রত্যেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে যে আগামী সময় কবে পুনরায় টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে?
প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে এবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড বছরে দুবার করে টেট পরীক্ষা নিতে পারে। এমনকি ২০২৩ সালেও অর্থাৎ চলতি বছরেই হতে পারে টেট পরীক্ষা।
পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি পেলেই পুনরায় টেট পরীক্ষা এর আয়োজন করা যেতে পারে।তিনি আরো বলেন “টেট পরীক্ষার জন্য আমাদের রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছে প্রস্তাব দিতে হয়। কারণ, পরীক্ষা পর্ষদ নিলেও প্রশাসনিক পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করে সরকার।”
তবে টেট পরীক্ষায় পাশ করা মানেই যে সরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হবে তেমনটি নয়। শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তরফ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সভাপতি গৌতম পালকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, এই টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কবে জয়েন করানো হবে? তখন তিনি বলেন যে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এই সমস্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
বর্তমানে ২০১২,২০১৪,২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই লিস্ট এর প্রার্থীদের নিয়োগ শেষ না হওয়া অবধি আবেদন করতে পারবেন না ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এমনকি সামনে কোনো নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ২০২২ এর টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না যতক্ষণ না আগের লিস্ট এর প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন। গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সভাপতি গৌতম পাল এমনটাই মন্তব্য করেন।
অর্থাৎ এইবারের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে হবে সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত নয় প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর এবং রাজ্যের শিক্ষা পরিষদ। এরই মধ্যে যদি শিক্ষা দপ্তরের কথা অনুযায়ী এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পুনরায় টেট পরীক্ষা এর আয়োজন করা হয়, তবে আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ এবং পরীক্ষার্থীরা।
এবারের পরীক্ষার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সন্দিহান সকলেই।যদিও পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এর দাবি, নিয়োগ হবে ১০০ শতাংশ স্বচ্ছভাবে।