রাজ্য সরকার শুরু করেছিল তার কর্মচারীদের জন্য নতুন স্কিম। স্কিমটি স্বাস্থ্য স্কিমের আওতায় আসছিল এবং সেই স্কিম নিয়েই নয়া নোটিস জারি করল রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর। কি সেই নোটিশ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সরকারি কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য স্কিম চালু করেছিল রাজ্য সরকার। সেই স্কিম নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল সরকারের তরফ থেকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানানো হয় যে পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমে আরও বেশ কিছু হাসপাতালকে যুক্ত করা হয়েছে।
যদিও অভিযোগ যে, বিল পেশের পরেও টাকা পেতে দেরি হচ্ছিল সরকারি কর্মচারীদের আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সেলে এবার থেকে একজন চিকিৎসককে রাখা হবে বলে জানা গেছে। এর মাধ্যমে বিল মেটানোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলেই আশাবাদী সরকার।
প্রসঙ্গত বলে রাখি যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী এবং তাঁদের পরিবার ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস পরিষেবা পেতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, এমপ্যানেলড হাসপাতালে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ হলে হাসপাতালে ওই কর্মীকে কোনও বিল মেটাতে হয় না। তবে বিল যদি ২ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে সেই বিল জমা করতে হয় সরকারের কাছে। পরে রিইম্বার্সমেন্টের মাধ্যমে সেই টাকা ফেরত পান সংশ্লিষ্ট কর্মী।
কোন কোন হাসপাতালগুলো নতুনভাবে এই প্রকল্পের আওতায় যোগ হলো সেগুলি জেনে রাখা ভালো। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, হাসপাতালগুলি হলো:
১) কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট (কালিকাপুর)
২) টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথকেয়ার সেন্টার (ইএম বাইপাস)
৩) তপোবন হাসপাতাল (দুর্গাপুর)
৪) আরামবাগ ডায়াগ্নস্টিক (আরামবাগ)
৫) এএসজি হাসপাতাল (বিটি রোড)
৬) এএসজি হাসপাতাল (দেশপ্রাণ শাসমল রোড)
৭) হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট (শিলিগুড়ি)
৮) জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন (চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর)
৯) মেডিট্রাস্ট ডায়াগ্নস্টিক (কাশিপুর রোড, দমদম)
এবার থেকে নতুন ব্যবস্থায় আর কোনো সমস্যা হবেনা বলেই ধরা হচ্ছে। তবে এরপরেও সরকারি কর্মীদের চিকিৎসা খরচের বিল জমা পড়ার পর কোনো জটিলতা থাকলে সেই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
-Written by Riya Ghosh