কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে জানানো হয়েছিল দশম বা দ্বাদশের পরীক্ষায় দুবার বসতে হবে শিক্ষার্থীদের। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি(National Education Policy) চালু হবার পর রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও বেশ কিছু বদল এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বদল হলো দুবার উচ্চ মাধ্যমিক(High Secondary Exam) পরীক্ষায় বসা। তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন যে, দশম বা দ্বাদশের পরীক্ষায় দুবার বসার বিষয়টিতে কোনো রকম বাধ্যবাধকতা নেই। এটি শিক্ষার্থীদের একান্ত ঐচ্ছিক প্রক্রিয়া। আবার কেন্দ্রে শিক্ষানীতির স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal)শিক্ষানীতির বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিকল্প নথির ৯৯% মিল রয়েছে জাতীয় শিক্ষা পলিসির সাথে।
রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রস্তাবে জানানো হয়েছিল, আগামী ২০২৫ সাল থেকে ২ দফায় উচ্চমাধ্যমিকের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রথম পরীক্ষাটি হবে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এবং পরবর্তী পরীক্ষাটাই হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। এইভাবে চূড়ান্ত পরীক্ষাটিকে দুটি ভাগে ভেঙে নেওয়া হবে। দুটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে সেই ভিত্তিতেই চূড়ান্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, “ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা JEE-র মতোই ক্লাস ১০ অর্থাৎ মাধ্যমিক ও ১২ অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক এর পরীক্ষায় বছরে দু’বার করে বসার অপশন থাকবে। তার মধ্যে থেকে সেরা নম্বরটি বেছে নিতে পারবে পড়ুয়ারা। এটি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক বিষয়।”
দুবার পরীক্ষা চালু করার বিষয়টি কেন শুরু করা হলো এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন যে পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি ভীতি দূর করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক পড়ুয়ারা এই ভয়ে ভোগেন যে এক বছর নষ্ট হয়ে গেলে, আবার নতুন করে পড়া শুরু করতে হবে, সুযোগ হাতছাড়া না হয়ে গেলে আরো ভালো ফল করা যেত। এই সুযোগের ভীতি থেকে তৈরি হওয়া চাপ কমাতে নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন যদি কোন শিক্ষার্থী যদি মনে করে সে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত, এবং প্রথমবারের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়েই সে সন্তুষ্ট, তাহলে সে পরের পরীক্ষা চাইলে নাও দিতে পারে। এটি কোন বাধ্যতামূলক বিষয় নয়।