রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য রয়েছে একসাথে দুটি সুখবর। নতুন শিক্ষানীতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন বাড়তে চলেছে রাজ্যের শিক্ষকদের। গত সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন যে শিক্ষানীতি অনুমোদিত হয়েছে সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী তাদের পদোন্নতি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুজোর আগেই এই জোড়া সুখবরে চওড়া হাসি ফুটেছে রাজ্যের শিক্ষকদের মুখে।
মূলত এই সুখবরটি রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষক বা প্যারা টিচারদের জন্য। প্যারা টিচারদের দাবি, তারা সহকারী শিক্ষকদের সমান কাজ করলেও বেতনের ক্ষেত্রে তারা সহকারী শিক্ষকদের সমান বেতন পান না। এছাড়া অন্যান্য সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বারবার বঞ্চিত হন। পার্শ্বশিক্ষকদের এই দাবি নিয়ে এবার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। সবদিক খতিয়ে রেখে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। বর্তমানে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মোট কতজন পার্শ্ব শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন এবং তারা কিভাবে কাজ করছেন সেই সমস্ত দিকগুলি বিচার বিবেচনা করা হবে। যোগ্যতা নিরিখে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য চালু হচ্ছে একাডেমিক পারফর্মেন্স ইন্ডাক্টর(Academic Performance Inductor)। এর মধ্য দিয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে এবং তার মাধ্যমেই সহকারী শিক্ষকদের প্রমোশন হবে। শিক্ষকদের গুণমান যাচাই করার জন্য অ্যাপ্রাইজাল পদ্ধতিতে হাঁটছে রাজ্য সরকার। সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে দেখার পরেই পদোন্নতি হবে শিক্ষকদের(WB Teacher Promotion)।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। পার্শ্ব শিক্ষকদের উন্নতির সাথে সাথে যেন স্থায়ী শিক্ষকদের শূন্যপদ অবলুপ্ত না করা হয়, সে বিষয়টি সম্পর্কেও জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা মহল। একসাথে এত পার্শ্ব শিক্ষকদের ট্রেনিং রাজ্য সরকার করাতে পারবেন কিনা, তাই নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
পদোন্নতি পেয়ে পার্শ্বশিক্ষকরা সহশিক্ষক পদে উত্তীর্ণ হলে তারা সহশিক্ষকদের সমান বেতন পাবেন। তাছাড়া অন্যান্য অনেক সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যে সুবিধা গুলি এতদিন পর্যন্ত তারা পেতেন না।