ভারতের কঠিনতম পরীক্ষার (Toughest Exam) মধ্যে পড়ে UPSC অর্থাৎ Union Public Service Commission পরীক্ষা যার মধ্যে পড়ে IAS অর্থাৎ Indian Administrative Service এবং IPS অর্থাৎ Indian Police Service এর পরীক্ষা। প্রতি বছর হাজার হাজার পরীক্ষার্থী IPS এবং IAS Officer হবার স্বপ্ন নিয়ে দেন এই পরীক্ষা। কিন্তু যথেষ্ট কঠিন এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না সকলে। এই পরীক্ষাতে সফলতা অর্জন করতে হলে বছরের পর বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়।
খুব কম সংখ্যক মানুষই পান সফলতা। এই কারণেই UPSC কে ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষার স্থান দেওয়া হয়েছে। তবে এবার সকলকে অবাক করে দিয়ে একই বাড়ির চার সদস্য হয়েছেন সফল! তাঁদের এই সাফল্যে যথেষ্ট গর্বিত পুরো ভারত। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে নিজেদের মনের জোর আর প্রবল জেদের কাছে বশ মেনেছে এই কঠিন পরীক্ষাটিও।
এই চার জনের মধ্যে তিন জন হলেন IAS এবং এক জন হলেন IPS অফিসার। অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এটাই সত্যি! এরকম অসম্ভব ঘটনাকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh)প্রতাপগড়ের এই ভাইবোনেরা। আজ জানবো এই ভাইবোনের বিষয়ে।
সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে যে চার ভাইবোনের মধ্যে বড়ো ভাই হলেন যোগেশ, মেজো বোন ক্ষমা, সেজো বোন মাধুরী এবং ছোটো ভাই হলেন লোকেশ। এই চার ভাইবোনের মধ্যে প্রত্যেকে গুণী! চার ভাইবোনের সকলের এহেন সাফল্য এক কথায় নজিরবিহীন।
যোগেশের বিষয়ে খুঁটিনাটি:
সবার বড় যোগেশ হলেন একজন IAS অফিসার। তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা লালগঞ্জ (Lalganj) স্কুল থেকে শেষ করে তাঁর Engineering সম্পন্ন করেন মতিলাল নেহরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ (Motilal Nehru National Institute of Technology College) থেকে। এরপরে চাকরি পেয়ে যান তিনি। চাকুরীরত অবস্থাতেই UPSC-জন্য প্রস্তুতি শুরু করে ২০১৩ সালে সফল হন তিনি।
ক্ষমার বিষয়ে খুঁটিনাটি:
মেজো বোন ক্ষমা কিন্তু UPSC পরীক্ষা দিয়ে তিনবার ব্যর্থ হন এবং চতুর্থ বারে সফলতা অর্জন করেন। বর্তমানে একজন IPS আধিকারিক হয়ে কাজ করছেন তিনি।
মাধুরীর বিষয়ে খুঁটিনাটি:
সেজো বোন মাধুরী লালগঞ্জ (Lalganj) থেকে স্নাতক করার পর এলাহাবাদ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। তারপর UPSC পরীক্ষায় বসে তিনি ২০১৪-তে ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের IAS হন।
লোকেশের বিষয়ে খুঁটিনাটি:
সবার ছোট ভাই লোকেশও UPSC পাশ করে ২০১৫ সালে বিহার ক্যাডারের IAS হন।
শেষ কিছু কথা:
চার কৃতি ভাইবোনের বাবা অনিলপ্রকাশ মিশ্র (Anil Prakash Misra) হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার(Retired Gramin Bank Manager)। সন্তানের পড়াশোনায় কখনো কোনো ত্রুটি তিনি রাখেন নি। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেমেয়ের এই সাফল্যে তিনি ভীষণ খুশি। এই প্রসঙ্গে অনিল বলেন যে, “আমি এর থেকে আর কিই বা চাইতে পারি! আমার সন্তানেরা আমার গর্ব।” এছাড়াও, তিনি বলেন, “আমি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হওয়া সত্ত্বেও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে কোনো খামতি রাখিনি। ওরা ভালো চাকরি পাক এটা সব সময় চাইতাম। তবে ওরাও কঠিন পরিশ্রম করেছে।”
-Written by Riya Ghosh