আগামী 23শে ফেব্রুয়ারি,২০২৩ তারিখ থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা(West Bengal Secondary Exam)। পরীক্ষা চলবে পরের মাস অর্থাৎ মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি। তবে এবছরে পরীক্ষা দিতে পারছেন না ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশন(Madhyamik Registation) হয়নি নাকি অন্য কোনো কারণে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেন না? জেনে নিন বিশদে।
চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের(West Bengal Madhyamik candidate Number 2023) সংখ্যা 6 লাখ 98 হাজার 928 জন। ছাত্রের সংখ্যা 2 লাখ 90 হাজার 172 জন এবং ছাত্রীসংখ্যা 3 লাখ 56 হাজার 21 জন। গতবছর অর্থাৎ 2022 সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল 10 লাখ 98 হাজার 775 জন। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে প্রায় চার লক্ষ।
প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা 9 লক্ষ বা দশ লক্ষ জন মত হয়। তবে এ বছর পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক কম। পরীক্ষার্থীদের এমন কম সংখ্যক উপস্থিতির কারণ হিসাবে কোভিড পরিস্থিতিকেই(Covid) মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় মোট রেজিস্ট্রেশন করেছিল প্রায় ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী ,তবে পরীক্ষাতে বসছে প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। এখানেই সরাসরি ২ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। তবে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছেন তাদের জন্য কোন রকম খামতি রাখতে চায়না শিক্ষা পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র রাজ্যজুড়ে মোট 2867 টি পরীক্ষা কেন্দ্র থাকছে।
এই সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে নজরদারি করার দায়িত্বে থাকছেন প্রায় 40000 জন পরীক্ষক। পরীক্ষা কেন্দ্রের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকছেন প্রচুর পুলিশ কর্মী। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে নতুন অ্যাপ চালু করা হয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রের রিয়ালটাইম আপডেট পৌঁছে দেওয়া হবে পর্ষদের কাছে।
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। উপনির্বাচনের জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস পরীক্ষার সময়সূচি বদলে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি পরীক্ষাগুলির সময়সূচী এবং তারিখ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার চলাকালীন কোন অভিভাবক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সবরকম চেষ্টার আয়োজন করে রেখেছে শিক্ষা পর্ষদ। সমগ্র পরীক্ষা প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেই চেষ্টাই করছে শিক্ষা পর্ষদ।