সম্প্রতি সিভিক শিক্ষক (Civic Teacher) নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা মহলে আলোড়ন পরে গেছে।কিছুদিন আগে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে বলা হয় যে, সিভিক ভলেন্টিয়াররা (Civic Volunteer) প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস নিতে পারবেন। তবে তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এবং অবশেষে, এই বিতর্কের কারণে রাজ্যে সিভিক শিক্ষাকতায় স্থগিতাদেশ দিল পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর (West Bengal Education Department)।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এই ঘোষণার কারণে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয় তবে আপাতত স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ প্রাথমিক স্কুলে সিভিক ভলেন্টিয়াররা পড়াতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। যেখানে বলা হয় যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা প্রাথমিক স্কুলে অংক এবং ইংরেজির বিশেষ ক্লাস নিতে পারবেন। তবে বিতর্ক শুরু হতেই এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হলো রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এই প্রকল্পের কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি রাস্তায় নেমে বিরোধিতা শুরু করে। সবদিক বিচার বিবেচনা করে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর অবিলম্বে এই কর্মসূচি বা প্রকল্প(Scheme) স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া বাঁকুড়া জেলা(Bankura Zilla) প্রশাসনকেও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের (West Bengal Education Department) পক্ষ থেকে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে যে কোন স্কুলে এইরকম কোন কর্মসূচি নেওয়া যাবে না। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ কেন নেওয়া হয়েছিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, সেই কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। তবে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর বিতর্ক অনেকটাই থেমেছে।।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের পরিকল্পনা ছিল যে সিভিল ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে বাচ্চাদের অংক এবং ইংরেজির বিশেষ ক্লাসে নেওয়া হবে। এই মর্মে তারা ১৫০ জন যোগ্য সিভিক ভলেন্টিয়ার বেছে নিয়েছিল। বাচ্চাদের কিভাবে পড়াতে হবে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল একটি বেসরকারি সংস্থার (Non Government Organization)। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান যে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ক্লাস নেওয়ার এই সিদ্ধান্তটি সম্পন্ন বাঁকুড়া জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের। শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকেএমন কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি এই বিষয়ে।