প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Awas Yojana) পশ্চিমবঙ্গে ১১ লক্ষেরও বেশি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। কারা কারা বাড়ি পাবেন এবং কারা পাবেন না, সেই তালিকা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে সময় দেওয়া হয়েছিল গত বছর ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কারা কারা বাড়ি পাবেন সেই মর্মে এক দফা শর্ত আরোপ করেছিল নবান্ন। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেও সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়নি।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরি করার কাজ সম্পূর্ণ না হলে রাজ্যের জন্য আবাস যোজনা নিয়ে যে টাকা বরাদ্দ রয়েছে, সেই টাকা অন্য কোন রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ক মন্ত্রকের তরফে এমনটাই শর্ত দেওয়া হয়েছিল রাজ্যকে।
পশ্চিমবঙ্গের নবান্নের তরফ থেকে আর্জি রাখা হয়েছিল ৩১ শে ডিসেম্বর এর পরবর্তী সময় পর্যন্ত এই সময়সীমা বাড়ানোর। তবে প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে এই আর্জি নাকচ করে দেয়। তবে আবার সেই পথেই হাঁটলো কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।
নবান্ন থেকে জানানো হয় যে একাধিক রাজ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও বাড়ি তৈরির অনুমোদনের কাজ স্থগিত আছে বা পিছিয়ে রয়েছে একাধিক রাজ্য। উত্তরপ্রদেশেও গ্রামীন আবাস যোজনার লক্ষাধিক অনুমোদন বাকি রয়েছে এখনো পর্যন্ত। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদন সম্পন্ন না করলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ অর্থ যেমন অন্য রাজ্যে পাঠানো যেতে পারে, তেমন বাকি যে সমস্ত রাজ্যে কাজ বকেয়া রয়েছে তাদের টাকাও তবে অন্য রাজ্যে পাঠাতে হবে। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল নবান্নের তরফ থেকে। এই জন্যই তারা বাড়ি তৈরীর অনুমোদনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানায়।
কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যকে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির অনুমোদনের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। না হলে বরাদ্দ অর্থ অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এমনটাও জানানো হয়েছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে 10 লক্ষ 50 হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন করা হয়। তালিকা থেকে বাদ যায় লক্ষাধিক নাম।
আপাতত গ্রামীন আবাস যোজনার অধীনে যে বাড়িগুলি তৈরি হবে সেগুলির অনুমোদনের কাজ শেষ হলেও কেন্দ্রীয় তরফ থেকে কোন বরাদ্দ অর্থ আসেনি ।তাই থমকে রয়েছে বাড়ি তৈরির কাজ। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে আগের আবাস যোজনা টাকার হিসেব দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এখনো পর্যন্ত টাকা না পাঠানো নিয়ে।