বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদমাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে তুমুল চর্চা চলছে। এসবের মধ্যে পড়াশোনার মধ্যেও আসতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(AI) এবং কোডিং(Coding)।
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে পড়ানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্স। তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, সিবিএসই বোর্ডেও(CBSE Board Syllabus) আসতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং কোডিং।এবার সিবিএসই-র ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই AI,কোডিং অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে আরো ৩৩ টি নতুন বিষয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কিভাবে সভ্যতার উন্নয়নের কাছে লাগানো যায়, তা নিয়ে চলছে জোরদার গবেষণা। আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে আগামী পাঁচ বছরে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। তাদের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে পড়াশোনোর ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে প্রযুক্তির ভালো দিকগুলি সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
CBSE বোর্ডে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং কোডিং। এর আগে কোডিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শুধুমাত্র নবম, দশম শ্রেণীতে পড়ানো হতো ।কিন্তু নতুন শিক্ষানীতিতে এই বিষয়গুলি ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং কারিগরি শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য আরো ৩৩ টি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে সিলেবাসে।
নতুন ৩৩ টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট অ্যাপ্লিকেশন(Satelite Application), অ্যাপ্লিকেশন স্টাডি, ডেটা সায়েন্স, কাশ্মীরি এমব্রয়ডারি(Kashmiri Embroidery), অগমেন্টেড রিয়েলিটি ইত্যাদি। CBSE বোর্ডের স্কুলগুলিতে এই বিষয়গুলি পড়ানো হবে। বোর্ডের তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে নতুন বিষয় গুলির উপর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। খাতায়-কলমে শিক্ষার্থীরা মোট বিষয়ের ৩০ শতাংশ শিখতে পারবে এবং প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে সেখানে হবে বাকি ৭০ শতাংশ। ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি আরো বাড়তে চলেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়। কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার জন্য স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনা হয় তখন থেকেই। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনেই এই পরিবর্তন গুলি আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এতে করে আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং সমাজ আরো বেশি উন্নত হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।