চুক্তিভিত্তিক ২ হাজার জনের বনসহায়ক পদের চাকরির প্যানেল অবৈধ জানিয়েছিলেন জাস্টিস লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান কয়েকজন কর্মী। সেই দাবি খারিজ করেন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Avijit Gangopaddhay) ডিভিশন বেঞ্চ।
বর্তমানে বন সহায়ক পদে (Bana Sahayak) ভ্যাকান্সী রয়েছে ২০০০ টি। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ২ মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল ক্যানসেল করে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া (Bana Sahayak Recruitment 2023) শুরু করতে হবে। সেই মর্মে বন সহায়ক পদে আবেদন নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন নিয়োগ পক্রিয়ায় সদ্য চাকরি হারারাও অংশ নিতে পারবেন।
গত ১৯ মে তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) আদেশ মেনে ২০০০ পদে নিয়োগ করার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় বন দপ্তর (Forest Department West Bengal) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। গত ৩ মে তারিখে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় আগামী দু মাসের মধ্যে নিয়ম মেনে নতুন ভাবে ইন্টারভিউ করতে হবে। নতুন তালিকা প্রকাশ করতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
গত ২০২০ সালে বন সহায়ক পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ হয়। চুক্তির ভিত্তিতে ২০০০ জনকে নিয়োগ করা হয়। মাসিক ১০০০০ টাকা বেতনে কর্মী নেওয়া হয় ২০০০ জন। সহায়ক দের কাজ মূলত ফরেস্ট গার্ডদের(Forest Guard) মতোই। রাজ্যে বিভিন্ন বনাঞ্চল ও সেখানে থাকা বন্যপ্রাণী রয়েছে প্রচুর। তাদের সুরক্ষার জন্য বহু কর্মী প্রয়োজন। বন দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া(Forest Department Recruitment West Bengal) বন্ধ থাকায় বন সহায়ক পদের মাধ্যমে সেই শূন্যপদ ভরাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন থেকেই অভিযোগ ওঠে যে কিছু মানুষকে চাকরি পাইয়ে দিতেই এই পদ তৈরি করা হয়েছে।