ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের Teenage এ প্রবেশ করার পর থেকে তাদের খরচের সাথে অন্যান্য অনেক খরচ যুক্ত হয়। পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি যাতায়াত খরচ, টিফিন কেনার খরচ, মোবাইল রিচার্জ এবং আরও অনেক খরচ তখন অতিরিক্ত করতে হয়। স্কুল জীবন পার হয়ে কলেজ জীবনে প্রবেশ করার সাথে সাথে খরচের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। কলেজে ভর্তির খরচ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বই খাতা, টিউশন খরচ, যাতায়াত খরচ যুক্ত হয় তাদের খরচের সাথে।
অনেক ছেলেমেয়েরা আছে, যারা ছাত্রজীবন থেকেই ছোটখাটো খরচের জন্য পরিবারের উপর নির্ভরশীল থাকতে চান না। তাই জন্য তারা চান বিকল্প কোন আয়ের উৎস খুঁজতে। অনেক ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়ার পাশাপাশি এবং কলেজে পড়ার পাশাপাশি কোন না কোন ভাবে উপার্জন করে থাকেন। এই উপার্জনের টাকা দিয়ে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ চালান এবং অন্যান্য কাজে খরচ করে থাকেন। আবার অল্প বয়স থেকে সঞ্চয় করা শুরু করলে ভবিষ্যতে আর্থিক দিক থেকে কোন রকম সমস্যা হয় না। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত এখন থেকেই অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে রাখা, যাতে করে পরবর্তী জীবনে তাদেরকে কোন রকম সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়।
এই প্রতিবেদনে থাকছে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৫টি ইনকাম করার পদ্ধতি, যা থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া, সকলেই এই কাজগুলি করতে পারবেন। এই কাজগুলিতে বিশেষ কোন পরিশ্রম নেই বললেই চলে, তবে মাস গেলে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
অনলাইনে জিনিস বিক্রি:
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, instagram ইত্যাদি Social Site গুলি আসার পর থেকে মানুষের বন্ধু-বান্ধবের তালিকা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর এই বন্ধু-বান্ধবের আধিক্যকে কাজে লাগিয়েই আপনারা অনলাইনে কোন পণ্য বিক্রি করার কাজ করতে পারবেন।
হাতে তৈরি গয়না, শিশুদের খেলনা, শাড়ি, চুরিদার বা অন্যান্য কোন পোশাক বা যে কোন কিছু, যে বিষয়ে আপনি দক্ষ সেটি দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমদিকে কিছু অফার দিয়ে গ্রাহকদের আপনার ব্যবসার প্রতি আকর্ষিত করতে হবে। তাছাড়া অনলাইনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে এমন পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে যা অন্য পাঁচটি পণ্যের থেকে আলাদা এবং তাতে যেন নতুনত্বের এবং আধুনিকতার ছোঁয়া থাকে।
অনলাইন কোচিং:
উপার্জনের এই উপায়টি চিরাচরিত ভাবে চলে আসছে যা উপার্জনের ভীষণ ভালো একটি পথ। মাসের শেষে কামাতে পারবেন হাজার হাজার টাকা। ছোটো ছোটো বাচ্চাদের বা একটু বড়োদের নিয়ে খুলে ফেলতে পারেন একটি কোচিং সেন্টার(Coaching Center)। কোন কোন বিষয় পড়ানো হবে এবং বেতন মাফিক কত অর্থ নেবেন, সেটি আলোচনাসাপেক্ষ বিষয়।
বাড়িতে সমস্যা থাকলে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমেও কোচিং করাতে পারেন। বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে কোচিং-এ পড়েন। ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এবং কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকলেই আপনারা অনলাইন কোচিং শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং:
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে অনলাইনে আয় (Online Earning) করার উপায়। বাড়িতে বসেই এই কাজগুলি করা যায়। নিজের সুবিধা মত সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবেনা। Freelancing এর মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে আপনি যে যে বিষয়ে দক্ষ সেগুলি সবই পড়ে। কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), ফটোগ্রাফি(Photography), আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে অজস্র ওয়েবসাইট (Website) অনলাইনে ছড়িয়ে আছে। সঠিক ওয়েবসাইটে পৌঁছে গেলেই পেতে পারেন উপার্জনের সুযোগ।
বেকারির ব্যবসা:
এখন জন্মদিন হোক বা এনিভার্সারি (Aniversary) বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ মুহূর্তের উদযাপন – তার প্রধান একটি অংশ হিসেবে কেক থাকবেই। আপনি যদি কেক এবং বেকারি সামগ্রী তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে খুব শীঘ্রই আপনি অনেক টাকা উপার্জন করার রাস্তা পেয়ে যাবেন।
বর্তমানে অনেক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে কেক তৈরির মাধ্যমে উপার্জন করে থাকেন। বন্ধুবৃত্তের মধ্যে কারো জন্মদিন বা শুভ অনুষ্ঠানে সেই কেক বিক্রি করে কেক পিছু ভালই লাভ করা যায়। তাছাড়া এলাকার অন্যান্য জায়গায় যেখানে কেক বা এমন ধরনের পণ্য প্রয়োজন, সেখানে ডেলিভারি দিয়েও উপার্জন করা সম্ভব।
এইজন্য আপনাকে কেক তৈরির পদ্ধতি ভালোভাবে শিখতে হবে। আপনার কেকের স্বাদ যদি ভাল হয়, তবে দিনে দিনে আপনার গ্রাহক সংখ্যাও বাড়তে থাকবে।
Vlogging:
বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা Vlog বানিয়ে উপার্জন করে থাকেন। অনেকে প্রতিদিনের কাজকর্ম নিয়ে ভিডিও বানান, অনেকে আবার বিশেষ কিছু জিনিস নিয়ে ভিডিও বানান। সেটা হতে পারে রান্না নিয়ে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া নিয়ে বা কোন কিছু তৈরি করা নিয়ে।
এই ভিডিওগুলি বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে এই ভিডিওগুলি পোস্ট করার মাধ্যমে আপনারা খুব তাড়াতাড়ি অনেক সাবস্ক্রাইবার এবং ফলোয়ার অর্জন করে ফেলতে পারবেন। আর একবার অনেক সাবস্ক্রাইবার অর্জন করে ফেললেই ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা পাবেন আপনারা।
তবে এই কাজের জন্য অত্যন্ত ধৈর্য প্রয়োজন, কারণ শুরুতেই আপনার লাভ বলতে কিছুই হবে না। উপার্জনের জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া ভালো মানের Vlog বানানোর জন্য ভালো ক্যামেরা, ক্যামেরা স্ট্যান্ড ইত্যাদি ইন্সট্রুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।