বর্তমানে রাজ্যে পার্শ্ব শিক্ষকদের(Para Teacher) সংখ্যা কত, তারা কিভাবে কাজ করছেন তার উপরে তাদের পদোন্নতি নির্ধারণ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শীঘ্রই একটি সার্ভে করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলির পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকারা সহকারী শিক্ষকের মর্যাদা দাবি করে আসছেন। অবশেষে তাদের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে।
প্যারা টিচারদের দাবি, তারা সহকারী শিক্ষকদের সমান কাজ করলেও বেতনের ক্ষেত্রে তারা সহকারী শিক্ষকদের সমান বেতন পান না। এছাড়া অন্যান্য সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বারবার বঞ্চিত হন। পার্শ্বশিক্ষকদের এই দাবি নিয়ে এবার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই একটি সার্ভে করা হতে পারে। পার্শ্বশিক্ষকদের সংখ্যা কত, তারা কিভাবে কাজ করছেন সমস্ত বিষয়ে দেখে তাদের পদোন্নতি নির্ধারণ করা হতে পারে।
অনেক শিক্ষকরা বলেছেন, পার্শ্ব শিক্ষকদের উন্নতির সাথে সাথে যেন স্থায়ী শিক্ষকদের শূন্যপদ অবলুপ্ত না করা হয়। SACT অধ্যাপকরা আসার পর রাজ্যের কলেজ গুলিতে স্থায়ী অধ্যাপকদের শূন্যপদ কমে গিয়েছে। স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তেমনটি হলে খুবই অসুবিধা হবে। আবার একসাথে এত পার্শ্ব শিক্ষকদের ট্রেনিং রাজ্য সরকার করাতে পারবেন কিনা, তাই নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য চালু হচ্ছে একাডেমিক পারফর্মেন্স ইন্ডাক্টর(Academic Performance Inductor)। এর মধ্য দিয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে এবং তার মাধ্যমেই সহকারী শিক্ষকদের প্রমোশন হবে। শিক্ষকদের গুণমান যাচাই করার জন্য অ্যাপ্রাইজাল পদ্ধতিতে হাঁটছে রাজ্য সরকার। সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে দেখার পরেই পদোন্নতি হবে শিক্ষকদের(WB Teacher Promotion)।
পদোন্নতি পেয়ে পার্শ্বশিক্ষকরা সহশিক্ষক পদে উত্তীর্ণ হলে তারা সহশিক্ষকদের সমান বেতন পাবেন। তাছাড়া অন্যান্য অনেক সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যে সুবিধা গুলি এতদিন পর্যন্ত তারা পেতেন না।