এখনকার দিনে অনেকেই বিভিন্ন রকম ব্যবসা(Business) করার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কেউ স্বল্প মূলধনকে কাজে লাগিয়ে কেউ বা কোন রকম মূলধন ছাড়াই বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করছেন। তবে মরশুমি ব্যবসা আয়ের অন্যতম একটি উৎস হতে পারে আপনার।
মরশুমি ব্যবসা বলতে বোঝায় মূলত নির্দিষ্ট একটি মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন(Earning) করা। এখন রাজ্যে বর্ষাকাল(Monsoon) চলছে। সামনের দিনে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজ্যজুড়ে। এই বর্ষাকে কাজে লাগিয়েই আপনি বেশ কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা গুলোর স্থায়িত্ব মূলত বর্ষাকাল থাকা পর্যন্তই।
জেনে নিন চারটি এমন ব্যবসা সম্পর্কে, যেগুলি আপনারা বর্ষাকালকে কাজে লাগিয়ে করতে পারবেন।
১. নার্সারি এবং গাছ ব্যবসা
চারা গাছ প্রস্তুত করার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো বর্ষাকাল। সারা বছরই নার্সারীর ব্যবসা (Nursery Business) চললেও বর্ষাকালে নার্সারীর ব্যবসা চলে বেশ রমরমিয়ে। তাই বর্ষাকালকে কাজে লাগিয়ে আপনারা যদি নার্সারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সারা বর্ষাকাল জুড়ে লাভবান তো হবেনই, তার সাথে বছরের বাকি সময়েও লাভের অংক একদম কম হবেনা।
২. শাক সবজির ব্যবসা
বর্ষাকালে শাকসবজি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গ্রামেগঞ্জে শাকসবজির ফলন খুব ভালো হলেও শহরাঞ্চলে শাক সবজির জন্য গ্রামের মানুষের উপরই নির্ভর করতে হয়।
আপনি যদি গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে শাকসবজি কিনে শহরে নিয়ে গিয়ে প্রাইকারি বা খুচরো দরে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে প্রতিদিন প্রচুর টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
তাছাড়া নিজেদের গ্রামেও আপনি সবজি বিক্রি করতে পারেন। বর্ষাকালে সবজির দাম কম থাকে। এই জন্য আপনারা কম দামেই কিনতে পারবেন শাকসবজি।
৩. ছাতা ও রেইনকোট তৈরি
বর্ষাকাল হলে এমন একটি সময়, শুধুমাত্র এই সময়ই রেনকোট(Raincoat) কাজে লাগে। তাছাড়া গরম কালের মতো বর্ষাকালেও অন্যতম একটি অপরিহার্য জিনিস হিসেবে বিবেচিত হয় ছাতা।
তাই বর্ষাকালে আপনি যদি রেইনকোট এবং ছাতা তৈরির কাজ করতে পারেন তাহলে বর্ষার মরশুমে বেশ মোটা অংকের টাকা উপার্জন করে ফেলতে পারবেন।
শহরাঞ্চল থেকে পাইকারি দরে কাঁচামাল কিনে আনতে হবে আপনাকে। তারপর নিজস্ব স্কিল দিয়ে ছাতা, রেইনকোট বা এমন কোন জিনিস তৈরি করতে হবে যেগুলি মানুষের বর্ষাকালে প্রয়োজন হয়।
৪. বীজের ব্যবসা
বর্ষার মরশুমে কৃষকরা নতুন বীজ(Seed) লাগিয়ে থাকেন। উন্নত জাতের বীজের জন্য গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা নির্ভর করে থাকেন শহরাঞ্চলের বিভিন্ন বড় বড় দোকানের উপরে। আপনারা যদি শহর থেকে উন্নত মানের বীজ কিনে এনে সেগুলি গ্রামে বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতি কিলো বীজ পতি আপনারা মোটা অংকের টাকা লাভ করতে পারবেন।
এটি বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলে উন্নত জাতের বীজ পাওয়া যায় না। শহর থেকে উন্নত জাতের বীজ কিনে স্টক করে রেখে সেগুলি আপনি গ্রামের কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন।